লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
কিছু আমি তার বুঝিনি
হাজার আয়নার টুকরো থেকে
তুলে আনি সুন্দর কিছু আপেক্ষিক।
দিনের মত সোনালি রুপালি বিকেল
অন্যমনস্ক সন্ধ্যের কাছে কূয়াশা রেখে
ধ্যানী আঁধার কথা বাঁধে ভোরের নিবেদনে
বৈতালিক সুর, এখন আমারও সময় এবং
খাঁচা ও পাখি।
আমিই ঊড়াল,
তোমারও সময় , অনড় স্থিতি
ছুঁয়ে আছে এক আলাদা পৃথিবী।
০৯/১২/১৮
পারপিনিয়, ফ্রান্স।
এই যে ঘন হয়ে এলো অন্ধকার
এর বাইরে কি আছে? খুব কিছু মনে পড়ে না।
মুক্ত দানা শিশিরের দু’ একটা মিহি শব্দ
বালিকা বিকেল ,যুগল বেণী,
ফিরা পথে পাওয়া ভাঙ্গা পালক।
বাকি কথা হারিয়ে গেছে
সহজ মিথ্যের মত জীবনের?
অনায়াসে ভুলে যাওয়া যায় এমন
উৎসব সন্ধ্যা শেষে –
পুনরাবৃত্তি নেই জেনেও নিজের কাছে আসি।
যে কথা বলি না, তাকে মনে করার মত
প্রিয় পৃষ্ঠা খুলে দেখে নেই গত ফাল্গুন
শুকনো স্মৃতি।
আমার একটি কথা বাঁশি জানে।
সম্পূর্ণ শব্দহিন হতে
মর্মর ছড়ায়ে চুম্বন আঁকি ঠোঁটে
এটা স্বপ্ন কাল বুঝি জেগে উঠি যখন
বিরুদ্ধ শিবিরে বাঁশি বাজে
সমীকরণ মিলাতে দেয়ালের সংসারে
আয়নার উল্টো দিকে হাঁটি।
এ-ঘর ও-ঘর প্রতিদিন
অখন্ড নিয়ম আবাসিক?
বারান্দায় বা খোলা জানালায়
আলো আর রোদের আলিঙ্গন দেখি
দু’টি কথা মনে এলে
এলোমেলো হই।
আর এভাবে
আবারো বাঁশি, মনে পড়ে
আর মনে হলেই এ মায়া সংসারে
ভগ্নাংশ হয়ে বসে থাকি
খরস্রোতা আলোতে
অন্ধকারে ।
এই টুকু সময় ধরে নিস্ফলতা। যতটা দীর্ঘশ্বাস জমে গেছে, ক্ষুণাক্ষরে তার কিছুই বুঝবে না আগামী উৎসব। হাহাকার কান্না প্রতিকারহীন। অভিমান সেও রেখে দেখেছি, সেখানে রাতভর পিপড়েরা বিষ ঢেলে দিয়ে গেছে।
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..