দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
যৌবন
প্রস্ফুটিত পদ্ম মতো চঞ্চল যৌবন,
লাজুক ঠোঁটে উষ্ণতা দারুণ উত্তাপ।
কামনাতৃপ্তি তরঙ্গে ছুটে আজীবন।
রুদ্রস্নানে ভেজা দেহে প্রেম অনুলাপ।
ধৃষ্টতায় আলতো স্পর্শে হৃদয় স্পন্দন,
বৃষ্টিতে ভেজা যৌবন চিত্তে অভিলাষ।
মোহ মায়া অনুরাগী স্ফুটনে চুম্বন,
কামোচ্ছ্বাসে স্রোতে ভাসে যৌবন প্রভাষ।
ফাগুনের অগ্নি ঝরা মোহনার ধারা,
সৌহার্দ্যে মনোহারিত্ব দৃষ্টি মুগ্ধতায়।
আভায় রাঙে যৌবন প্রীত আত্মহারা,
ভাবাবিষ্ট পরাকাষ্ঠা ইচ্ছে নিরুপায়।
নিরুত্তরে যৌবনদ্বার পড়ন্ত রোদ্দুর,
উদ্দীপ্ত প্রেমে প্রলুব্ধ চেতনা বিধুর।
বোবা কান্না
দগ্ধ দেহে ক্ষত চিহ্নে মলমের প্রলেপ
মনুষত্বের আড়ালে বিবেকহীন কর্মে লিপ্ত
ক্ষুধার্ত পেটে নিদ্রাহীন রাত্রি যাপন
প্রতিবাদের মুখে লাগাম টেনে ধরা ভাষা
মানবতার জয়গানে বোবা চোখের কান্না
নির্লজ্জের মতো মুখের বুলি মিথ্যাচারে জর্জরিত
আকাশকুসুম কল্পনায় রঙিন স্বপ্নের সকাল
জোছনার ছায়া নামে আঁধারে বিভোর
সুরের লহরী গন্ধহীন ফুলের নির্যাস
ক্ষণিকের মোহান্ধতায় অব্যক্ত কথার ঝুলি
ইচ্ছে করে প্রতিবাদের ঝড়ে ফেটে পড়ি
হায় কপাল! অজানা শক্তি আগলে ধরে জীবনের গতিপথ।
বিত্তবানদের উচ্ছিষ্ট খাবারে ভর্তি ডাস্টবিন
অসহায়ের মুখে জুটে কলে চাপা এক গ্লাস জল
হায় রে মানবতা!
জেগে জেগে ঘুমিয়ে না শোনার হাজার বায়না
চোখে আছে দৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত কালো ছায়া।
মূর্তির আবির্ভাবে নির্বাক চোখে অপলক দৃষ্টি।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..