লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালোবাসি- বলা হয়নি নুতন করে
যেন লুকিয়ে রাখা একান্ত গোপনে-
তুমি যতটা গদ্য লিখলে
আমিও কবিতায় আপ্রাণ বিন্যাসে
একটু কি হোঁচট খেলাম দুজনেই-
কমা বা সেমিকোলনে
যে নগরে নদী নেই তাকে আপন
লাগেনি কখনও কবে যেন শুনেছিলাম
নদী সব ফিরে ফিরে আসে-
দূর থেকে কাছে
কাছ থেকে দূরে-
সম্পর্ক বেয়ে নামে ঝড় বুঝে না বুঝে
মনেরে কেইবা রাখে- মনে
না বলা বহু শব্দ ঢাকা পরে যায়-
টানাপোডেন আর
চাপা অভিমানে!
গল্পচ্ছলে কবে কখন স্বপ্ন বুনি বাতাসে
দু-দুটি মহাসাগর পেরিয়ে চলে যায় তা’
তোমার করায়াত্তে- – যে তুমি ইয়ত্তা কর না
প্রেমের বুনন ধোঁয়াসা- জালের
রোজই মুখোমুখি বসি এক কাপ কফি
দূরত্ব মেইনটেইন করে-
জাল কেটে বেরোই
এক টুকরো রোদ আর তক্ষক
আমায় গিলে খেয়ে-
মায়া রাখে টেবিলে
পুনর্জন্ম পাই-
আবারও ইচ্ছা রাখি মনে-
তোমার খোঁজ চলে
যাবত জীবন…
বহু দিন বাদে বকুল তলায় দেখা সেদিন
কথা শুরু হয়েছে কি হয়নি মেঘ এলো
বেলা ছাপিয়ে। একটাই ছাতা খানিকটা
ভিজে একসা – উপচে পরা মন
আহা রসিক বৃষ্টি!
মরমী মন বৃষ্টির ছাঁট লাগা আকাশ দেখতে
দেখতে উড়ে চোললো অসীমে-
যেন চাতক হোয়ে গলা ভেজানো-
ফটিক জল
পেন্ডুলামের বড় ছোট দুটো কাটাই দুজনের
বরাদ্দ। ইচ্ছে মত নাম্বার সাজানো যার কাজ- সোজাসাপ্টা বা ইউটার্ন
আল্টাআল্টিতে-
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভাবছি ওয়াল স্ট্রীটের লাগামহীন একরোখা উদ্যত ষাঁড়ের স্টাচু-
শেয়ার বাজারের ওঠা নামার ধস
এ্যালকোহলের পার্সেন্টেস ও একটি শুকনো
দিয়াশলাই-
অপেক্ষায় সোহাগী নিকোটিন-
প্রতীক্ষিত ধোয়া।।
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..