বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
(উৎসর্গ: পিয়াস মজিদ’কে)
কলজের বঁডু ধ’রে —
টর্চলাইটের আলো মাড়িয়ে
ঐ-খানে ,
পাটিপাতা ঝোপের নিচে,
কলমিশাকে পেঁচিয়ে থাকা
কেরগলি সাপের ডেঁরায়;
টাকি মাছের ফুলকাতে
গেঁথে গেছে আন্ধা বড়কি।
কালো চুঁকচুঁকে কড়ায়ে ভেজে
আজ তুমি, হেসে উঠো
ভোজন সংগীতে।
বৃষ্টি ম্যাডামের ঘর থেকে
শ্রাবণের এক মধ্য রাতে
ভেসে আসে বিড়ালের
চাপা চিৎকার
জনশ্রুতি আছে,সে থেকে
এ তল্লাটের আকাশ চিরে
অশ্রু নামে
জোয়ারে তলিয়ে যায়
প্রেমিকের বাড়ি।
প্রেমের জন্য রাত আঁধার
সূর্য ডুবলে গুহার মুখে,
প্রেমের তসবি জপনা করে
পিয়াসি লুও…
খোলস ছেড়ে
বেগানা ঈশ্বর উলঙ্গ হয়
সিনায় সিনায় মাখে কালিমা —
তোমার কপালে দেওয়া
দরদি চুমা,
পৌঁছে, খানায়ে কাবায় ;
নিজের মধ্যে একা
খুব একা নিসঙ্গ,
নিশ্চল পাথুরে
প্রেমিকাহীন শরীরে সর্দি হয়;
ছত্রাক হাঁটে পাঁজরে
খুব ব্যথায় কাশতে থাকে
চোখ জ্বলে-পোড়ে
একটা প্রগাঢ় চুম্বনের
জন্য কাঁপে সমস্ত।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..