প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
বৃষ্টি, সেও সামান্যই আমার
জল জানে সেইসব গল্পগাছা
তুমি শুধু মেঘ ঢেলে দাও
এই ঘর মৃত এক ভাষা, ব্যঞ্জন ধ্বনিটি আছে, আছে তার না বলা কথার কলরব। কোন বৃষ্টির থেকে ধার নেব জল-শব্দ-কথা! সুদ বেড়ে যায়। কে যেন বারবার এসে এ অন্ধকার ছিঁড়ে দেয়, আমার বেসাতি টলমল, আমি তো বহুত যতন করে ঘর সাজিয়েছি। মাটির মাকড় এসে ভিত কুরে খায়। এখানে শুধুই অন্দর-কথা। নেমে যাই গহীন কুয়োয়, নেমে যাই মন্দ্র সপ্তক চিরে কুহেলি প্রদেশে। বাতুল শব্দের ভারে নিভেছে প্রদীপ, আগুনের শবদেহে হাত রেখে বসে থাকি। শুধু শুধু নদী মুছে যায়। কেউ কাঁদে, কেউ কী কেঁদেছে, কেউ কী কেঁদেছিল কোনোদিন! শেয়াল শূকরের ডাকে ঘাস ডুবে যায়
দুই.
যেন খোলশ ছাড়ছে সাপ
তুমি কি বেদনার গন্ধ পাও
তুমি কি বেদনার গন্ধ পাও
আদি অন্তহীন সেই নিঃশ্বাসের পরও কিছুই কী আর বাকি থাকে, আমাদের রবিফসলের খেতে, আমাদের কমলাবাগানে বেকার বেকার শুধু আলো নিভে যায়। আর শীত ভরতে ভরতে আর জোড়াতালি দিতে দিতে এই ভিক্ষের ঝোলা আরও নিচু, যেন নতজানু, যেন দণ্ডিকাটা উন্মাদ ভক্ত এক নেমেছে মাটিতে। আমি তো বালির দেশে যাব, আমি মরীচিকা ভরে দেব হাঁসের গৃহস্থ ডানায়। আমাদের পানাপুকুরের জলে লিখে দেব মাছমেয়েটির কাম, আট কুঠুরি আর নয় দরোজার খেলা লিখে দেব। বঞ্জর জমিনের পিঠে সবুজ উল্কি লিখে ফিরে আসা মেঘ, আমাকে এতটাও সহজে নিয়ো না। আমি তো অঘোরপন্থি, শবসাধনার শেষে নিজেই নিজের মাংস ছিঁড়ে খাই
তিন.
কেউ যেন হাসতেই থাকে
কে হাসে, কারাই বা হাসে
তার নাম বলে দাও সাঁই
কিরায়া শব্দের ভারে ডুবে যাই গো রসিক আমার। ধর্ম-বিলের জলে নামাই তো হল সার, শুধু পাঁক, শুধু পলি। বিধি রে নিদয়া বিধি, আমি শেষতক চুম্বন করি তোর মুখ, জিভ চুষি, লটকনা ফল যেন, দাঁত টকে যায়। ও মোর গাড়িয়াল বন্ধু, পথ কারে কয়, আমি তো রাস্তা জানি, জলে ধোয়া আগুনের গল্প জানি, জানি অঙ্গার-কথা। মাশাল্লাহ, এই খাঁচার পাখির দিব্যি, রেটোরিক লিখতে বসে সমস্ত ভণিতা আমি ঠিক একদিন বাকল ফাকল ছিঁড়ে বের করে এনে ফেলে দেব এই ক্লোজশটে। যেন ফাঁদ ফাঁদ খেলা, যেন প্রজাপতি হাতে নিয়ে ডানা ছেঁড়ে নওল কিশোর, যেন এই রংটুকু সার, যেন রঙ্গটুকুই সার
চার.
চুমুকপর্ব সারা হলে দেখি
মেঘ শুধু মেঘ
আমি তো আকাশ খুলেছি মাত্র
ব্যক্তিগত পাখিটি শুধু বিরহ গেঁথে দেয়। এই বাসা দুদিনের, এই খাঁচা। নিরেট স্বপ্ন থেকে কথা বলছে না কোনও রং। উৎসুক আমি শুধু হোগলার ছাউনিতে বেঁধেছি এ ঘর। আর বালিকথা, আর ভেঙে যাওয়া হাড়, ব্যাকুল মজ্জা চুঁয়ে মাংসের গান। ফসলের উৎসবে আমি তো প্রতীকী শিকারি। তূণ থেকে বারবার তির খসে যায়। এই কি শয্যা তবে, এই কি আমার সেই শেষতম ধুন? বাঁশিটিকে কানে কানে বলি, সুর হও, সুরা হয়ে ওঠো, বাজাও আমাকে
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..