প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কবিতা কেন পড়ি
১) কবিতা পড়তে ভালো লাগে তাই পড়ি।
২) কবিতা পড়ি ; কবিতা লেখার জন্য, কবিতা লেখার স্বার্থে।
৩) কোনো কবিতার মধ্যে নিহিত বিস্ময়কর শৈল্পিক সূক্ষ্মতার কারসাজি আমার ভেতর এমন মায়াজাল বিস্তার করে যে আমি তার ফাঁদে পড়ে যাই এতটাই, যা শেষপর্যন্ত কবিতাটি পাঠ না করা অবধি আমার নিস্তার থাকে না।
৪) কবিতা আমার কাছে এক অন্য ভুবন, অন্য আকাশ, অন্য জল ও বায়ু – এক আলেয়া, আমি তার আকর্ষণ এড়াতে পারি না, পিছু নিই, প্রবেশ করি কবিতায়।
৫) কবিতা থেকে কবিতায়, কবি থেকে কবিতে কবিকৃতির ভিন্নতা, স্বাতন্ত্র্য এবং নির্মাণশৈলির যে বৈচিত্র ও অভিনবত্ব তার প্রতি ঔৎসুক্যই আমাকে কবিতার দিকে টানে, কবিতা পড়তে বাধ্য করে।
৬) বিশেষ করে এখন তরুণ প্রজন্মের কবিরা কী ভাবছেন, কী লিখছেন, কীভাবে লিখছেন তা অনুধাবন করার জন্য কবিতা পড়ি। নতুন কবিতার অভিমুখ কোনদিকে তা জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে নতুন প্রজন্মের কবিতা পড়ি।
৭) গোড়ার দিকে আবহমানকালের (বাংলা) কবিতার সাথে সংযোগ স্থাপন করে প্রণম্য পূর্বসূরী কবিদের কৃতি ও কৃৎ কৌশলের সংস্পর্শে এসে যে মুগ্ধতাবোধে আচ্ছন্ন হই, পরবর্তীকালে কবিতার ইতিহাসে সামগ্রিকভাবে নির্মানশৈলী ও টেকনিকের বিচিত্র সম্ভার বা ভাণ্ডারের সাথে পরিচিত হওয়ার লোভে ও হাতছানিতে তা থেকে আর নিষ্ক্রান্ত হতে পারি না।
৮) কবিতার ধানের ক্ষেতে লুকোচুরি খেলা দেখার নেশায় কবিতা পড়ি।
৯) অপরের কবিতাই একাধারে আমার কবিতা লেখার একান্ত গৃহশিক্ষক ও আমার পাঠক সত্ত্বার জনক। কবিতায় আমি পরিশ্রুত হই ; কবিতা আমাকে নির্মল করে তাই পড়ি কবিতা।
কবিতা কেন লিখি
১) যদি আমিও বলতে পারতাম যে “আমি না লিখলে বাংলা কবিতার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ভেবেই লিখি” তাহলে হয়তো আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম, কিন্তু, নানা কারনেই তা সমীচীন হবে না ; অতএব সেটা বলা থেকে বিরত থাকছি ; বরং লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি বলাই শ্রেয় ও সবদিক থেকেই নিরাপদ।
২) একটা লেখা না লেখা অবধি সেই লেখাটি আমাকে আমার প্রাণের ভেতর পণবন্দী করে রাখে এবং কেবলমাত্র লেখাটিকেই মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে ; লিখে আমি সেই দাবি মেটাই ও নিস্তার পাই।
৩) কবিতা লেখাটাও কখনও কখনও এক ধরনের খেলা যে খেলাটি খেলতে আমি ভালোবাসি ; আর খেলতে খেলতে সেই “খেলা” উল্টে একবার যদি “লেখা” হয় যায় তো আর একবার “লেখা” শব্দটি নিয়েও খেলায় মাতি। কবিতার মতো এমন ‘মগের মুল্লুক’ আর এমন স্বেচ্ছাচারিতার জায়গা তো আর কোথাওই নেই ; তাই স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্য লেখার আশ্রয় নিই।
৪) কখনও কখনও আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি অলিখিত লেখা নিজেই আমার টুঁটি চেপে ধরে লিখতে আমাকে বাধ্য করে ও আমাকে দিয়ে তাকে লিখিয়ে নেয়।
৫) নিজের কথা ও মনোভাব নিজের কাছেই একান্তে ব্যক্ত করতে কবিতার কোনো জুড়ি নেই! কবিতার ইঙ্গিত ও ইশারা, সংকেত ও ঠারে ঠোরে ব্যক্ত করার কৌশল বা প্রকাশ ভঙ্গিমা ও ছলাকলা এব্যাপারে আমাকে লিখতে উস্কানি দেয় ও প্রলুব্ধ করে – তাই লিখি!
৬) অপরের কবিতার স্তন্য ও সু্ধা পান করে নিরন্তর আমার মনুষ্যত্ব পরিপুষ্ট হয় বলেই লিখি।
৭) কবিতা লিখতে পারি কিনা দেখার জন্যই কবিতা লিখতে চাই। তবে অনেক সময় কবিতা লেখাটা আমার ইচ্ছা – নিরপেক্ষ। মাঝে মাঝে কান্না পাওয়ার মতোই আমার কবিতা পায়, লেখা পায়।তখন লিখি।
৮) কখনও কখনও মনে হয়- পারি, আর ইচ্ছে হয় বলেই লিখি! কবিতা “কেন লিখি” এ প্রসঙ্গে এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা ও বলার নেই।
৯) পরিশেষে একটা কথাই বলার, ঠিকঠাক লিখতে পারলে আমি এক ধরনের মুক্তির আস্বাদ ও আনন্দ অনুভব করি, এটাও অবশ্যই লেখার একটা কারণ, যা অনস্বীকার্য।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..