আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
একদিন বৃষ্টি হয়েও তো আসতে পারো!
বৈশাখী দিনে মেরুদন্ডে মেরুকরণ জুড়ে আমি ভাবতে ভালোবাসি বাণভাসি প্রলাপ।
প্রবল বর্ষার ভিত গেঁথে ওরা ঢেলে গেছে চোড়াবালি,
আমি ডুবে মরি অনন্তে, বুকে নিয়ে অবাক জলপান।
আমার শাওন কুচি তোমার খোলামকুচি হয়ে পাকখেয়ে পড়েথাকে তোমায় পবিত্র মেঘালয়ে।
এক এক করে ঋতু যায় আর আমি কড় গুনি,
শ্রাবণ এলে বুঝে নেব কড়ায় গন্ডায়,আমার একলা পরব অবগাহন বৃত্তান্ত।
আমি তোমার সাথেই ঝগড়া করেছি
আমি তোমার সাথেই ঝগড়া করি
আমি তোমার সাথেই ঝগড়া করবো।
আর তখনি ধুয়ে যাবে আমার যাবতীয় জীর্নতা
কথার সাথে চাকা, চাকার সাথে পথ,পথের সাথে হাওয়া।
আজকাল বড্ড বাবা আসে আমার স্বপ্নে
আমার বাড়ন্ত শৈশব ফের দানা বাধে
ফের মাথার ওপর বটের ছায়া, ফল, কোকিল।
দূর ও বোধহয় ভালো ছিলো…
ভালোছিলো আকাঙ্খারা গেরুয়া বসনে
আমার ইচ্ছে লতা ঘুমিয়েই মেখেছে আবিরের মত রঙ। তারপর…
হঠাৎ করেই মানুষ উৎসব, ভুল মানুষ, ঠিক মানুষ এবং মানুষ,
মানুষে মানুষে মানষিকতার প্রদর্শনি।
কত শত রঙচঙে স্টল, ভেজ, ননভেজ অথবা কোনো কারবারি…
ধুলো পরা চোখ কচলে নিয়েই জলের ঝাপটা
অমনি সব পরিষ্কার,
চেনা অবয়ব, কাছের মানুষ, পরিচিত কাঁধ।
অচিরেই সব ঝকঝকে, স্বচ্ছ জলের মত।
কাছাকাছি ঘর, ঘরের ভেতর ঘর এ যে একান্ত আমার!
আমার এখন ইচ্ছে করে, আমার বড্ড ইচ্ছে করে, আমার ভীষণ ইচ্ছে করে চেনা বুকে মাথা রাখবার, বাড়িয়ে দিই কপাল ওই অলিখিত চুম্বনের আশায়।
আমি তোমার সাথেই ঝগড়া করেছি
আমি তোমার সাথেই ঝগড়া করি
আমি তোমার সাথেই ঝগড়া করবো।
বাঁধন কী বুঝিনা, শুধু বুঝি এক পা অগ্রসর হলে, অন্য পা চেপে ধরে।
প্রবল জোয়ার শেষে পড়ে থাকে যা কিছু!
তুমি উৎসর্গ কর আমার নামে…
শোধন কর দুধ গঙ্গায় নিজেকে,
তবে এওকি বাঁধন নয় বলো!
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..