রাত যেনো গাঁদাফুলের পাঁপড়ি

টিপু সুলতান
কবিতা
Bengali
রাত যেনো গাঁদাফুলের পাঁপড়ি

রাত যেনো গাঁদাফুলের পাঁপড়ি

এ্যারজু বলল,টিপু-সোজা হয়ে দাঁড়ান
যমজ বাহু ঝুলিয়ে আমি পথের গায়ে
হেলান দিয়ে দাঁড়ালাম-
মাটিবর্তী আলোর মাঝরাত
বৃক্ষঠান-নৈঃশব্দ্য পাখিদের সমতল উৎসব
আমার শরীরাংশে জন্মদাগ এঁকে দেয়

রাত যেনো গাঁদাফুলের পাঁপড়ি,
নরম ভাঁজে ফেঁপে ওঠা জনপদ

 

এই রাজপথে

এ্যালিফ্যান্ট রোড ধরে কাঁটাবন যাচ্ছি
রিকশার হুডখোলা ঝাঁপ ভীষণ পতন শব্দে বিষন্ন
অনেক ব্যস্ততা,উপুড় চোখে ঝাঁপসা দেখছি
বাটা শোরুমের ভেতর হতে অপরাহ্ন বেরিয়ে আসছে

-শতে শতে,পা গুনে রাখা যায় না,গোপন ইশতেহার
এই রাজপথে তুমিও এসো প্রিয়
মাটিশুদ্ধ পাইনগাছ দণ্ডিত দাড়ে আমার সঙ্গে
তার নবজাতক পাতা বিলিয়ে আসন পেতেছে
বায়ুবাষ্পিত রং চায়ের চুমক সেরে
কোনো এক সমতল ভবনের গ্রন্থাগারে ঢুকে পড়ব
বেয়াড়া বসন্ত ভেঙ্গে
দু’জন দুজনকে পাঠ শেষে শব্দলহরির-বিছানো পথ-
টানটান শহরের নীলক্ষেত হতে ঢাকা ক্যাম্পাস
উঁচু ইমারতির দাগ ধরে হাতিরপুল,বাংলামটর
গোপন উদ্বেগ নির্মাণে শাহবাগ,কালান্তরে চতুর্দিক

 

তুমি তাকে চিনবে

আপেলের ঠোঁটে কামড় দিলাম
কোনো চিৎকার শোনা গেল না
কোনো কান্না শোনা গেল না
এভাবে পুরোটা ক্ষতদাগে শেষ করলাম
তারপর বাসস্টপে ঝুলে থাকলাম
কখন জীবনবাবু আসবেন
যেখানে দাঁড়ানো তার ধানসিঁড়ি পাড়;

নগরে যে রোদ আমাকে চিনল
সে নাকি জীবনবাবুকেও চেনে-
ক্ষয়ে যাওয়া তাতানো পিচ
আমার পায়ের গোড়ায় এসে
আসনপিঁড়ি পাতল
আমি অনায়াসে চক্ষুলজ্জা গিলে
অনেকটা চওড়া গলায় বললাম
আমাকে ঠকিও না এইবার

এই পথে একজন কবি আসবেন
অনন্ত বৃক্ষের ভূমণ্ড দেয়াল ভেঙ্গে
সন্ধ্যার আলোয় কিংবা পাণ্ডুলিপির ঘরে
হয়ত তার কবিতায় তুমি তাকে চিনবে

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বেশরম

বেশরম

বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..

তোমার জন্য

তোমার জন্য

পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..