ভাস্কর দিয়েছে মই মেঘের দেশে যাবার
ওখানে আছে অনেক সময়, অনেক কিছু ভাবার
আইডিয়াটা দারণ বটে নতুন অভিনব
হয়তো তরুণ ভাব-ভাবনায় সমৃদ্ধ হবো,
এই দুনিয়ার গোলকধাঁধায় আঁধার দেখি ক্রমে
দু-চারটে দিন রেহাই পেলে একটু কুলায় দমে,
উদ্যমের কথা আর বোলো না, কেবল বিনা দোষে
কেঁচিয়ে যায়, তাই তো এবার মেঘের ওপর ব’সে
ঠান্ডা মাথায় আরাম ক’রে অঢেল পরিসরে
কবিতা লিখছি লিখতে যাচ্ছি একলা অবসরে ।
খরায় ধরায় দাবদাহের প্রবল দাপাদাপি
দলাদলির হানাহানির হন্যে ঝাঁপাঝাঁপি
পাপীতাপীর দঙ্গল-রাজ জঙ্গল এই ধরা,
এখানে কেউ কি লিখতে পারে সার্থক অন্তরা ?
মেঘের দেশে দারুণ মজা , অরুণ রাজার খেয়াল স়কাল বিকাল বেলুন ওড়ায়, রামধনুতে দেয়াল
ছোপায় লেপায় নীল আকাশের, বাতাসের গুলতানে
মীর-গালিবের গজল বহে সুধার সন্নিধানে
ঢ্যামকুড়কুড় ধিনাক ধিনাক বিজুরী-বালা নাচে
কখনো সাধে প্রলয়-নাচন সামনে দূরে কাছে
রঙবেরঙের পাঙ্খা দোলায় পরীর প্রজাপতি
হাজার দঙ্গলে মাথার ওপর ছাতার অরুন্ধতী,
ঝরনা ক’রে ফোয়ারা ক’রে আতর ছড়ায় হুহু
ফেরেস্তারা আরশ থেকে দুরস্ত্ মুহুর্মুহু,
উঁহু-ওহোর ফুরসৎ নাই, ফুরফুরে বরসাত
ধ্যানের প্রহর গানের প্রহর সমস্ত দিনরাত,
হুর-পরীয়া দরিয়া-আঁখি দিক্-বালিকাগুলো
ধ্যানের যাদুর সাধু প্রহরী ঝাড়ছে বাধার ধুলো,
উলুখাগড়ার খাতির বড়ো খিতমতগার কতো
কেউ তোমাকে ক্লেশ দিবেনা, শান্তি অবিরত —
ওখানে চাচা দ্বারোয়ান আছেন ঝুন-পাকা চুল-দাড়ি । ।
যাচ্ছি আমি এমন মজার মেঘের দেশের বাড়ি ।
দিলাম পাড়ি পাহাড় থেকেই, মহড়া ব’লে কথা !
শ্রীহরিকোটা নৈব নৈব, মইয়ের রম্যতা
বৈধ এমন, কিন্তু ক্যামন্ হাঁপিয়ে ওঠে কল্পনার দীনতা
ধরাধামের আনন্দ-গ্রাম কোথ্থাও নাই, শুধুই শূণ্যতা
নিয়ে ফিরি মাটির কোলে ডামাডোলের শেষে,
বাকিটা জীবন বাঁচিয়ে রাখি মাটিকে ভালবেসে ।।