প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
রাতে এক ঝটকা ঠাণ্ডা হাওয়ায়
খুলে গেল দক্ষিণের জানালা
নিকষ অন্ধকারে প্রেমময় প্রকৃতি
শিহরণ জাগানো মুগ্ধতা।
হেসে জানালায় সম্ভাষণ জানালো
যৌবনের নব স্পর্শের উচ্ছলতায়—
এক টুকরো কালো মেঘ।
রাতের আধাঁর ভেদ করে
মেঘের কালো চাদর সরিয়ে
ঝড়ো হাওয়া ভাসিয়ে নিয়ে যায়
দূরে মেঠো পথ পেরিয়ে—
সুরমা নদীর চরে।
বনু ফুলের সারির ফাঁকে
রোমান্টিক রাতের বিরহিণী
পূর্ণিমার দেখা … একা।
মুগ্ধ হয়ে নিজেকে হারাই
ছুটে চলি প্রেম মহিমায়
সঁপে দেয়া হৃদয়ের গভীরে
অনন্য ভালোবাসার আদরে
আমার শরীর ঢাকে
ধূসর শাড়ির আস্তরণে।
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
বেজে ওঠে রণদুন্দুভি
নেমে আসে রিমঝিম রিমঝিম
দিশেহারা যুগল জাপটে ধরে
খুঁজে পায় প্রত্যাবর্তনের পথ।
পাখিদের কাকলি ভরা বনতলে
বুনো ফুলের সুবাসে
সাতরঙ রামধনু হেসে ওঠে
অজানা প্রেম খোঁজে চারুলতা
ষোড়শী রেখে যায় অপরূপ সুখ-স্বপ্ন।
সন্ধ্যারা বড়ই ব্যাকুল আজ!
গোধূলির হৃদযন্ত্রে বাঁধা তৃষ্ণার্ত ডাহুক
সঞ্চয়ের কথা ভাবলেই—
খরচই হয়ে ওঠে মাটি ও সাগরের মন
বেলাশেষে লাল আভার—
এলোমেলো রেখা
ধন্দে ফেলে
আলোতেই প্রিয় ঘোর।
হিংসা বাড়ছে, উষ্ণতাও
মরণাপন্নের মত দাম নিচ্ছে নগরী
আজ সন্ধ্যালাপে উপাসনা মন্ত্র নেই
জল ও স্থলের মধ্যবর্তী শূন্যত
কেঁদে নাও যতটা পারো
বৃক্ষের কাছে নির্জনে
মাথা উপর আকাশটাও একা আছে।
বিষফুলটা ফেলে এসো সন্ধ্যার বুকে—
স্মরণ করে!
নিঝুম রাত
ঘনো কালো মেঘ
ছেয়ে গেছে আকাশ
ঘুম নেই চোখে
জানালায় একা
নাম না জানা এক অদ্ভুত পাখি—
ডেকে চলছে অবিরত
বিরহ-বেদনায় আচ্ছন্ন।
অন্ধকারে নির্জন পথে
মেঠো রাস্তার অলিগলি বেয়ে
চলছে দু’একজন অজানা পথে।
ছোট্ট নদী
এলোমেলো বাতাসের তালে
বয়ে চলছে জল
শাপলা ফুলের মিষ্টি সুবাস
হাতে হাত রেখে বাঁধা ডিঙ্গি—
ভেসে চলে সুদূরে।
খড়-কুটোগুলো
হেসে কুটি কুটি
লজ্জায় অবনত শাপলার দল
লজ্জাবনত মুখে ফুটেছে—
আগামী প্রত্যাশা
স্বপ্ন মাখা রঙিন আঙিনা।
মেঘলা আসমান
ভেদ করে দেখা পেলাম—
এক বিন্দু আলোর কণা।
একটি তারা
চিনতে ভুল হয়নি তাকে
মিষ্টি হাসি—দুষ্ট হাতছানিতে।
দূর থেকে কত কাছে
কাছে থেকেও সুদূরে
না পাওয়ার বেদনায়—
দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে বুক
গড়িয়ে পড়ে দুফোঁটা অশ্রুজল।
চা পাতার সারির মাথায় খেলছে
নির্মল বাতাসের ঢেউ
শিল্পীর তুলি দিয়ে সবুজকে স্তরে স্তরে সাজানো।
নিঝুম নিস্তব্ধ বিকেল—
চা পাতা তোলার কেউ নেই।
লাক্কাতুরার বাগানে অদৃশ্য পরীর হাতে
বিছানো লাল বালির পথ—
ঢেকে গেছে রূপালি পর্দায়
মুখর অতীতের রূপরেখা
হারিয়েছে বর্ণিল পাখ-পাখিল
কোকিলের ডাক
আটপৌরে শাড়ির ধূসর বিবর্ণতা।
ছোট্ট চায়ের ক্যান্টিন
ঠুং ঠাং কাপ-ডিশের আওয়াজ
ধোঁয়া উঠছে কায়লার আঁচ দেয়া উনুনে
বনবাতানির উচ্ছেদে—
জনবসতি হয়েছে ছবি
খাল-বিল ভরেছে ধুলো-বালির আস্তরণে
পথহারা গাঙচিল, শালিক, চড়ুইয়ের দল
জল-পিপাসায় কাঁদছে
নির্মল বাতাসে মুখ ঘুরিয়ে হাসে—
নৈসর্গিক সৌন্দর্য
মুগ্ধতায় ভরিয়ে দেয়া এক খণ্ড স্বর্গ
টাপুর টুপুর নিঝুম দুপুর
ঘন কালো মেঘের কোলে—
ঝিরিঝিরি বাতাস দোলে।
ছোট্ট পুকুরে টলটলে জল
জমাট বাঁধা শাপলা ফুলের মধুর হাসি—
ভ্রমর বলে আসি আসি।
আমি ও নুরী বসে পাশাপাশি
দেখি জলছবি
জলের কলধ্বনির তানে—
বুনোহাঁস মিষ্টি হাসে উচ্ছাসে।
পুকুর পাড়ে
গাঁয়ের ছেলে ছিপ হাতে
মাছ ধরছে হেসে-খেলে।
একঝাড় কাশফুলে—
উঁকি দিচ্ছে রঙবেরঙের প্রজাপতি
ওদিকে কাঠবিড়ালর মন নাচে
মিষ্টি সুরের তালে—
কিচির মিচির শালিকের গানে।
মেঘলা দিন
আসমানে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ
মা এসেছে গ্রামে—
শৈশবে ঘরে
নাড়ি ছেড়া ধনদের সঙ্গে নিয়ে
ম ম ভাসে শিউশি গন্ধ স্বপনে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..