দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
কুচকুচে কালো ঢেউ খেলানো চুল নেমেছে কোমর ছাপিয়ে। কপালে গোলাকৃতির লাল টিপ যেন অবারিত আকর্ষণ। বাঁকা ভ্রুর নিচে পটোলচেরা চোখ, যেন এখনই কাছে ডাকছে। খাড়া নাকে ঝিলিক দিচ্ছে নাকফুল। তার নিচে ছোট্ট লাল ঠোঁট। এই বুঝি কথা বলে উঠল। উন্নত বুক। মেদহীন পেট। টসটসে কোমর। দুধে আলতা গায়ের রং। সম-সাময়িক উচ্চতার এই ললনাকে দেখে যে কারোরই বুকে একটা মোচর দিয়ে উঠবে। এটাই স্বাভাবিক। এ ধরণের এক ললনাই ক্ষেত্র পেলে পুরো যুব রাজ্যে ভূমিকম্প তুলতে পারে।
দরজা খোলা, খাটের উপর পা মুড়িয়ে বসে আছে। লাল কামিজের গলা ভেদ করে উন্নত বুকের প্রসারতা দৃশ্যমান। খোলা চুলে ভাবলেশ মন। ঘরে ঢুকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেই নম্র সুরে বলল ‘মাহী’। না; এটা কোন অভিনেত্রী মাহী নয়। তবে একথাও ঠিক সৌন্দর্যের দিক থেকে অভিনেত্রী থেকেও কোন অংশে কম নয়। সাথে কেউ আছে জিজ্ঞাসার জবাবে বলল, বাইরে গেছে। একটু পরে সাথের লোকটিও চলে আসে খাবার নিয়ে আসতে দেখা গেল।
পুরো নাম মাহীয়া আক্তার। সবে আঠারো পার করেছে। খুলনা জেলার দৌলতপুরের বাসিন্দা। দরিদ্র পরিবারে জন্মের বছর দশেক পরে মা মারা গেছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির সমাপনী দেয়ার পর আর পড়তে পারেনি। রান্না-বান্না করে বাবাকে গাট্টি বেধে রিক্সা চালাতে এগিয়ে দিয়ে ছোট ভাইকে স্কুলে পাঠানোর পরে বাড়িতে তেমন কোন কাজ থাকে না মাহীর। সুন্দরী বলে উঠতি বয়সী এমনকি প্রাপ্ত বয়স্কদেরও উৎপাত থেকে রক্ষা পায়নি। খালি বাড়ীতে যে কেউ চলে আসত। তাই রিক্সা চালক বাবা মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই বিয়ে দেয় বরিশাল জেলার কলাপাড়ার বেকার যুবক মিন্টুর সাথে। বছর খানেক মিন্টুর সাথে ভালভাবে সংসার চললেও সুন্দরী স্ত্রীর প্রতি সন্দেহের দৃষ্টি বাড়তে থাকে, সেই সাথে বাড়তে থাকে অর্থের চাহিদা। কোন উপার্জন না থাকায় মিন্টু যৌতুক চাইতে থাকে। একটা সময় এতটাই তীব্র হয়ে উঠে যে দুই বছরের সংসার ছাড়তে বাধ্য হয় মাহী; অথচ কোন অপরাধই ছিল না। চলে আসে বাবার বাড়ী। রিক্সা চালক বাবার উপার্জন খুব বেশি ছিল না। তদুপরি শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। যা উপার্জন করে তার সিংহভাগই চলে যায় ঔষুধ কিনতে। এভাবে প্রায় দুই বছরে পার হয়। একটা সময় আর রিক্সা চালাতে পারে না। শুরু হয় সংসারে টানাপোড়েন।
একই এলাকার গার্মেন্টস কর্মী জুলির কাছে একটা কাজ চায় মাহী। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি; মাহীকে কাজ দেয়ার কথা বলে ফরিদপুরে নিয়ে আসে জুলি। এসে পুরাতন বাসস্ট্যানের একটি নতুন শুরু হওয়া হোটেলে উঠে। হোটেলে উঠে মাহীকে বলে গার্মেন্টেসে কাজ করে সংসার চলবে না, বেতন কম। তারচে’ আমি যা করি তুই তাই কর। কি কাজ জানতে চাইলে জুলি মাহীকে যৌনকর্মীর কাজের কথা বলে। এও জানায় এখন ভরা যৌবন, দারুন ইনকাম করতে পারবি।
শুরু হয় মাহীর নতুন জীবন। হোটেল ভাড়াসহ প্রতিবার কাজের এক হাজার টাকা থেকে মাহী পায় ৪ শত টাকা। সারারাত কাজ করলে দুই হাজার টাকা থেকে মাহী পায় ৮ শত টাকা। মাহী হিসাব করে দেখে ১২ হাজার টাকা দিয়ে ২ টি এন্ডুয়েট মোবাইল সেট কেনার পরেও খরচ বাদে প্রায় ১৯ হাজার টাকা জমা হয়েছে। অনেক দিন অসুস্থ বাবাকে দেখা হয়নি। তাই ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে বাবার সাথে দেখা করে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে আসে। দেখা মাত্রই পুরুষের চোখে আকর্ষিত হওয়ায় মাহীর ব্যবসা জমে যায়। একবার যে কাষ্টমার আসে, সে বারবার আসতে থাকে।
১৩ ফেব্রূয়ারি, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ, বাংলায় পহেলা ফাল্গুন। দুপুরের পরেই বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পেপারে শেয়ারের পর শেয়ার হতে থাকে একটি নিউজ, ‘অবৈধ যৌনকার্যের দায়ে ফাল্গুনের প্রথম দিনে ফরিদপুরের আবাসিক হোটেল থেকে ৩১ জন কপোত-কপোতী আটক।’ বিস্তারিত সংবাদে মাহীও ছিল। অন্যান্যদের মত তারও ০৭ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড হয়।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..