প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এক চকের ভাত খাই। মধুমতীর তীরে চাষ করি বাদাম। মাঝে মাঝে মাছ খাই। নৌকার গলুই বসে কুমার নদীর বুক ছিঁড়ে হাঁটি আর ঘুরি মকসুদপুর। বরইতলার জোতদার নারীর প্রেমে হিড়িক তুলে চালাই বৈঠা। নৌকা বাইচ নিয়া চন্দনা নদীর স্রোতে ভাসাই পাষাণ হিয়া। আমার সখিরা বানের জলের লগে ভাইস্যা যায় পদ্মা অথবা যমুনার মোহনায়। আমি স্রোতের উল্টা দাড় বাই বলে নৌকার মাঝি তীরে ছুঁড়ে ফেলে ছুটে চলে ভাঙা নদীর বাঁকে। নৌকার তলাভর্তি মাছ নিয়া বাড়ি ফিরে হাশেম দর। আমি শীতের সকালে পোহাই আগুনের মতো বউয়ের ঠ্যাঙানি।
শেয়ালমুখী ছুঁয়ে বলতে পারি তোমার চোখ থেকে ঝরে রক্তজবার নদী। জল থেকে খসে পরে রঙের দাগ। একদিন শাদা জলের স্নানে তোমাকেও বৃষ্টি ভিজিয়ে দেবে। সেদিন কালোজিরার মতো ঠোঁটগুলো আমাকে দিয়ে দিও। ডিমভাজি করে খেয়ে নিবো তোমার বিরাগী মন। আগুনের তাপে ভেজে নিবো তোমার বুকে ফুটে ওঠা তিল। তারপর চুকচুক করে খাবো হাড়ের মাংস। রুপার আংটিতে একদিন অভিমানে ঝুলে যাবো।
লালমাটির ঠোঁট ছুঁয়ে নীবেরু গ্রহ যদি দুনিয়াতে নেমে আসে গোঁফের কসম তোমার পায়ে নিজেকে বিলিয়ে দেবো। নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীর আদিম কোনো ভিটে রক্ষায় যদি জড়িয়ে যাই মনে রেখ জয় করে নেবো সময়ের সন্তান। যদি নাকের ঘাম থেকে নেমে আসে স্বাদের সুঘ্রাণ তবু পিঁপড়াদের সংগ্রহ থেকে নেবো না রাতের খাবার। দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে নাভির তল থেকে চুষে নেবো প্রেমের শরাব। যদিও চন্দ্রহারের সময় আমাকে ডাকো আয়েশ করে, চুলের ঘ্রাণ থেকে নেবো অক্সিজেন। তবুও যদি না মেটে প্রেমের ক্ষুধা দুধের বোটায় বসে ছুঁয়ে দেবো শালিকের ঠোঁট। বাবুইয়ের বাসাগুলো কেটে কেটে বানাবো প্রেমের মহল।
মধুমতীর জলে শাদা বক ঢেউ নিয়ে খেলা করে। হাসনাহেনার ভালোবাসায় দিন শেষ হয়ে যায়। চাঁদের হাসি জলে দেখে ঘুমাও নিঝুম বনের আড়ালে, প্রিয় শারুলি দ্বীপ। জলে ঝলমল। খেয়ালগুলো সাঁতরে খোঁজো চাঁদনিপসর ঘাট। মধুমতীর মোহনা ধরে নবগঙ্গা ছুঁয়ে যায় চিত্রার দেমাগি শরীর। কলোনির চিত্রকর রহিম চাঁদের জীবনী তুলে আঁকে লোহাগড়ার জীবন। তুষার পড়ে আমাদের সজল চোখের কোণে। রাশেদীন বেয়ে চলে পাথরঘাটার শালমহরি বোট। নৌকার গলুইয়ে বসে দিন ফুরিয়ে যায়। আরিফানার লক্ষ্মীপাশা বড়ই সেয়ানা ও দুঃখী। এই সব বড়দিয়া বহর পাড়ি দিয়ে মহাজন ছেড়ে চলে পঞ্চবটি মন। আমরা সক্কলে মিলে তখন বরাতের হালে ঘুম যাই সুলতানের শহর।
লাহুরিয়ার শাদা মাটির মধ্যে বেড়ে ওঠা উঠতি মানকচুর ভেতর থেকে ভোর নেমে আসে। নবগঙ্গার জল বয়ে চলা কাজলী চোখের কোণে তীব্র চিত্রার স্রোত ছিলো দেখে মাহেন্দ্র অথবা জিএস চালক বেহুশের মতো মেতেছিলো ঝামারঘোপের সীমান্তে। কলেজের প্রান্ত থেকে ভেসে আসা রমণীর গায়ের বাদামী গন্ধে মোহিত করে গেছে শিয়রবরের প্রতিটা পাটগাছ। মিনমিনে বাতাসে শাদা ওড়নাটা দুলছিলো পাটের ডগার মতো। লোভনীয় শাক ভেবে দৌড়েছে দ্রুতলয় ষাঁড়ের বাছুর। তার খুরের থেকে বেড়িয়েছে আগুনের ফুলকি। বামনডাঙা খালে জোয়ারে ভেসে আসা নাম না জানা বিচকুনি মাছের চিত্তের মতোই ছিলো মনপাখি। লাল সুরকির মতো ভ্রুগুলো লাল হয়ে গেছে যেমনি লাল হয়েছিলো মাতালের চোখ। একটা উন্মাদ চোখের ফাঁক দিয়ে ভেতরটা ঠিক পরখ করতে যেয়েও ব্যর্থ হলো। এমনি করে শান্ত পায়ে কালনা ফেরি পার হয়ে হৃদয় নিলে চুরি করে। শেষ বেলায় নিঃস্ব হাতে লক্ষ্মীর কোলে এসে নিজেকে মা সীতার নিকট সমর্পণ করে কিছুটা শান্ত হলাম।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..