প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
প্রিয়তমা অন্ধকার
আঙুল হারায় খোঁপার সহচর
ঘ্রাণের আত্মহত্যায় সাইকেলের কবর
বেলীফুল বসে আছে
হাতের বিছানা শুধু গাল
অনুগ্রহে দ্বিগুণ নিথর
গোপনে লজ্জিত লাশ।
প্রিয়তমা অন্ধকার
এরকম এক ঈদ-উল-ফিতরে
পাশাপাশি ছিলো বলয় এবং গ্রাস।
প্রিয়তমা অন্ধকার
আমাজন স্টেডিয়ামে টসে কে জিতেছিলো? গ্যালারির স্নায়ুচাপ- ফ্লাডলাইটে কাঠগোলাপ, বাঘের দাঁত
ওয়ার্ম আপে হ্যাট খুলে জলের আম্পায়ার!
প্রেমিকদের কাছে সংসারের হিসাব নেই, একথার খতিয়ান ধরে সন্ন্যাসীরা চিবুকের কাছে ছুটে যায় মসলার গন্ধে
একজন গণিকা হতে পারেন রত্নগর্ভা, কয়লার খনি সব আমাদের জন্য বাসি খবরের কাগজ।
প্রিয়তমা অন্ধকার
২০% মানবিকতা তোমার বুক থেকে শুষে নিচ্ছি কার্বন যাতনায়
খবরের কাগজগুলো বিক্রির সময় ময়লা হাত উঁকি মারে হাসপাতালের বারান্দায়
প্রিয়তমা অন্ধকার
ভিন্ন রিপুদ্বয়, উট জবাইয়ে হাসে উটপিঠের জল
যতটা প্রিয় ‘শ্রাবস্তীর মত মুখ’, বেশি প্রিয় ‘লাশকাটা ঘর’
আধুনিক গবেষক বয়ান, ‘সিভিয়ার বাইপোলার ডিজঅর্ডার’
কবিতার ভারী উত্তর, “পৃথক, তবু ঘনিষ্ঠ দুঃখবাদ”
সমগ্রধ্যানে, হাজার বছর ধরে নির্জন সাক্ষর প্ল্যানচেট
বিনয়ের অ্যাশট্রে ধরে সাধবো কি দু একটা বেনসন সিগারেট?
প্রিয়তমা অন্ধকার
তোমার মুখের সব মোহ- গ্রীবা ছুঁয়ে বসে পড়ে অশ্বত্থ পায়ে
কবিকে পেলে আজ বলে দিতুম, শালার মাথাটাই একটা লাশকাটা ঘর
প্রিয়তমা অন্ধকার
অতীত ভুলে যাবো যাবো, স্মৃতিভ্রষ্টতার মূকাভিনয়
নামকরা ডাক্তার লিখলেন ঘচঘচ, স্মৃতি উন্নয়ন বিশাল প্রেসক্রিপশন
মুখ নাড়ছে
শৈশবের বাতিকগ্রস্ত ক্লাসরুম
খেলার মাঠে পিছিয়ে পড়া কালো রোদ
আধুনিক টোনাটুনি সিনেমার ভিন্ন একঘেয়েমি
টিফিন টাইমে বাবা স্মরণে একাকীত্ব আহার
প্রিয়তমা অন্ধকার
অতীত ভুলে যাবো যাবো, ওষুধ ভুলে যাচ্ছি
প্রজন্ম স্মৃতিতে না মিশুক রক্তের মূকাভিনয়।
দ্যা অ্যাগনস্টিক ৬- স্লিপ মোড
মা আমাকে ‘নাস্তিক হারামজাদি’ বলতে বলতে উঠে গেলেন খাবার টেবিল থেকে।
‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ’ না বললেও ঢেক্কুরে মায়ের গর্ভের উত্তাপ থাকে একপ্লেট।
“এজন্যই তো মানুষ তোকে তসলিমা নাসরিন বলে”
আমি খুব একঘরে এবং প্রেমিক একজনই। বিয়ে করবো তাকেই কারণ আমি খুব বেশি প্রেমিকা! মাথানিচু হাঁটতে গেলে এলাকার কাণ্ডহীন গাছগুলোর সামনে হড়বড় শৈল্পিক গণিত । ঈদের সময় পা ছুঁয়েও সালাম করি, যদিও পা ছোঁয়াটা কেনো শিরিক নয় এই ভেবে ভেবে হ্যান্ড ওয়াশে হাত ধুঁই। বিদায় নিয়ে আসার সময় ‘আসসালামু আলাইকুম’, ‘স্লামালাইকুম’ শব্দটি ১০০ টাকার সালামিতে ক্যালায় ডান হাতের জীবানুমুক্ত ঠোঁটে।
উলঙ্গ থাকার রোগটা কবিতায় অপ্রকাশ্য। জানালায় সহজে টোকা দেয় না সিগারেটের উত্তরপুরুষ ধোঁয়া। ওয়াজ শুনি, আব্বুকে জিকির করতে দেখলে মনে হয় তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধর্মের মতো আলোকিত!
আবার শয়তানদের কাছ থেকে বইয়ের তালিকা চাই, ভদ্রসমাজে ‘অশ্লীল’ তকমা ধারী জ্ঞানীদের তাবলীগে খুব লোভ। আঙুল জিকিরে অক্ষর-ভাইরাস স্ক্যান করতে অক্ষম ঈশ্বর চলে যায় স্লিপ মোডে।
“এজন্যই তো মানুষ তোকে তসলিমা নাসরিন বলে”
একটা নিশ্বাস নিলাম, দীর্ঘ নয়,অতটা হ্রস্বও নয়। যখন পৃথিবীকে তোমার কলবে পরা ভিন্ন ডিজাইনের আংটির ব্যাসার্ধে চ্যাপ্টা করে ফেলি
আর মগজ আমার বদনাম করতে করতে তার আঞ্চলিক সেনাদলকে পাঠিয়ে দেয় কবিতা বাড়িতে বিশ্রাম নেয়ার জন্য
অব্যবহৃত বুলেটগুলো ফুসফুস থলেতে জমা পড়ে, আধখাওয়া অক্সিজেনের খেদমতে
দীর্ঘ নয়, অতটা নশ্বরও নয়।
পুনশ্চ: কলবের ভৌগলিক অবস্থান ব্যাসার্ধ-বাসের জন্য
উপযোগী করে তোলো। কবিতাটি এখানেই শেষ হতে পারতো কিন্তু একইরকম নিশ্বাস আবারো, নাকেমুখে পর্দা ভাঙছে শূন্য হিমাঙ্ক ধূলো।বেচে যাওয়া বুলেটের থলে কাঁপতে কাঁপতে শেখায়, দীর্ঘ বেড়াম নশ্বরতায় আধুনিক নিঃশ্বাস রসায়ন…
অফিসে যাচ্ছো না দেখে কপোল
কাপড় গোছানোর রুল ভাঙিনি
স্যুটকেস ধরে আছে হিসাবী আঙুল
তোমার হৃদয়ের মতো এখনো ঘুমোতে পারিনি।
শরীর মেরিনেশন, ওভেনে প্রিহিটেড শীৎকার
শরীর বদহজম, কাপুরুষ পুরুষ হওয়ার রেস্টুরেন্ট বিকার।
ঘরণীর চুলের মার্কার মোটা কাগজের পাতলা যৌনতা
তিনবেলার বাধাই রেসিপি তার ঢিলা খোপা।
যুবতী-দরজা এমন রাতগুলোতে হাতুড়ির জোরে ভাঙেনি
তোমার হৃদয়ের মতো এত বড় হাই দশ বছরে তোলা হয়নি।
আজ একটা শরীর, যদিও শরীর নয়
থেতলে দিতে হবেই হবে
ভিড় পায়ের কয়েক ইঞ্চি কাছে
বা কয়েক হাঁটু দূরে শান্ত মগজ
গড়াগড়ি রক্ত অট্টহাসি!
এখানে পায়ের চোখ থাকে শুধু
চোখের চোখ থাকে না..
বেঁচে থাকা মানুষগুলোর মাথায় ধুলো উড়ায় মৃত পা
বেঁচে থাকা মানুষগুলো তবু ভাঙায় খাদ্যের মসলা
দরকষাকষি– কারখানায় বিশাল লাইন
আবারো যন্ত্রের ঝাপ, মানুষ মগজ খাওয়া পাকস্থলী থেতলে যাক
ঘুমাও কালপুরুষ, শাস্তি পাক মৃত্যুর অধোয়া চাদর
এসব চাদর গায়ে ঢেকে রাখতে নেই ঋতুপাপী জীবনের শীত।
১.
শহীদ হয়ে গেছে এক কৌটার স্বর্গ ও পোয়াতি শহর
নিরুপায় একুশ ভূমি থেকে উড়ে বাংলা অক্ষর
যেনো মাংস পোড়ানো বিদেহী ধোঁয়া!
যে আগুনকে বলেছিলাম “তুমি মানুষেরই ক্লোন!”
সে ঢকঢক করে গিলে ফেললো বর্ণমালায় কিছু প্রিয় শব্দ।
আগুনের আবিষ্কারক মানুষ আজো আগুন হতে পারেনি
ঈশ্বর যদি মানুষ-স্রষ্টা, এড়িয়ে চলেন কেনো মানবীয় দহন!
কবির আগুনডানা বুকের পাশে তাই এতো এতো খুলি
জল্লাদ কলমে অনায়াসে ফাঁস নেয় রাষ্ট্র
২.
যুবতীর চিবুকে আগুন থাকলেও বিপ্লব নেই
যুগের পর যুগ তাই চিবুকের কাছে কয়লা হয়ে যায় সস্তা প্রেমিকেরা!
বিপ্লবীদের এপিটাফে এবার তবে ধ্যানে বসো…
১.
নীল ঠোঁট, কন্ঠনালী সুরঙ্গে থমকে শোলমাছের চিরকুট
ঘুমের ওষুধজলে স্নান করে নেয় মায়ের হাতের তরকারির স্বাদ।
রগকাটা রক্তে আঙুল ভুলে আঙুল!
ছুড়িতে ভাত ও তসবির কিছু চিহ্ন মিলে।
মুলতবি শেষ, সময় হলো জজসাহেবদের ভাত পঁচিয়ে ব্র্যান্ডেড রক্তপানের।
২.
একটা উলের মাফলার যখন ঝুলন্ত বধ্যভূমির পতাকা
মাফলারের ব্যবসায়ীরা আরো বেশি বেশি আমদানি করে ভাইয়েদের নির্বস্ত্র বুক!
কেউ কি জানে? নির্বস্ত্র বুক থেকে কতোপ্রকার উলের ফলন সম্ভব?
৩.
বিগব্যাং যখন কেবল একটি মিথ হয়ে সামনে দাঁড়ায়
ভাবি, কতোকাল না জানি পৃথিবী ঘুরছে পৃথিবীহীন বলয়ে…
অথচ মানুষ হয়ে আছে স্থির, যেনো ভুল গ্যালাক্সির স্ক্রিনশট!
বোঝা যায় না, রক্ত ও নারীর উজান উঠে আসলে চাঁদের স্বভাবে।
৪.
পৃথিবীহীন বলয়ে ঘুরে ঘুরে যদি হয়ে যাও স্থির
তবে শুধু অমর হয়ে রবে করোটি জমানো সিন্দুক!
তারচেয়ে বরং আত্মধারার আয়নায় নিভে যাক বেজন্মা শ্লোক
ওষুধেরা সেই পুরনো চোরাবালি থেকে ফিরে আসুক, রেটিনার কোমল দরজায়….
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..