দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
সবুজ ধানের রোয়ায় হলদেটে আগায়
ঝিরঝিরে বাতাসে খেলছে ফিঙে-
বারোমাসি মন লেইস ফিতে বেঁধে
হেলে-দুলে পার হচ্ছে বাঁশের সাঁকো;
তের্পালের ছাউনিতে বৃষ্টি থেমে গেছে,
বরইয়ের ফুল গা-ঝাড়া দিয়ে হাসলো-
সূর্যের আলোময়ী মেয়েরা নদীর জলে
সাঁতরাতে নেমে নূরাণী ঝলকানি!
তিড়িংবিড়িং ছাগল ছানার বিষ্ঠায়-
ফোটে দুঃসহ গাঁদা ফুল…
তোমার কাজলকালো চোখ দুটি দেখার জন্য
একটি আয়না কিনেছিলাম
পথের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন দিয়ে,
অথচ আয়নাটিতে তোমাকে কখনো দেখিনি
আমার দিকে আমিও তাকাতে পারি না!
এলোমেলো চুল ঠিকঠাক আছে কিনা
অথবা গায়ের কাপড়টি মানালো কিনা
এখন না জেনে ঘর থেকে বের হই
হারিয়ে ফেলা রত্নের খোঁজে…
কবরস্থানে ফুলে ফুলে
বান জোয়ারের হাসি,
মন সায়রে ঢেউয়ের খুশবু
কান্নাখেকো মুষড়ে গেলো
পাকে খোদার জিকির,
আমার চোখে রক্তবর্ণ
বুকের ব্যথায় সদা চঞ্চল
ফুড়ুত করে একটি চড়ুই
এভাবে অনেক চড়ুই-
কিচিরমিচির করে গেলো,
খুঁজতে গিয়ে আর পাই নি
হাঁটতে হাঁটতে এলাম ছুটে
দিঘীর কাছে, দিঘীর জলে
চোখ ধুচ্ছি একা একা…
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..