দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
রাত্রিকাব্য
কিছুদিন নদী তীরে যাইনি
বুঝিনি
জোছনার স্নান
ভরা পূর্ণিমাতেও ম্রিয়মাণ
মহল্লায়,পথে, পাড়ায়
তন্দ্রাচ্ছন্ন পথ যায়
স্তদ্ধতার তাপে
অন্ধকার কাঁপে
কান্নার কল্লোল
মধ্যরাতের অনল
জলের উপর
দাউ দাউ পোড়ায়
পুরোনো এক শহর
আর তোমার খবর
প্রত্মতাত্ত্বিক
বিশ্বাসী বর্ণগুলো এখন
নিবিড় প্রতীক্ষার মতন
ব্যাকুল-দৃষ্টি মেলে চায়
স্মৃতিকাতর চৌরাস্তায়
রৌদ্রময় দিন থেকে
রোদ তুলে নেয়
জোছনার স্তদ্ধতা একে
রাত্রির ছায়া ধরে
গোধূলিকে আগলায়
পিছুটানের প্রহরে-
চারিদকের হু হু অচেনায়
খুঁজে ফেরে অভিমান
প্রত্মতাত্ত্বিক হাওয়ায়
দ্বি
তাকে প্রথম যেদিন দেখি
সে সবের কিছুই মনে নাই
সোনালি সময়,মায়াবী কন্ঠস্বর
হাওয়ার জীবন, জোছনার ঘর
সবই চলে গেছে
শবযাত্রার পিছে
দুই
বসন্ত রুমাল নাড়ে
চলে যাওয়ার অভ্যন্তরে
সমাপ্তির কথা ভুলে যেতে চাই
অথচ পিছুটান ঘিরে রাখে পুরোটাই
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..