মিনিটে তেতুলিয়া সেকেন্ডে টেকনাফ

বাদল রায় স্বাধীন
কবিতা
Bengali
মিনিটে তেতুলিয়া সেকেন্ডে টেকনাফ

প্রেমিকা এখন করে না ভয় তার করোনা

প্রেমিকাটা অনেক দিন,মেলায় না হাতে হাত,
রেস্টুরেন্ট ও পার্কের আড্ডায়,হয় না এখন রাত।

হ্যান্ডশেক করতে চাইলে বলে,হাতটা ধুয়ে আসো,
আমায় যদি সত্যিকারে, তুমি ভালোবাসো।

মাস্কবিহীন তোমার মুখটা, দেখেবো বললাম কবে,
উত্তর আসলো করোনাকে, হারিয়ে দাও তবে।

ডেটিং ফেটিং হারিয়ে গেছে, লকডাউনে সব,
চুমোর মধ্যে ভাইরাস নাকি, উঠেছে এখন রব।

জড়িয়ে ধরতে চাইলে বললো, পিপিই দাও এনে,
সর্দিকাশির লক্ষণ তোমার, আমি গেছি জেনে।

তোমার জন্য আনবো বললাম, কোন রকমের গিফট?
বললো এখন কাগজি লেবু, স্যানিটাইজার ফিট।

সোনাদানা পোশাকও নয়, একি তোমার চাওয়া!
বললো এখন বাঁচতে দরকার, ভিটামিন সি খাওয়া।

বাইরে কেন দাঁড়িয়ে রাখলে,ঘরে যেতে দাও,
জীবন এখন অনেক দামী, বললো থেমে যাও ।

বিয়ের কাজটা কবে সারবে, বললাম মিহি সুরে,
বিধবা হওয়ার রিস্ক নেবোনা, কপাল যাবে পুড়ে।

মরে গেলে আসবে কিনা, বললো সম্ভব নয়?
আমার কি নেই জীবানুতে, সংক্রমনের ভয়?

করোনাটা সব কিছু আজ, নিলো আমার ছিনে,
বেঁচে গেলে প্রেমিকা নয়, বেশ্যা আনবো কিনে।

 

মিনিটে তেতুলিয়া সেকেন্ডে টেকনাফ

ধনী গরীব বোঝে না, ভাইরাস করোনা,
টাকা পয়সার দম্ভে, তুমিও বেড়ো না।

ধর্ম আর দম্ভের, বাড়াবাড়ি করলে,
সব কিছু শেষ হয়, করোনা ধরলে।

ধনী আর দরিদ্রের, দেখি ভেদাভেদ,
করোনার আঘাতে, উবে যায় জেদ ।

করোনার কাছে সবাই, মেনে নেয় হার,
ধনী গরীব কেউ পায়না, তা থেকে নিস্তার।

ভেদা ভেদ ভুলে সব, সমানে চল,
না হলে ফেলবে, দু-চোখের জল।

অনুজীবের আঘাতে, চলে যায় প্রাণ
এখনো বুঝলে না, স্রষ্টাই মহান।

দেশ আর কাঁটাতারের, সীমানা ভুলে
রক্ষা কেউ পায় না, করোনা ছুঁলে।

বাহনহীন যেতে পারে, সকল মেরুতে
এখনি বাংলাদেশ, কিছুপর পেরুতে।

তেতুলিয়া মিনিটে, সেকেন্ডে টেকনাফ
মুহুর্তে কত জীবন, করে দেয় সাফ।

বাঁচতে কেউ পারেনা, ধর্ম ও টাকায়,
কুড়ে ঘর কিংবা, অট্টালিকায়।

সব খানে হানা দেওয়ার, রাখে সে ক্ষমতা,
হার মানে সব কিছু, মায়া মমতা।

এক স্রষ্টার ইচ্ছাতে, সব কিছু চলে,
রাখে স্রষ্টা মারে কে, সকলে তাই বলে।

 

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..