প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
চৈত্র শেষের এক নিরালা দুপুরে
তোমাকে নিয়ে প্রথম কবিতা লিখেছিলাম।
ভীষণ খুশিতে তুমি বলেছিলে,
“এই ভাবেই বয়ে যেও আজীবন”।
আমি আজ কল্লোলিনী।
আমার আজ কতো লেখা কতো প্রশংসা।
তবুও তোমার কথা জানেনা কেউ।
নিত্য পাকদন্ডীর আবর্জনা বইতে বইতে,
চর পড়ে যাওয়া মজা নদীর বুকে
প্রথম ঢেউ আঁকলো কে, তা জানেনা কেউ।
কে ভরালো অঝোর শ্রাবণের বৃষ্টিবেলা?
গিটারের ছড়ে ভালোবাসি কথা বাঁধলো কে?
তারপর কতো কথা কতো গান কতো কবিতা,
সে কথা জানলো না কেউ।
মৃত নদীর হৃদয়ে তুমিই শুনেছিলে প্রানের স্পন্দন।
বলেছিলে…. “কথা বলো, হাসো, ভালোবাসো আর বেঁচে ওঠো “।
“আমি না হয় রইলাম ব্যক্তিগত “।
স্নিগ্ধ ভরসায় বলেছিলে কানে কানে।
তোমাকে রাখলাম জড়ানো মায়ায়, সযতনে, সংগোপনে।
কবির কণ্ঠে পাঠ করা কবিতার অডিও শুনুন এখানে:
https://www.facebook.com/OngshumaliMagazine/posts/666973670479819
খেয়ালি তুলির জলছবি আঁকে বৃষ্টি রিমিঝিমি,
হাঁটুজল ভাঙা ঝাপুস ঝুপুস কতো না দুষ্টুমি।
বকম বকম অবুঝ সবুজ স্বপ্নরঙীন মন,
শৈশব পিছুডাক দেয় আজও প্রতিক্ষণ।
বৃষ্টি ফেরায় দুই বিনুনী লাল ফিতের ফুল,
টিনের হাতবাক্স বন্দী প্রাইমারী ইস্কুল।
তখন ছিলোনা মুখগুঁজে থাকা মুঠোফোন,
সাদাকালো টিভিটা ছিলো অমূল্য রতন।
নির্জন দুপুরে অাজও যত্নে মাখি আমি,
টিফিনে ভাগ বসানো সুখের আলো দামী।
প্রাথমিকের স্মৃতি মেখে ছোটে মাধ্যমিক,
কিছু হাত ধরাধরি দল রয়ে যায় ঠিক।
শৈশব বড়ো হয় কিশোরীর চুলে,
ফুলবাঁধা বিনুনী পিঠে তার দোলে।
জমানো পয়সায় টিফিনে ঝালমুড়ি,
সেই স্বাদ রসনায় আজও খুঁজে ফিরি।
নাইনে শাড়ীতে দেখা নিজেকে আয়নায়,
কপালে কাজল টিপ মন জানালায়।
ভীষণ বকুনি খাওয়া, এতো সাজ ভালো নয়,
ভয়েতে টিপ মোছা পাছে পানিশমেন্ট হয়।
যত্নে জমানো রত্ন ছুঁয়ে দেখি আমি,
হাঁটুজল রাস্তাটা আজও খুব দামী।
রাস্তার পাশে দেখি অপলক চোখ,
আড়চোখে দেখা আমি আরক্ত মুখ।
জীবন এগোয় ফেলে চিহ্ন ফলক,
জমানো কথা বলে টেবিলে আঁককাটা চক।
মন, তুই আজও উঠিস ভোরে?
স্নিগ্ধ আলোর শান্ত সকাল,
মাঝখানে রাঙা সূর্যের টিপ,
চোখ কচলে আজও দেখিস,
ঘুমের অলস ঘোরে।
মন, আজও কি মাঠে খেলে?
খালি পায়ে জলকাদা মেখে,
সজোরে এক কষিয়ে লাথি,
গোলকিপারের কান ঘেঁষে ওই,
আজও পারে বল পাঠাতে জালে?
ও মন, আজও যাস ধানভরা মাঠে?
হাওয়ায় দোলা ধানের শীষ,
আল পেরিয়ে শ্মশান ধার,
পোড়া কাঠ আর পোড়া চৌখপ,
বসিস সেথায় রাখাল রাজার ঠাটে?
মন রে, দিন শেষ হয় রাতের ডাকে,
পুব আকাশে সন্ধ্যা তারা,
শাঁখের শব্দে ঘরে ফেরা,
তোর ঠোঁট কি কিছু খোঁজে,
আঁধার পথের বাঁকে।
মন তুই, আজও রাতে ভিজিস?
জ্যোস্না ভেজা একলা উঠোন,
মুঠোফোনে বন্দী জীবন,
কয়েকশো নামের ভীড়ে,
আজও, চেনা নামটা খুঁজিস?
মন আমার, হিম বাতাসে কাঁপন ধরায়,
গাছগুলো শেষ পাতা ঝরায়,
শূন্য গাছের ডালপালাতে,
তুই কি আমায় খুঁজিস?
ও মন, আজও কি আমায় ভালোবাসিস?
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..