প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তোমাকে দেখলেই আমি অন্ধ হয়ে যাই
তাই তোমার চোখেই আমার পথ খুঁজি
হে প্রজ্ঞাবান আলো-
অন্ধজনের দেহ ভালো
আমি আকাশ দ্যাখি-
আমি আলো দেখি না
ধর্মতত্ত্ব পড়ে পড়ে
অঙ্গীকার ভঙ্গ করে
আমিও অন্ধ হয়ে যাবো!
বাসার ভেতর টাটকা ঘুমগুলো রেখে আসলাম আজ রাতের গনিত পড়বো বলে লুকোনো মিথ্যের অবিমিশ্র বিকেল নির্বিঘেœ বকুলের সন্ধানদী পেরোতে থাকে সর্ম্পকের যত্নহীন দাঁড়িকমা শিখে নাও-শিখে নাও রোদবৃষ্টির গদ্যপাঠ শিখে নাও মধ্যরাতের অচেনা মনসাভোর আর স্বপ্ন থেকে লাফিয়ে পড়া দিনের হিসাববিজ্ঞান এই যে মোরগের লালঝুটির মতোন পাড়া মত্তকরা রক্তরেখা আমার শরীরে অদৃশ্যপোকার কামড়ে ঘাম ঝরে তার চোরাবালির মানবিক নুন উ তা শীতে হরিণস্তনের মাত্রাফল অকার্যকর স্মৃতিকাতর পাখিসভা কাঠের মন কেটে কেটে কাটঠোকরা বর্ষাকাল নামিয়ে আনে বনে
শরীরে কারফিউ বৃষ্টিসেনার দল চোখের নন্দনস্বাদ বাজিকর অন্ধকারের মাতালচুল বাতাসের গ্রিবায় গোধূলি নামায় হে দরিদ্র আকাশ দেবতা আমার হৃদয়ের পাঁজর খুলে দ্যাখো মননগচ্ছিত ভুল গোলাপের রাত্রি প্রহর মাতিয়ে তুলেছো …অথচ তুমি যেতে চাও-যেতে চাইলেই অতিক্রমন ঠোকাঠে সুখকষ্ট আটকা পড়ে জীবনের মহাজনকালে
আজ চোখের সামনে বন চোখের সামনে রোদ এবং জলের সামনে চোরাস্রােত পাকা দীর্ঘশ্বাসের কদমমুখে অপেক্ষার নামতা পড়ি ছায়াজাগার নতুন মোহনায় জল কার্তিকের কাদাকদমের হলুদ সঙ্গমে!
প্রথম দেখার পলকেই তোমার ওই চোখে চশমা হবার ইচ্ছে ছিলো আমার জীবন উপাখ্যানে মাছরাঙা কপোলপুড়ে তোমার দুচোখের রাষ্ট্রদ্রোহ সীমানায় আমি চিরকালই পলকগৃহের আসামি-অথচ দ্যাখো যখন তুমি চশমাবিহিন খালি চোখে আমাকে পড়ো আমাকে দ্যাখো আর নীল আকাশ ঝরে পড়ে তোমার চোখেমুখে
আমি কাকদৃষ্টির ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে যাই শুন্যের আপনঘরে বাসনার প্রজাপতি ওড়ে রঙিনবাতাসে দিগি¦দিক ছুটে মরি স্বপ্নরেখে
বলো মোর শুধাময়ি নারী-ছাইপাস দেখে দেখে আজকাল তোমার চোখ আমাকে দেখে ঠিকই কিন্তু মন বোঝে না…
চাঁদসূর্যের গ্রহণকালে পৃথিবীর ছায়া কারুজ হয় পাহাড় বেড়াতে
নদী-সমুদ্র-বনবৃক্ষ তখন মানব মানব জোয়ার ভাটায়
আকাশমাটির শরীরে আয়ুর আবেগ বিশ্বাসের জন্ম তুলে রাখে
জল-তুলোর মেঘ ওড়ে সর্ম্পকের ঋতুর সাইকেলে-
ও গো সন্দেহের দেহ- তোমার আশ্রমে আমরা সুখের মলাট খুলে
আজানার মিথ্যেগুলো সত্যের ¯œানে ভরিয়ে তুলবো
তুমি শুধু সূর্যরক্ত মেখে চাঁদের কাছে যেও আর অদৃশ্যের জলধিস্মৃতির
নামে মুক্তবিভায় আনন্দের প্রজাপতি ধ্যানে নতুন অধ্যায়সমান পাহাড়
ব্যক্তিগত পরিসর মেপে নিও কান্নাজলের শব্দসবজি
সমুদ্র থেকে রাশি রাশি অন্ধকার আসে বেদনার সম্পাদ্য নিয়ে
নারীর স্তন ঘুমিয়ে পড়লে পরিয়ায়ি পাখি শরীরতত্ত্ব নিয়ে দেশান্তর হয়
পুরুষশাষিত সরকারের সাম্প্রদায়িক দূরত্বে-
সেই ঘুমের পাঠে আমরা নিজের বৃত্তে নিজেই আগুন হচ্ছি আর জ¦লছি
ভেঙে যায় নদী
ভেঙে যায় শরীর
কেবল বেঁচে থাকে মাটি
ঋষিরাও নদীতে নামে
বাতাসও গতিতে থামে
পর্দা সরালেই দৃশ্য
গত বিগত ভ্রম-গাছেরই রঙ
মাতাল আকাশ প্রেমনীড়বিশ্ব
অন্ধছাতিম চিরকালই রহস্যধর্ম বারোমাস
যাক ভেঙে যাক অতীত সব দুশমন পরিহাস
জোনাকিনৌকো
পাথররাত
জীবনগাছ
ধীর স্রােতে হারিয়ে যায়
চলে যাচ্ছে পথিক
ফেলে যাচ্ছে অতীত পথের দূরত্ব
চলে যাচ্ছে শীত
দিয়ে যাচ্ছে আগমনি গ্রীস্মের বীজগনিত ছায়ার উপমা
বয়ে যাচ্ছে নদী
নিয়ে যাচ্ছে নারীর মন ও প্রেম
থেকে যাচ্ছে কষ্ট-
রেখে যাচ্ছে তার স¦রচিত যাবতীয় নক্ষত্ররাতের ভার্জিনলাশ
বৃষ্টিজাত রাতের ভাষা নীলাকাশ আর পাখিরা বোঝে নিশ্চয়ই
জলের কাছে মরমি সুখঋণ শোধ দিতে দিতে কয়েক শ্রাবণ
পাখিবছরের অপেক্ষার যুবতি বসন্ত
স্মৃতির অসুখ হলে জলদিনের স্তন পুড়িয়ে গোলাপজোসনা ফোটায় সমুদ্রে
দিনগুলো ডাকবাক্সে তোমার নামে পুরে দিলাম
আমার অবশিষ্টরাত যাযাবর প্রেমে এখন মনের ঐ২ড়
হাসির বরপুত্র অন্ধকারে রাজকুমার হয়ে কেবলই মানুষকে কাঁদায়
তোমার উর্ধ্বপাটাতন খুলে বুঝে যাই রাস্তার বিউটির্পালারগুলো
নারীর অমিসাংসিত সাহসী গোপনরাজ্যপাট!
এ পৃথিবী কারো নয়-
এই পৃথিবী ঈশ্বরেরও নয়
নয় কোনো ধর্মজাজক প্রেমিক ক্ষমতার নিরাকার আসমান্দসুখ
তোমার সাথে আমার যে যাতন সর্ম্পকচোখ মারিয়ে মনের মৌলবাদই
তার তোমার ঈশ্বর
এ পৃথিবী কেবল নারীপুরুষের নয়-
সকল প্রাণপতঙ্গের মতিগতি বিচূর্ণ ফোয়ারা প্রকৃতিধারা
জানি-ক্ষমতার বীর্যে পতিত মানুষ লালস্য কোরে নয়া ঈশ্বরবাদ
যুদ্ধে যাবো না বন্ধু
ধর্মের বেপরোয়া নিষ্পাপ মুছে মুছে জমিয়ে রাখবো স্বভাবের রাজনীতি
নারী যে পুরুষের শরীর বোঝে না-
এ দেহখানি আমার দেশ আর মনের পৃথিবীসরকার
তুমি মুক্ত আমি ইমোশনালি ভূক্ত স্বাধীন
বলো মানুষ-
মনের চেয়ে আর কোনো প্রকৃতির ঈশ্বরস্বাধীনতা নেই
নেই
আমিটাকে ভালোবাসি না-জ্বলে আর নেভে
অনায়াসের আগুনে একতিথিক্ষণ
আমিটা ছায়া পরিহাসের মায়া প্রাণের কায়া
ও গো খুন কে মাংশ পোড়ায় কে বলে দেশলাই
শিমুলের রঙে ফাগুন ভরা বুননে যতো কলা
ভাঙচুর খাই
যতোটুকু জানি-ততোটুকু আমি
তারচে’ও তোমাকে চিনি
মৃত্যুহারা অচিনপাখি মায়ার পথে অন্তবীণার হার
থাকে- থাকে কিছু বলার!
তাড়াই যতো হারাই ততো মনকুমার ভয় করে কে তার
আমার নেই কেউ আমি কার!
পুড়ওেছ বাতাস পুড়ছে ভার
আজ তাই পড়েছি প্রকৃতির হার স্বপনে-এ্যাক মায়াবি মরমি
আমি আমারি গুপ্তচর আমি নিজেই নিজের প্রতারক প্রদীপ
কেনো লুকিয়ে থাকো প্রেমে অপ্রেমে আমারি মননে অন্তরীপ!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..