শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
গোপন দহন
এখানে রাত্রি জেঁকে বসেছে খুব
এই জনপদে আজকাল রাত্রিরা ভীষণ!
সূর্যোদয় হয় না এখানে আর
থামতেই ভুলে গেছে আহ্নিকগতির বাহন।
এ মহাবিশ্ব যেন প্রত্যাহার করেই নিয়েছে
মঞ্জুরীকৃত আলোর বিকিরণ।
অন্ধবিশ্বাস ধুলো দিয়েছে সূর্যে চোখে,
দিন জুড়ে কালিমাসন্ধ্যার আগ্রাসন।
আলো, সে-তো দীর্ঘশ্বাসের কাহিনী
সহস্র সাল পূর্বের স্মৃতির সাতকাহন।
হাতে হাতে যুদ্ধপূর্ব ইস্তেহার
তবুও যে সবাই গভীর ঘুমে অচেতন।
এখানে নটে গাছ টা মুড়োয় না,
ফুরোয় না এ-জনপদের দারুণ দহন।
রয়ে যাব
হলুদ ঠোঁট তন্মনা শালিকের মতো আমি
এক মুগ্ধ বালিকার হয়ে থেকে যেতে চাই,
রয়ে যেতে চাই এই নগরীর গলিপথে।
আমাকে চেনে যে চাঁদ তার সামনে দাঁড়িয়ে
নিজেকে তুলে দিতে চাই অনন্তেরই হাতে।
কিন্তু এ-জনপদের অতলান্ত দুঃখনদী
দু-হাতে তুলে দেয় আর্তনাদের পাণ্ডুলিপি।
যার প্রতিটি পৃষ্ঠায় শতাব্দীর হাহাকার,
প্রতিটি বর্ণ,শব্দ,পংক্তি, ছেড়ে যাবার মন্ত্র।
আমাকে ছেড়ে যেতে বলে কৃষ্ণচূড়ার প্রেম
প্রবারণা পূর্ণিমায় মেঘনার মায়াজল
আমাকে চলে যেতে বলে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে।
নাহ্। ছেড়ে যেতে পারব না কোন অজুহাতে
খুব তৃষ্ণায় রব এ-নগরীর পথে পথে
বুকে চেপে রাখব আর্তনাদের পাণ্ডুলিপি।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..