শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
একফালি চাঁদের মত বাঁকা পথে,
সন্ধ্যা তারা নিশানা গিয়েছে রেখে।
হারাতে চাই তোমার আঙুল ছুঁয়ে,
দিগন্ত মেশা জ্যোস্না গায়ে মেখে।
ঝিকমিকে তারা ভরা রাতের গভীরে,
স্বপ্নেরা জেগে ওঠে চোখের পাতায়।
চোখ বুঁজে মাথা রাখি তোমার বুকে,
আবেশী উষ্ণতা আমায় দুহাতে জড়ায়।
ঠোঁট ছুঁয়ে ডুব দিই অতল সাগরে,
রূপকথা লিখে যায় আদুরে আঙুল।
মোহনায় শান্ত নদী সাগরের বুকে,
সুখ টুকু মেখে নেয় জোয়ারের জল।
কেমন যেন মিশে যাচ্ছো তুমি।
সকালের ঘুম ভাঙানো সূর্যের লাল আভা
যেভাবে রোদ হয়ে মিশে যায় আকাশের বুকে,
শ্যাওলা ধরা অলিন্দের কোনায় কোনায়
প্রাণবায়ু হয়ে মিশে যাচ্ছো তুমি।
আজকাল ভীষণ আনমনা থাকি সংসারী কাজে।
থাকি প্রিয় রিংটোনের অপেক্ষায়।
নীরব দুপুরে কবিতারা আর আসেনা।
তোমার সাথে পরিচয়ের টুকরো টুকরো ছবি দিয়ে
নকসী কাঁথার নকসা বুনি আমি।
বিকেলের সব রং মিশে যায় রাতের কালোয়।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে স্বপ্নেরা ভিড় করে আসে,
তুমি আমি পাশাপাশি রাতের আকাশ দেখি।
মনে আছে? বলেছিলে, একটা রাত যদি পাও,
তাহলে আমার সব জমানো বকবক
চুপ করে শুনবে তুমি।
তারপর জড়ানো ওমে নিয়ে নেবে সবটুকু ব্যথা।
তোমার কোলে মাথা রেখে চোখ বুজবো আমি,
বলেছিলে, দিতে পারো রাতভোর শান্তির ঘুম।
ঘুমভাঙা রাতে তাই আমি
চোখ বুজে তোমার কোলটাই খুঁজি।
এই ঘরবন্দী দিনগুলো পিছনে ফেলে
ইস্কুল ব্যাগ পিঠে তুই জুতোর ফিতে বাঁধবি,
ইস্কুলের কাছে এসে টাটা করবি আবার,
তারপর ভীষণ গম্ভীর মুখে দিব্যি ভালো ছেলেটির মত
গটগটিয়ে ঢুকে যাবি ভিতরে।
এই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় আমি বেঁচে থাকবো।
এই ব্যস্ত অবসর পিছনে ফেলে
একলা দুপুরে আবার লিখবো কবিতা,
ছুঁয়ে দেখবো প্রিয় গল্পের বই,
প্রিয় গানের ছন্দে দোলাবো কোমর,
নয়তো ছাদের দরজা খুলে চুপ করে আকাশ দেখবো আমি।
নিজেকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আমি বেঁচে থাকবো।
এই নিস্তব্ধ রাজপথ পিছনে ফেলে
ট্রাফিক সিগন্যাল জ্বলে উঠবে আবার,
ট্রেনের সময় ঘোষণায় নড়েচড়ে উঠবে স্টেশন,
সেজে উঠবে ফুটপাতের বিকিকিনির পসরা,
বেলুনওয়ালা বাদামওয়ালার মুখে ফুটবে হাসি।
ঘুমভেঙে জেগে ওঠা শহরের অপেক্ষায় আমি বেঁচে থাকবো।
এই অসহায় হাহাকার পিছনে ফেলে
ঘরে ফিরে আসা শ্রমিক যোগ দেবে কাজে,
অভুক্ত পেটে জুটবে খাবার,
কর্মহীন মানুষ পাবে নতুন কাজের খোঁজ,
ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মী পুলিশেরা ফিরবে ঘরে।
যুদ্ধজয়ী বিজ্ঞানীর হাসি দেখার অপেক্ষায় আমি বেঁচে থাকবো।
এই মৃত্যুর হাতছানি পিছনে ফেলে
ঝালমুড়ি আড্ডা জমে উঠবে আবার,
ব্যাগপত্তর গুছিয়ে অনেকেই ভোঁকাট্টা হবে কিছুদিন,
পৌষালী সন্ধ্যায় ফিরে আসবে বইমেলা,
বইয়ের গন্ধে সান্ধ্য জলসায় মানুষের ভিড়ে আমি থাকবোই।
তোমার সাথে কিছুক্ষণ একলা হওয়ার অপেক্ষায়…
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..