শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আজ তো তোমার লজ্জা পাবার কথা ছিল
লজ্জাবতীর লতার মতো জড়িয়ে যাবার কথা ছিল।
আজ তো তোমায় ছুঁয়ে দেবার কথা ছিল
আলতো করে তোমার ঠোঁটে ক্ষত আঁকার কথা ছিল।
আজতো তোমার সমর্পনের কথা ছিল
আমার বুকে মুখ লুকানোর কথা ছিল।
বিস্ময়ে আজ বিমুঢ় হবে তোমার কাছে যাইনি বলে
কিন্তু দেখ, নিজের কাছে লজ্জা আমার অনেক বড়,
তোমার মতো এক জনাকে পথের ধারে
পুরুষ কুকুর কামড়ে দিল, তার অবয়ব আমার মতোই:
নিজের মাথায় ঘৃণার পাহাড়-চোখের পাতা লজ্জা নত
কি করে আজ তোমায় ছোঁব?
আজ তো তোমার লজ্জা পাবার কথা ছিল
লজ্জাবতীর লতার মতো জড়িয়ে যাবার কথা ছিল।
আজতো তোমার সমর্পনের কথা ছিল
আমার বুকে মুখ লুকানোর কথা ছিল।
কিন্ত দেখ, আমি তো আজ পালিয়ে বেড়াই
নিজের লাজে তোমায় ছেড়ে পরাজয়ের গ্লানি মেখে
রক্ত খেকো পুরুষ কূলে নিজেই হারাই।
ইদানীং ঘুমের মাঝে একজোড়া চোখ
আমাকে অনুক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়,
সে চোখ অত্যাচারিতের কিংবা আর্তের
অথবা বেদনায় নীল হওয়া নিরন্ন মানুষের
নির্ঘুম রাতের সমষ্টিগত যন্ত্রণার চোখ;
ফিরে দেখি, তারুণ্যের আহত গল্পের মত
এখনো এক দল মানুষ বিপ্লবের মন্ত্রে
দীক্ষা নিয়ে বসে আছে কিনা!
যা দেখি, তা শুধু আমারই রক্তজবা চোখ।
কাল রাতে আমার কবিতার কিছু পংক্তি
তোমাকে দেখবে বলে অঝোরে কেঁদেছে
টলোমলো জল চোখে চেয়ে থেকে
নিরবে নীলিমায় মিশে গেছে শব্দেরা:
মেঘের সাথে মিলেছে ওদের কারত ধ্বনি,
সেই থেকে ধরায় নেমেছে বর্ষণ
অথচ, তুমি তার কিছুই জানলে না!
ক্লান্ত দিনের শেষে
বিদায়ী রোদের
কান্নার সুর ভেসে আসে,
অভ্যস্ত হাতে খুলি
জীর্ণ ডাকবাক্স-
যেখানে তোমার
ধুসর বর্ণমালার
শূন্য ইনভেলাপ পড়ে থাকে।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..