হাল
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
হেরেম থাইকাবের হইয়া জলঘাটে আইসো বেটি
ধ্যানমগ্ন চাইরপাশে শুনো বেহুর সিফত
ভাসানে বাইসা আমগোর পূর্বতন, সাক্ষী হউক মাটির কলস কদম গ্রহণ করিছো।
বেহাত সময়।
আরো কাছে এইসে দেখো মাটির
ফলক। জেহেনে বাসা বাইন্ধে পড়েছো নোলক?
স্বপন যে নয়। সত্যই কিবা পাবো মারেফত?
আমাগো শখের দু’খান পাখা। এ’খান মাটি রাখি হাওয়ায় উড়ে, আরখান ঘিরা দেহো নাহি কপালের শরিয়ত।
বৃষ্টি থেমে গেলে ঝরে যায় চৌষট্টি পাপড়ি সরোবর। আমি তবু হাড়ের মালা পড়ে কুকুরুক ডাকতে থাকি
পূর্বজন্ম স্মরণ করি তোমার আমার: তোমার পিঠে মিশি কালো তিল,ছুঁয়ে দিতে তোামর ঘন শ্বাস আমার পাঁজর চুইয়ে পড়ে।
চোখের সোনায় গড়ে দেই আশ্চর্য কানেট
তারপর আমরা হরিণের মাংশ পোড়ে গীত শুরু করি: নৃত্যের আওয়াজে হরিণা খুড় তোলে খু্ঁজতে বেড়োয় হরিণীর নিবাস
তেঁতুল পে্কে ঘ্রাণ ছড়ায় চারদিক
আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলি।
আকাশের মেঘ নির্ঘুম তেলাওয়াত করে
আমরা পাতার আব্রু রেখে স্নান সারি
আঙুরের রস উপচে পাড়ে তোমার স্তনদ্বয়
সহস্রদিন বৃষ্টি পর ঘুম ভাঙলে দেখি
আমাদের লিঙ্গদ্বয় তখনো জড়িয়ে রাখে পরস্পর।
হাসের পালক লাইগা ক্যান কাঁপুনি মারে জলের গাও?
চালুনের ফাঁকে ফুঁইটা আছে হলুদে চাঁন
ঝিঁঝি বান্ধে গীত,সবুজ পাতার পিড়িতে
নালন্দার পাড়ে কোন কবি ধ্যানে বইসে কবিতারে চায়?
হাওয়াও জানে না উত্তরের চিঠি পৌঁছে বেহুলার দ্যাশে
কানে কানে কইয়া যায়, গেরুয়া কাপড় পইড়া বের হ তুই
আমি খঞ্জনি হাতে লই পথে চাই তোর অপেক্ষায়।
বুকজুড়ে ছোপ ছোপ রক্ত তবু একহাতে রিভালবার তোলে
আরেক হাতে শুরু করেন অমর প্রেমের কাব্য
মুখে রেখে মরণকামড় কাতরাতে থাকেন মঁমার্ত পাহাড়ে
তারপর আবোলতাবোল প্রলাপ বকে মরে যান
অর্ধেক দেহ কবরে পঁচে অর্ধেকটা নরকে পোড়ান
এমন ঝড়ো ও উন্মাতাল কবি তিনি
তো বলো হে নারী, তার প্রেমে কতটা টেকসই হবে তুমি?
মৃত্যু তো ছোঁয়নি এখনো/ হৃদয়, তবু কেমন স্থির/ সাতলক্ষ্মী নদীর ঢেউ!/
নিয়ত বয়ে চলা সময়/ ঘাটে এসে থমকে অচল/
অস্ফুট, কালো রঙ, কাঠ/পেন্সিল ধূসর,কয়েক/টা কাক। কুড়িয়ে পাওয়া ক/য়েন দানবাক্সে ঝোলানো/ বস্তুবাদ। কেউ বুঝে না/ কয়েকদিন সবুজ অর্থ আগত মৃতের কাছে ক/য়েক পৃথিবী কাল! ব্যর্থ/ এক কনডম চেয়ে আছে/ আকাশে কেমন
রিকশার/ বেলে নেড়ি কুকুরের লেজ/ কেমন নড়ে দরজায় ঐ/
কড়া নাড়া পরিচিত জন/
অবসরপ্রাপ্ত কিতাব/– কত ধূলোবালি
ঘোলাগ্লাস/
চিরুনিতে কয়েকটা লেগে/ থাকা চুল
কয়েক শতক/
ভৌত পুকুরে বসা শিমুল/
নৌকা এসে ভিড়ে যদি চলে/ যাবেই কেউ
যেখানে নেই ক্রিয়ার কাল/
তারপর তোমার আমার/ খেলাঘরে রাজ্য করুক/ অন্য কেউ
কেমন শিকড়হীন, নেই/ সীমান্ত আমাদের চেনা/ কোনো গন্তব্যও নেই। যে/খানে খুশি যাব কেউ দেখ/বে না কিছুই নিবিতা, মৃত/ সম্পর্কের প্রাণ সই।/
জীবন থমকে যাওয়ার পর হাঁটতে হাঁটতে ভাবি স্বর্গে হাঁটার রাস্তা আছে কতটুকু?
গৌতম স্থির হলো বোধিবৃক্ষে মুহম্মদ হেরায় কলিঙ্গে অশোক জীবনানন্দ ধর্মতলায়
আর আমার অস্থিরতা যদি তুমি দেখতে!
জীবন কী চায় কেন হায় সওয়াল করলাম আদিকবিকে
তালপতায় চোখ রেখে তিনি বললেন, চঞ্চল চিত্তে তোমার ঘর নড়বড় করে
স্থির হও।
সূর্য আমার দিকে মুখ ফেরালে বলি আমার কী করে শিকড় গজাবে ইনকিলাব?
স্রোতে কিরণ রেখে বলতো দেখি কতটুকু হাঁটলে আমি মৃন্ময় হই?
আর আমার অস্থিরতা যদি তুমি দেখতে!
যে গলায় হাড়ের মালা সঙ্গ দিবে
আমি ককুরুক ডেকে পৌঁছে যাই তার ঘরে তারপর
দেখো সহজিয়া কীর্তন আমি কেমন গাইবো আগত আসরে।
সুখানুভূতি সুখানুভূতি মেরে এনেছে।মাল খাওয়ার পরে। এদিকে টাল খাচ্ছে হাওয়া।উড়ে যাচ্ছে আমপাতা।ইমামবড়ার ভক্তিপূর্ণ আবহাওয়া। আমরা…..
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..