দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
আছমত খলিফা। চেয়ারে হেলান দিয়ে মনোতৃপ্তির ঢেকুর তুলে দাঁত খিলান করতে করতে বলছিলেন, ‘নয়ন মোল্লা তুই বোলে মাগুর মাছ খাস না!!! ‘নাকই মাছ’ কয়ে খাওয়াইলাম…. হা হা হা।’ অবশ্য নয়ন মোল্লা তখন সেখানে ছিল না।
কিছুক্ষণ আগেই আছমত খলিফা আর রবিউল মিয়ার খাওয়ার পর্ব সমাপ্ত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঐ খাওয়ার সময়ই। দুপুরে অফিসে একসাথে খাবার খায় তরকারি ভাগাভাগি করে। কার্যালয়ের একই শাখায় একই পদে কাজ করে দুজন। দু’জনই ভাল এবং মিশুক মানুষ। তবে রবিউল মিয়া কখনো কখনো হিংসাত্নক আর আছমত খলিফার রয়েছে গোয়ার্তুমির স্বভাব। কার্যালয়ে আছমত খলিফাকে শুধু খলিফা সা’ব আর রবিউল মিয়াকে মিয়া সা’ব বলে সহকর্মীরা সম্বোধন করে।
লাল চালের ভাতে ফুরানি দিয়ে মশুর ডাল ভর্তা, বেশি সরিষার তেল দিয়ে উস্তা ভাজা, ছোট মাছের চচ্চরি খাওয়ার পরে মিয়া সা’ব টিফিনকারীর সবশেষ বাটি থেকে বের করে ভূণা মাগুর মাছ। কিন্তু খলিফা সা’ব ‘ওমাছ’ খেতে রাজি নয়। বলে, ‘একবার ‘রিঠা মাছ’ মনে করে খাইছিলাম। আর খাবো না।’ কথোপকথন শেষ হওয়ার পরপরই ওখানে আসে নয়ন মোল্লা। সেও এই অফিসে কর্মরত। অন্যান্যদের মত সেও মোল্লা সা’ব নামে কার্যালয়ে পরিচিত। তাকে মাছ খোওয়ার প্রস্তাব দিতেই বলে কি মাছ? খলিফা সা’ব নাকই নামক সামদ্রিক মাছ বলে উল্লেখ করে। (নাকই বলতে কোন মাছ নাই। নাকই অর্থ ‘না বলি’।) কিন্তু মোল্লা সা’ব বিষয়টি বুঝতে না পেরে মাছ খেয়ে কক্ষ থেকে চলে যায়।
সাধারনত মাগুর মাছ রাক্ষুসে প্রকৃতির মাছ হওয়ায় চাষীরা মরা প্রাণীকে (যেমন মরা গরু, মরা ছাগল, মরা মুরগি ইত্যাদি) এমাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। তাছাড়া এই মাছটি পচা দুর্গন্ধ পানিতেও অনায়াসে বেঁচে থাকে। এসব কারনে মানুষ মাগুর মাছ খেতে চায় না। তবে মিয়া সা’বের মাগুর মাছ অত্যন্ত যত্নের। সে বাড়িতে ছোট হাউজে ভাল ভাল খাবার দিয়ে চাষ করে।
মোল্লা সা’বকে বোকা বানিয়ে খলিফা সা’বের উৎফুল্ল মন আর আনন্দের জোয়ার দেখে মিয়া সা’বের মনে পরশ্রীকাতরতা জেগে উঠলো। খলিফা সা’বকে শায়েস্তা করতে মিয়া সা’ব ফন্দি করল।
‘খলিফা সা’ব, গত কয়েক মাসে কোন তরকারিডা আপনার বেশি মজা লাগছিল?’
‘ক্যা মিয়া সা’ব; ওইযে ইচা (চিংড়ি) মাছের ভর্তা আনছিলেন; ওইড্যাই খুব ভালো লাগছিল।’
‘ইদানিং আমার এলার্জি খুব বাড়ছে। গত ছয় মাসের মধ্যে ইচামাছ কিনি নাই, ভর্তাও খাইও নাই।’
‘ক্যা মিয়া সা’ব, মাসখানিক আগেই না খাইলাম …’
‘খলিফা সা’ব; কাকড়া খাওয়া হারাম নাকি মাকরুহ?’
শুনেই বুঝে ফেলল খলিফা সা’ব। ঘৃনায় শরীর রি রি করে উঠল। তবে যেহেতু মাস খানেক আগে খেয়েছে তাই না পারল বমি করতে, না পারল ওয়াক করতে …..
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..