প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সেদিন বলেছিলি,
আমাকে ভালোবাসিস, আমি কাঁচের বয়ামে
ভরে রেখেছি মুক্ত বিশাস, ভালোবাসা
রোজ রোদে দেই সেই বোয়াম।
আঁচারগুলো ভারী স্বাদ হয়ে উঠছে
প্রতিদিনের রোদে
যত বেশী তাপ পায় ভালোবাসা
ততবেশী ঘন হয়, এই ছিল বিশ্বাস।
কিন্তু সেদিন ভাবিনি
কাঁচের বোয়াম ভঙ্গুর,
ভঙ্গুর ভালোবাসা ।
দুজনেই ভেঙ্গে গেল যুগপৎ।
হায়, এতো ঠুনকো!
মাছের কানকো উল্টালেও
কিছু সময় লাগে রক্তের রঙ বদলাতে
ভালোবাসা তারচেয়ে ঢের বেশী ভঙ্গুর।
ভালবাসা ভাংগতে পাথর লাগে না ,
পাতার হাল্কা ছোঁয়া লাগলেই
ভালোবাসা গুড়াগুড়া হয় যায়।
অস্পষ্ট ভালোবাসা!
এমন দীনতার কাছে
আমি মন দিতে চাই না।
মন নাকি ভেঙ্গে যায়?
কে কবে তার গুড়োগুলো কুড়িয়ে পেয়েছে?
কেউ কি শিকোয় তুলে রেখেছে তার কিছুটা?
নোঙ্গর ফেলতে চাইলে জাহাজ ভেসে যায়।
ঘর চাইলে ঘর বাতাসে উড়ে যায়,
মন চাইলে মন চলে যায়
অন্যের কাছে যায়।
এইভাবে সময় গড়াতে গড়াতে
একদিন সমুদ্র এসে কাছে দাঁড়ায়,
ডাকে, কাছে যেতে বলে,
আমার বুকে অথৈ জল,
ডুবে যা কোনদিন ভেসে যেতে দেব না ।
অতলে ঠাঁই করে নে আমার বুকে, কিছুটা
ভরপুর ভাব আসুক।
মিথ্যে আমি বলিনা ।
যারা এসেছে তারা সবাই জানে,
আমি কাউকেই ফেরাই না
সবাই আমার একান্ত আপন জন।
সমুদ্রে যাব বলেই আজ মনস্থির করলাম।
সত্যিকারের ভালোবাসা পাব।
[টরন্টো, কানাডা।]
ঘুম আসে না, না আসেনা
এ কথা এখন আর কোনই মানে রাখে না
বালুর সৈকতে লিখা নাম মুছে গেলে
চোখের পাতা নড়ে না
ঘুম আসে না,
ঘুম আসে না,
ঘুম আসে না
কেন?
কারণ, তুমি সমুদ্র ঢেউ
তাই বুঝি?
না,ব্যাপারটা অন্যরকম!
একদিকে সমুদ্র ঢেউ উত্তাল আনন্দে আছড়ে পড়ে
অন্যদিকে পাহাড় দাঁড়িয়ে তার খেলা দেখে
মাঝে কাছাকাছি আমি
একাকি অবিনশ্বর এক রূপ দেখি
অমিয় অন্তরে আর সমুদ্রের ঢেউয়ের গভীরে ।
কি তাৎপর্য এই দুইয়ের ছন্দ বন্ধনে
আমি ভাবি অনবরত ,
ঘুম আসে না, ঘুম আসে না
চোখে বাজে মা মা মা
গা’ গা’ গা’ পা পা পা,
রে রে রে মা মা মা
করে সে কেবল কাঁদে,
ঘুম আসে না
সা সা সা, পা পা পা,
রে রে রে, ধা ধা ধা
ঘুম আসে না ঘুম আসে না
ঘুম আসে না।
[কার্নিভাল ক্রুজ, ম্যাক্সিকো।]
বৃষ্টি কাছে আসো, ভালোবাসা শেখাব তোমায়
কি করে দুঃখ ভুলে যেতে হয়
কি করে পায়ে ছন্দ তুলতে হয়
কি করে ছায়া রেখা দেখা হয়, দূরের আলোয়
ভালোবাসা শেখাব তোমায়।
ওই নদীতে ডুবে গেছে বৃষ্টির জল
মনের ভেতর মন করে টলমল
আগে কোনদিন ভাবিনি মন কেমন
এখন দিন রাত্রি আছি প্রেম প্রত্যাশায়
ভালোবাসা শেখাব তোমায়।।
হায় পা পা পা, মা রে মা,
রে গা মা, পা রে রে রে,
নি ধা নি সা রে সা সা সা
আমাকে নিয়ে যা
বৃষ্টি তোর ভেজা জলে ভিজি আমি
তোর গান ছন্দ সুর সবই চিনি
অপেক্ষার জোয়ারে ঢেউ তুলে
ডুবে গেছি নিমগ্নতায়
ভালোবাসা শেখাবো তোমায়।।
[ বিশ্ব আই লাভ ইউ ডে, বিশেষ উপহার তোমাকে ]
অরু!
এমন অগ্রিম এসে, তুমি, টপাটপ মনের বারান্দায় বর্ণবৃত্ত ফুলের চারা লাগিয়ে দিলে- এখন কৃষি ঋতু নয়- আমি কোন ভবিষ্যতের পুকুর থেকে জলসেচ দেব? অরু! এমন শর্করা আবদারে তুমি আমাকে জন্মনিয়ন্ত্রণ স্বপ্ন বুনতে বললে, আমি কাঁঠালি চাপার গন্ধে ব্যাকুল হয়ে কবিতায় নুড়ি পাথর গুনি। জানালার বার্লিনে মোলায়েম থুতনি ঠেকিয়ে তোমার চোখের মণিকোঠায় মুগ্ধরস পান করি। অরু! একদিন আমরা কিংবদন্তী হয়ে উঠব। কৃষি ঋতু পরিবর্তনের মত মানুষ আজকাল সম্পর্ক বদল করে নানান রকম সম্পর্কের চাষ করতে শিখে গেছে। চলো, আমরা সমুদ্রে যাই। সম্পর্ক পরিবর্তনের এই যুগে, আমরা জনপদ হয়ে যাব।তার চেয়ে চল, আমরা সমুদ্রে যাই। আজকাল সম্পর্ক বদল হয়ে যাচ্ছে। চল, আমরা সমুদ্রে যাই…।
[ টরন্টো, কানাডা ]
ভালোবাসা মানে তুই আমার মেয়ে, আমি তোর মা…
হঠাৎ করেই দুর্লভ চাওয়ায় টেলিফোন বেজে ওঠা
মুখরা দিনের মুখর কথায় গাছের পাতায় স্বপ্ন দোলা
ভালোবাসা মানে তুই আমি এক হয়ে নাগরদোলা
পাল তোলা আকাশের গায়, বয়েসের চরকি ঘুরিয়ে
নতুন দিনের পুবালী তান ধরা।
তুই আমি দুষ্টু বালিকার খেলা
তুই আমি, আমি তুই, সারাটা দিন ঘরে অকাতরে ঝগড়া করা
কোলের ভেতরে কোল লুকিয়ে বিভোর ঘুমে ঝালামালি ,নাকানাকি
ভালোবাসা মানেই এই ভূবনে আরেক ভূবন, তোর আর আমার
সভ্যতার সকল সিঁড়ি অতিক্রম করা…
আবদারে আল্লাদে
জলের ভেতর প্রাসাদ গড়া, আমরাই আমাদের চৈতন্য আর
বাঁশীর দ্যোতনা। আমরাই অকারনে গড়ি কারণে ভাংগি,
ভাঙতে ভাঙতে ভাঙ্গন দেখেই রুখে দাঁড়াই, সাপের ফণায়
আমরাই আবার আগামী দেখাই। ভালোবাসা মানে তুই আর আমি
মিলে হচ্ছি সবাই।
হ্যালো, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমার এতো এতো ভালোবাসা আছে, অকাতরে আমি তোমাকেই দিতে চাই , শুধু বেঁচে থাকায় কোন সুখ নেই, ফুলের ভেতরে জমিয়ে রেখেছি রোদ্রের
কণা, তোমাকে দেব বলে, ভুল করে দিন চলে গেছে অন্ধের অন্ধকারাগারে, এতোদিন খুঁজেছি শুধু তোমাকে, পাইনি কেন? কি কারণে?, এ কথা জিজ্ঞেস করো না। আমি প্রকৃত্র কাছে জানতে চেয়েছি, তুমি কোথায়? বলতে পারেনি, আমি আমার গভীরে ডুবতে গিয়ে ভেসে উঠেছি বারবার- দল মেলে ভালোবাসা আমাকে বর্ণ বিহার দেখিয়েছে, আমি নির্লিপ্ত তোমাকে খুঁজেছি, তুমি ফুলের ভেতরে দলঅবদ্ধভাবে ছিলে, ছিলে আমি জানি, কিন্তু কোন ফুলে বসে তুমি অমন চাতুরী করেছিলে বুঝিনি আমি। আমার এই না বুঝার সকল দায়ভার আমার কাঁধে নিয়ে আমি দেশ – বিদেশ- দেশান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছি অযথা এক সামাজিক সঙ্গী নিয়ে। আমার মন সে তো ছিল তোমার জন্য আমারই সিন্ধুকে সঙ্গোপনে। এই নাও তোমাকে আমার হ্যালো দিলাম। ভালোবাসি।
প্রতিটি প্রেম আত্মার সমুহ আনন্দ
প্রতিটি দুঃখ প্রেমের অদ্ভুত নাটক
প্রতিটি পদক্ষেপ, একেক রকমের খাদ্য সামগ্রী
প্রতিটি নাবিক অন্যরকমের কিছু বানান
প্রতিটি রোদ , সকালের চৈতন্য ভাংগার গান
প্রতিটি মানুষ বিহবল বন্ধুত্ব অবিরাম ,যুগল আলাপ।
এই বেঁচে থাকা সত্য নয়
এই বর্ণবাহার সত্য নয়
এই অভিনব চাল চলন সত্য নয়
এই খোলা চোখে যা দেখী তা সত্য নয়
এই ময়ূরের পেখম দেখে বিচলিত হওয়া সত্য নয়
এই বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে সবুজ ঘাস সেও সত্য নয়
এই ঋতুর পরিবর্তন সত্য নয়, এই দিন বদলের পালা গান সত্য নয়
এই মহুয়া জীবন মাদকে ভরা এই কথা সত্য নয়
এই নাগপুর,বিষধর সাপের হিস হিস শব্দ সত্য নয়
এই অভিবাসন সত্য নয়
এই দেহান্তরে দেশান্তরে নারীদের পাচার হয়ে যাওয়া সত্য নয়
এই ছোট ছোট শিশুদের আগুনে পুড়িয়ে মারা সত্য নয়
এই নারকীয় যন্ত্রনায় রাত্রি যাপনে নারীর যোনিতে লোহ শলাকা সত্য নয়
বস্তুত কোথাও কিছুই সত্য নয়, কেবল ভালোবাসা এক পৃথিবী অবাক দাঁড়িয়ে দেখছে
মানব পোকাদের কিলবিল কান্ড কারখানা। একমাত্র ভালোবাসাই ব্যাপক সত্য ।
আজীবন ধরে লিখছি।
রাত্রির সাথে ছিল আমার মিত্রতা
ও সারারাত ক্যান্সারের যন্ত্রনায় ছটপট করত
আর ছবি আঁকতো, নিজেকে আঁকতো তুলিতে
যন্ত্রণার প্রতিটি মুহুর্ত সে আঁকতো রেখায়, রেখায়
পরতে পরতে, স্তরে স্তরে, রঙ্গে আর রুগ্নতায়।
রাত্রি সারা রাত আঁকতো যৌনতার অন্ধকার খরচিত্র
স্রোতের মত বইয়ে দিত তার অনুভুতির ঝর্ণাধারা,
ক্যন্সারে কামড়ে ধরা শরীরের উপর যখন ধড়ফড়
করে লাফাতো আরেকটা নারকীয় শরীর, রাত্রি তখন
অব্যক্ত যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে পড়ে যেত
বিছানার ভাঁজ থেকে
বাসী ফুলের মত। পড়ে থাকত অবহেলিত মেঝের পরে।
ক্যান্সার যতটা ভালোবেসেছে রাত্রিকে মানুষ ভালোবাসেনি তাকে
একরত্তিও। তবে কি তার পাশে কোনই মানুষ ছিল না? শুধু
পাশবিকতার পাশেই ছিল তার বাস।
প্রতি রাতে শরীরের ভেতরে যে মানুষ সিঁধ কেটে ঢুকে যেত
এতোটুকু সোহাগ ছাড়া সে কোনদিন বোঝেনি
শরীরের সাথে প্রেমের ভাষা।
এমনি নারকীয় যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে
এক বধীর সন্ধ্যায় রাত্রি মিলিয়ে গেছে গভীর রাতের অন্ধকারে
অল্প কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিল, টিউলিপের মত ক্ষণস্থায়ী।
এখোনো ছবি আছে শধু রাত্রি নেই। ভালোবাসা অপারগ …। পড়ে থাকে
অন্ধকারে, ব্যাধিরূপে।
টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরছিল, অর্গাজম হচ্ছিল
শরীর থেকে অবুঝ কথারা হামাগুড়ি দিয়ে
পিচ্ছিল পর্দা বেয়ে বেয়ে গংগাস্নানে যাচ্ছিল
যেতে যেতে পথে দেখেছিল একখন্ড মাংস পিন্ড
হাপর চালাচ্ছে,কামার নয়, বুকের বাড়িতে বুকের
পাঁজর ভাঙ্গছে
শিশু নয়, নবঅজাতক নয়, অবিরাম নিপলে মুখ রেখে
ভবিষ্যতের পরিকল্পনার পাটাতনে পেরেক মারছিল।
জিহবার বিষাক্ত লালার আসক্তি তখন
উথাল –পাথাল ইবোলার মত ধ্বংসের খেলায়
মাতোয়ারা। উপরে নীচে লালা ঝরছে। এ যেন
বেশরম লাভা। গিলে খাচ্ছে জ্যান্ত সভ্যতার কারুপাশ
বোহেমিয়ান বলাই চলে, চার চাকার উপর ভর করা অভ্যাস
নিয়ে জীবনের মুদ্রা গুনেছে সঙ্গমে সঙ্গমে। দৈনিক পত্রিকায়
বীর্যপাত দেখেছে; ছায়া ধারাপাতে দেখেনি নিজের অস্তিত্বের
স্বরূপ। বির্যপাতে ঢাকেনি খবরের শিরোনামঃ আট বছরের
আসফিয়াকে মন্দিরে আটক রেখে ধর্ষন ও হত্যা। নিছক খবর
নয়। শীশ্ন ধরে ঝুলে পড়ে অসহ্য সুন্দরের গর্তে।
অর্গাজম তখন জল তুলে মুখে দিল চৈতন্য…
বিপন্ন অস্তিত্বে ভালোবাসা
শুধু যৌনতার নীচে …
হিমালয়ের নাভীমুলে বেঁচে থাকে
আসফিয়ার চিতকার…
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..