প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হাসনাহেনার সৌরভে অমরত্ব খুঁজতে গিয়ে আমার ঘ্রাণ ইন্দ্রিয় দলছুট হরিণীর মতো খুঁজে বেড়ায় তোমার ঘর্মাক্ত নোনতা গন্ধ
সহজিয়া রাত্রীর দীর্ঘশ্বাসে বয়ে বেড়ায় না পাবার আর্তনাদ।নোনা জলের চোরাস্রোতে হরহামেশাই পাড় ভাঙে বুকের নদী।কেমন যেন (অ)স্বাভাবিক উল্লাসের মতো শব্দ ভেসে মাছরাঙা পাখির গানে, আমি শুধু হিসেব কষি
জোনাক বাতি আর প্রগাঢ় আঁধারের যোগফলে।
ইদানীং সোমরসের সুরারক্ত ঘোরে বিদ্রোহ করে বসি স্বয়ং ঈশ্বরের সাথে
চেতনায় ফিরে দেখি আমার নাক ফেটেছে, রক্ত ঝরছে হাতের সুবর্ণরেখায়
আমি দ্বিচারিণী প্রলোভনে কখনো রক্তের ছায়ায় দেখি হারিয়ে যাওয়া প্রভাত বাতি (আবার) কখনো দেখি নিজস্ব ছন্দের খেঁই হারিয়ে ফেলা দৌঁড়।
নিষিদ্ধ-পল্লীর বর্ডার লাইনে জন্ম নেয়া অর্ধ-ফোঁটা ফুলটিও হয়তো পেয়ে গেছে জীবনের মানে
আর আমি বাসনায় ধুপকাঠি জ্বেলে মাছ শিকারি কিশোরের মতো ছিপ ফেলে বসে থাকি — এই বুঝি ধরা দিলো আমার সোনালী স্মৃতি।
তোমার ভাষায় তোমার সঙ্গে আমি কমিউনিকেট কোরতে পারি না বোলেই আমি তাকিয়ে থাকি শূন্যেরও পানে — দ্যাখি নগ্ন শরীরে তার উড়ে যায় চিল যার ঠোঁটে মৎস্য শাবকের সংসার ভাঙা শোক বেহালার মতন বাজে…
এ ক্যামন শীত ঢুকছে — ক্যামোফ্লাজে আড়াল চামড়ার বায়বীয় নগ্নতা। ঝিরি গুঞ্জনে চিটচিটে একটা ভাব, য্যানো নৌকোমাত্রিক নদীর শরীরে ডুবচর।বালখিল্যে হাসির বিন্যস্ত সরল রেখায় কম্পাস হারানোর বিজ্ঞপ্তি। নাচে পেখম তোলা ময়ূর, বেলা হারিয়ে ফ্যালা অপেরার স্টেজ।
একদা এমন শীতে চুরটের ধোঁয়ায় উড়ে যেতো নেমেসিস। পৃথিবী বদলে গ্যাছে আশ্চর্য নারী হয়ে — বাঁকানো ভূগোলের পিছে ছুটছে তার লকলকে পা।
বস্তুত কোন নরক নেই।আমাদের সংসার বেলায় রুক্ষতা এলেই বিপরীত দরজাটি খুলে যায়।আমরা প্রবাসী পাহাড়ের মিথ বুকে করে ঘুমিয়ে পড়ি; হঠাৎ হঠাৎ গাই — “মীরাবাঈ, হেইল্যা দুইল্যা….”
বাষ্পে উড়ে তোমার রঙিন গীতের সংসার।কামিনীর সন্ধ্যায় আলোহীন পথে থেমে যায় পা।জমিয়ে রাখা শোকের পৃষ্ঠায় দুঃখ কাজলে আঁকে ভ্রাস। আকাশ হ’তে নামে আবাবিল পাখি — যাদের তীরন্দাজ ঠোঁটে আছে ব্যবচ্ছেদ প্রক্রিয়ার নথি এবঙ বোধিবিজ্ঞান।
বহুগামী অন্ধকারে দিশাহীন মরু চুষে নেয় সবটুকু জল — হাহাকার! হাহুতাশ!
বোধের বিছানায় ক্যাকটাস নর্তকী হয়ে নাচে।
নোঙর খুঁজে না পেলে জলের খোঁজ
দিক-জ্ঞান (শূন্য) কম্পাস দণ্ড হয়ে আঁকে জরাগ্রস্ত সময়ের জীর্ণ জিকির
তখনও মায়ের মতো বিশ্বস্ত দুটি হাতে আলোর অভিশাপ, চোখ বন্ধ করে তুলে দিই স্বীয় স্পন্দন
যার হাতে ছুরি তবুও ছুরি নয় য্যানো শতরঙা প্রজাপতি জীবন — ডাক্তার।
[কবিতাটি জিনাত আফরোজ কিরণ’কে উৎসর্গ করা হলো]
সুরম্য অট্টালিকায় অক্ষর শুয়ে আছে শীতনিদ্রায় রুদ্ধ তার দুয়ার
আমি সিঁড়ি ভাঙছি — একটি… দুটি…
ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রাভিটি এবং দালানের পা
কেউ আছে?
পাখি হয়ে গ্যালো কোন শোকে!
কবিতার খাতায় কেউ নূপুর পরে হাঁটে
আমি অক্ষরহীন ; আঁকতে পারিনা সে চরণ
পানের গ্লাসে ভাসে ম্লান লাল চোখ
আমারও কি ঘুম প্রয়োজন — বিভ্রমে ক্যান দেখি তারে?
চিরহরিৎ কান্নায় বোবা চিৎকার বাতাসে ভেসে যায় টেকনাফ তেতুলিয়ায়
স্থেথো ধরতে পারেনা স্পন্দন —
তবুও
ক্যান
পাঠ
হয়না
ইন্না-লিল্লাহ্ আচার…
উৎসব শেষে ফিরে এসো — আমার করোটিতে ফুটছে জবা ফুল
গুপ্তঘাতকের মতো দূর থেকে পাঠিয়ো না আগরের ঘ্রাণ বিধবা রঙের মেঘে।
ফিরে এসো উৎসবের শেষে — তুলে নিও করোটিতে ফোটা জবা ফুল; হোলি খেলে কাটিয়ে দিয়ো কয়েকটি প্রহর।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..