শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
এক
কুয়াশা মশারির নিচে বিন্দু বিন্দু জোনাকের আলো
এমারজেন্সি এক্সিটে বেঁটে মানুষের ছায়া দীর্ঘ হয়ে আসে
মিছিলের শেষে ধোঁয়া আরও গাঢ় হয়ে এলে
পিপাসা
না বলতে পারা শব্দসমূহ গলার কাছে… ভিড়
জল ও অক্সিজেন ডুবে যাচ্ছে ঘুম ও পরবর্তী অন্ধকারে
দুই
ঘুলঘুলি বড় করে দেব
জানালার কাঁচ খুলে রাখছি
অল্প আলো, ভেজা বাতাসের নিচে ঝিঁঝিঁ ডাকবে
মশার কয়েল জ্বেলে রাখলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসত
আজকাল ওসব আর লাগে না
ধূপের ওপর হালকা কর্পূর ঢেলে দিই
কিন্তু মানুষের স্বর মিহি হয়ে আসছে
হাত ও হাতিয়ারের পাশে ওই তো ডেথ সার্টিফিকেট
তিন
কফিনের মাপ ভুলে যাচ্ছি
শাদা কাপড়ে গিট লেগে আছে
মাটি, আগুনের পাশে স্বনিয়ন্ত্রিত বাতাস
প্রকৃতির ছবি আঁকত যে শিশুরা, ছিঁড়ে ফেলছে
ওদের বোঝাতে হবে, ভুল আমাদের
দেহ ডুবে যাচ্ছে প্লাস্টিকে
হ্যাশট্যাগ জীবন ঝুঁকে আসছে ভাঙা লন্ঠনের আলোয়
চার
এমনই কোনও সিরিজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে
ব্যবহৃত মুখোশগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছে যারা
ওদের কাঁধে দেহের অর্ধেক ওজন
বাকিটা অজ্ঞাত অন্ধকারে
শাদাকালো ছবির পাশে সত্যায়িত শংসালিপি
সিলিন্ডারের ছিপি বন্ধ করুন,
এ দেহ প্রয়োজনের অতীত
পাঁচ
ট্যাগ ফুরিয়ে যাচ্ছে
দীর্ঘ হয়েছে বাঁশপাতা
ক্রমে শুকিয়ে… খসে গেল
প্রতিদিন সকালে উঠোনের ঝরাপাতা
পরিষ্কার করে যান কেউ
দেখুন, মাটির শরীরে পাতার জালিকা বিন্যাস
আবছা মনে হয়? খালি চোখে কতটা স্বকীয়?
কবিতায় প্রশ্ন রাখলে এখন আর চিঠি আসে না
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..