প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
এভাবেও আসে আলো..
তুলসী ছায়া দোসর হলে,
চিবুক ভেজে জোৎস্না ধোয়া জলে –
বুক পকেটে আলতো মিঠে আঁচ,
নিচ্ছি সেঁকে ভেজা হার্টবিট রোজ।
মাটির বাড়ি , দিব্বি কলের গান-
হারানো সুর… অবাক জল-পান।
সুর ছুঁয়েছে আলতো ঠোঁটে,
স্বর লেগেছে সেই সাত সকালের
কাঁচা আরোহণের গায়।
গন্ধ ছিলো অবচেতনে,
বর্ণ জন্ম ছিলো অপেক্ষায়।
কাল কেটেছে… ডাল ভোরেছে,
অনামী ফুলেই প্রায়।
আমি অবরহণে ভুলে কড়ি স্বর ভাঁজি,
কোমলে যা কিছু ‘ আবহ অন্তরায় –
হঠাৎ করেই নাড়া-বন্ধন আমার কলিজায়,
আলতা পায়ে পা-এর প্রলেপ তপ্ত অন্তরায়।
আজ শুধু গান, ডুব দিয়ে স্নান-
তোমার চোখের বালি,
বসন্ত্ তানেই ফের গলা সাধি ‘ মেরে বড়ে গুলাম আলী ‘
তিনভাগ স্থলে একভাগ জল
আল কেটে কেটে, আল কেটে কেটে
ক্লান্ত পৃথিবীর কৌপিন আর কমুন্ডুলু যাপন।
নিয়তির ঠিকুজি, শূন্যজা বার বার
উপেক্ষা করে,গ্রহন করেছে দ্বিতীয় কিস্তি।
আর তেরাত্তির পেরোতে না পেরোতে!
ঝুলিতে পড়েছে পৌনপৌনিকতার গিফ্ট কুপন।
এ বসন্তেই কোকিলের শেষ অধিবাস,
এ বসন্তেই আমলকী বনে এক কাঠা জমি,
এক কামড়ার ফ্ল্যাট।
হে মৃত্যু ছুঁয়ে থাকো–
অন্ধকারাচ্ছন্ন আজ বাতিঘর..
মরক অধ্যুসিত সে আজ,
কোনদিন দেখবেনা আলো..
নিয়নেও যে বিষ!
একিউরিয়ামে, লাল, নীল, হলুদ,
মাছেদের জলকেলীতে ;
ঝাপসা হয়ে আসা চোখের
পুনরাই দৃষ্টিদূষণ…..
প্রতিনিয়ত দ্বারস্থে হাজির হওয়া
‘ কেন ‘ রা আজ বুমেরাং —
বিভাজিত সুখের অংশিদার হতে চায়নি,
আজ যে বড় অ-সুখ! জলাতঙ্কের স্বীকার…।
হে মৃত্যু, ছুঁয়ে থাকো
আটকাও সমস্ত গতিপথ,
ভেতর ঘরের গোপন ছিদ্র,
যা আগলে রেখেছি এতোকাল-
কুল কুল বেগে বয়ে গেছে অন্তঃসলিলা,
আমি ভেসে গেছি অবিরাম, নীরবে.. নিভৃতে।
হে মৃত্যু ছুঁয়ে থাকো অনিবার…
ছেড়ে যেওনা, হেরে যেওনা জন্মের কাছে বার বার।
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..