বকুল বৈরাগীর ছড়া
গুলিয়ে গেলো হাটে নেইতো এখন কুমোর পাড়া, নেইতো গরুর গাড়ি আকাশ ছোঁয়া ফ্ল্যাট উঠেছে,ঝাঁ চকচকে…..
দিদি বলেন, “লেখা পাঠাও
হোক না সেটা যাচ্ছেতাই”
অমন লেখা লিখব আমি?
প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছে তাই!
একটুখানি বেচাল হব –
নেই তো মোটেই তাহার যো
সবুজরঙা বিশুদ্ধ ঘাস
আমার প্রধান আহার্য!
খাই সেটা রোজ তিনবেলা ভাই
গব্য খাঁটি ঘিসুদ্ধ
সবাই বলে, আমার লেখা
শাস্ত্রমতে বিশুদ্ধ!
লেখার যত নিয়ম আছে
মানব সবই অক্ষরে
দেই না সুযোগ একটা ফোঁটাও
আমার প্রতিপক্ষরে!
এই কথাটাও ভাবছি সাথে
এ ভাবনাটাও যথার্থ
এর ভেতরে একটা ছোট
ফাঁক রয়েছে কথার তো!
দিদির কথায় লিখব? ভেবে –
পুড়ছি মনের অঙ্গারে
অমন হলে বদলে যাবে
যাচ্ছেতাই-এর সংজ্ঞা রে!
যা ইচ্ছে তাই – ইচ্ছেটা তো
লিখছে যে তার একান্ত
পরের কথায় লিখলে সেটা
হয় কী করে দেখান তো?
দিদির, ভাইয়ের ইচ্ছেনদী
এক মোহনায় মিললে কি –
ভয় থাকে আর? সমস্যাটার –
যায় না হয়ে হিল্লে কি?
৩১।০৩।১৮
গুলিয়ে গেলো হাটে নেইতো এখন কুমোর পাড়া, নেইতো গরুর গাড়ি আকাশ ছোঁয়া ফ্ল্যাট উঠেছে,ঝাঁ চকচকে…..
মনটা আমার আমি থাকি ঢাকা শহর মনটা থাকে দূরে, আমায় রেখে মনটা কেনো এদিক সেদিক…..
লুকিয়ে চলি তোমার থেকে নির্জন হতে নির্জনে, পাবার খাতা পূর্ণ নাহোক লক্ষ্যটা থাক অর্জনে! লুকিয়ে…..