বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
সবুজ ধানের রোয়ায় হলদেটে আগায়
ঝিরঝিরে বাতাসে খেলছে ফিঙে-
বারোমাসি মন লেইস ফিতে বেঁধে
হেলে-দুলে পার হচ্ছে বাঁশের সাঁকো;
তের্পালের ছাউনিতে বৃষ্টি থেমে গেছে,
বরইয়ের ফুল গা-ঝাড়া দিয়ে হাসলো-
সূর্যের আলোময়ী মেয়েরা নদীর জলে
সাঁতরাতে নেমে নূরাণী ঝলকানি!
তিড়িংবিড়িং ছাগল ছানার বিষ্ঠায়-
ফোটে দুঃসহ গাঁদা ফুল…
তোমার কাজলকালো চোখ দুটি দেখার জন্য
একটি আয়না কিনেছিলাম
পথের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন দিয়ে,
অথচ আয়নাটিতে তোমাকে কখনো দেখিনি
আমার দিকে আমিও তাকাতে পারি না!
এলোমেলো চুল ঠিকঠাক আছে কিনা
অথবা গায়ের কাপড়টি মানালো কিনা
এখন না জেনে ঘর থেকে বের হই
হারিয়ে ফেলা রত্নের খোঁজে…
কবরস্থানে ফুলে ফুলে
বান জোয়ারের হাসি,
মন সায়রে ঢেউয়ের খুশবু
কান্নাখেকো মুষড়ে গেলো
পাকে খোদার জিকির,
আমার চোখে রক্তবর্ণ
বুকের ব্যথায় সদা চঞ্চল
ফুড়ুত করে একটি চড়ুই
এভাবে অনেক চড়ুই-
কিচিরমিচির করে গেলো,
খুঁজতে গিয়ে আর পাই নি
হাঁটতে হাঁটতে এলাম ছুটে
দিঘীর কাছে, দিঘীর জলে
চোখ ধুচ্ছি একা একা…
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..