করাচিতে নজরুল
করাচি বন্দরে এককালে গ্রিক-পারসিক-আরবীয় সওদাগরেরা নোঙ্গর করেছে; অনেক স্থাপত্য চিহ্ন আজো রয়ে গেছে; যা…..
নারী হোক আর পুরষ হোক আমরা মানুষ, আমি এই ধারণায় বিশ্বাসী। কারণ শারীরিক গঠন আর জেন্ডার পরিবর্তনে সহানুভূতি কুড়ানোর আগে ভাবতে হবে- আমি একজন মানুষ।
আমি মনে করি আমাদের সবারই দু’টো হাত আছে, দু’টো পা আছে, দু’টো চোখ আছে, দুটো কান আছে, একটি মাথা আছে, আর এই সবকিছুর মাঝে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় লুকায়িত আছে তা হলো- মানুষের মন, মনুষত্ব, বিচার -বুদ্ধি,অনুভূতি যাই বলেন না কেন।
ধরুন, আপনাকে কেউ কষ্ট দিলে আপনি কষ্ট পান, ঠিক তেমনি আপনিও কাউকে কষ্ট দিয়ে বুঝতেই পারলেন না সেও কষ্ট পেয়েছে।
আপনার বাড়িতে অঢেল খারার, আপনি খেতে না পেরে ফেলে দিচ্ছেন, ঠিক তেমনি আপনারই পাশে আপনারই মত শারীরিক গঠনের একজন মানুষ দু’দিন ধরে অনাহারে রয়েছে। অথচ আপনি তারই মতো গঠনমূলক একজন জীব হয়েও পাশের মানুষটির ক্ষুধার্ত পেটের জ্বালা বুঝতেই পারলেন না বা বুঝতে চাইলেন না। সেক্ষেত্রে কী এটাই প্রমাণিত হয় না? সেই ক্ষধার্ত ব্যাক্তিটির অভাব অনটনের চেয়ে আপনার মধ্যেই বেশী অভাব? তবে হ্যাঁ, সে অভাব দুটোরও প্রকারভেদ আছে-
১) ক্ষুধার্থ ব্যক্তিটির টাকার অভাব
২) ধনী ব্যক্তিটির মনুষ্যত্বের অভাব
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিটির চেয়ে ধনী ব্যক্তিটির মধ্যে যে অভাব অনটন রয়েছে তা হলো- সুস্থ চিন্তা, মনুষ্যত্ব, বিবেক এবং অনুভূতি যাই বলেন না কেন।
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়-মনুষ্যত্ব, বিচার-বুদ্ধি এবং অনুভূতি কাদের কাছে প্রত্যাশা করা যায়?
নিশ্চয়ই আশপাশ এবং সমাজের মানুষদের কাছে! আর মানুষ হতে গেলে কী কী গুণাবলী থাকা উচিত?
যেমন-সচেতনতা, বিচার-বিবেক, মনুষ্যত্ব, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ ইত্যাদি। কারণ, মানুষ হতে গেলে এসবের কোনো বিকল্প নেই। সে স্থান থেকে আমি আশা করতেই পারি নারী পুরুষ উভয়েই আমরা আগে মানুষ হয়ে মানুষকে ভাবতে শিখি, মুল্যায়ন করতে শিখি, সম্মান করতে শিখি, এমনকী একে অপরের অভাব অনটন দুঃখ কষ্ট বুঝতে ও ভাগাভাগি করে নিতে শিখি। তাহলে হয়তো এমনিতেই সকলের প্রতি সকলের শ্রদ্ধা, ভক্তি, স্নেহ এবং ভালোবাসার পূর্ণতা আসবে। এককথায় কান টানলে মাথা আসার মতো। আলাদাভাবে চাওয়ার কোনই প্রয়োজন পড়বে না। (কথায় আছে যে যতটুকু চায় সে ততটুকুই পায়, আর যে চায় না সে তারচেয়ে অনেক বেশী পায়) এই কথাটির মধ্যে যতটা বিশাল ভদ্রতা লুকায়িত আছে, ঠিক ততটাই উদারতা।
আর সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সবশেষে আমি এটাই বলবো আমরা আগে মানুষ হয়ে উঠি, এবং সেই মানুষ হয়ে ওঠার সূত্র ধরে বলতেই পারি- অনেক দিবসের মতো ‘মানুষ দিবস’ও পালিত হওয়া উচিত। আমরা যখন মানুষ হয়ে মানুষ দিবস পালন করবো, তখন হয়তো নিজেরাই নিজেদের মনের রোগ নির্ণয় করে সঠিকভাবে সামাজিক হয়ে উঠতে পারবো। ভালবাসা সকল জীবের প্রতি।
করাচি বন্দরে এককালে গ্রিক-পারসিক-আরবীয় সওদাগরেরা নোঙ্গর করেছে; অনেক স্থাপত্য চিহ্ন আজো রয়ে গেছে; যা…..
তিনি বললেন, ভাষা হল ওষ্ঠের উপর সুধার মতো। আর বললেন, কবিতা যথেষ্ট স্বাদু, কিন্তু…..
রূপকথা পড়েছেন ছোট বেলায় অনেকে একথা আর বলা সন্দেহমুলক, প্রযুক্তির ব্যবহার জন্মের পর থেকে এখন …..
একটি পরাধীন দেশ আর তার বাসিন্দাদের মনে স্বাধীনতার আকুতি আমরা দেখেছিলাম ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে। এর…..