আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
নদীপথ আঁকে চোখের কাজল,
চুলের ডগায় মেখে থাকে মটরশুঁটি!
সূর্যমূখী লাল দেখেও আজ,
মুখ ঢেকে হয় লজ্জাবতী!
কাজলা দীঘির কলমিলতা,
শরীর জুড়ে নকশিকাঁথা!
বটের ঝুড়ি হয়ে পাথেয়,
শুকনো গোলাপ তাঁর স্মরণে ll
পায়ের জড়তা কাটিয়ে
ছুঁয়ে নিলাম তোমায়,
বৃষ্টি তখনও ছোঁয়নি মাটি
তপ্ত দুপুর বেলায়ll
চোখের আলাপে অনুপ্রবেশ
হাতের বাঁধন শক্ত,
অখণ্ড আকাশ দিলাম তোমায়
বাদল হলো মুক্ত ll
আমার দৃষ্টি আজ পেয়েছে নতুন ডানা,
দেশ থেকে দেশান্তরে উড়তে নাই মানা,
স্বপ্ন দেশ এর সন্ধানে দিচ্ছি যে আজ পড়ি,
ঝড় বৃষ্টি যতই হোক ফিরব না আর বাড়ি,
মোদের কাছে হাতছানি দেয় শান্তির পৃথিবী-
আমাদের সংগ্রামেই হবে, দুষ্টের সমাধি !
সংগ্রামে জয়ী হয়ে শান্ত করবো সমাজ,
শন্তি,সুখের গণতন্ত্র সদাই করবে বিরাজ ll
চড়াই পাখির কুটুরিতেও ধরা দেয় বসন্ত,
খোলা আকাশ দেখেনি কখনও তার দিগন্ত….
নুড়ির শব্দ তবুও বাঁচে, নোনা জল মেখে ,
সহশ্রাব্দ ইতিহাস মোছে, বটের মূক মৃত্যুতে।
দুরন্ত গতিতে বেড়ে চলা, ঘরের উপর ঘর….
চাঁদকে করেছ কোলবালিশ , রৌদ্র হয়েছে প্রখর!
দাবানলে সমাপ্ত প্রজাতি, সে ছিলো অসীম শক্তিধর,
যে জোতুগৃহ লোমকূপে ভরছো, তাকে বাঁচাবে কোন ঈশ্বর-!
সময় তো এখনো আছে , যদি চাও পরিত্রাণ,
নোনা জলে দাও ডুবিয়ে,নুড়ি-জুড়ে পাথর গাইবে গান……
মেঘ যখনই বৃষ্টি দেবে , ফলবে সোনার ধান,
ঘাস কিংবা বট, ফিরলে দেখ,নাচবে ফড়িং, বাঁচবে যে-প্রাণ॥
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..