লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
রিসাইকেল
দ্বিধাহীন ছুঁড়ে দেওয়া নিজেদের অজান্তে শিল্পের জঞ্জাল
তারপর একপ্রকার কুন্ঠাবোধ
দীর্ঘ হয় ছায়ায় ছায়ায়…
ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার আয়োজনেই কেটেছে এতকাল
শূন্য হয়ে যাওয়া টিস্যুর বাক্স,
টিনের রসালো ক্যান,
ভাঙা মগ,ফলের চুবড়ি …
রিসাইকেলে এরাই মহার্ঘ্য শিল্পবস্তু, প্রত্নের দাবিদার এখন
পরিবেশ বলতে বুঝি নিজের এলাকা।নিজেকে বলি, ফেলা যাবে না কিছুই
নীল হয়ে ফুটছে কুয়াশার পথ। হাতের মুঠোয় সুরক্ষিত জাদুঘর …
তুচ্ছ হিম
তুচ্ছ
গাঁটে গাঁটে ইটমাটি,ভাঙা বাঁশ, নির্মাণ প্রকল্পে
দূর্গ যেন অথবা বুর্জ খলিফা
মাটি থেকে পৌঁছাতেই পারছ না এর চূড়ায় তুমি, এত তুচ্ছ!
হিম
হাফ-বর্ষায় যেমন শুরু হত শীতের উল বোনা
এখনও কাঁপন, স্বাদু হিম
অক্টোবর হিলস্টেশন। বেড়াতে যাওয়ার গল্পে তুমি,আমি…
ফেরির রাস্তায়
ফের ঝাঁপি উঠিয়ে ফেরির রাস্তায় নেমেছে পুতুলওয়ালা-
সামান্যই পুঁজি, বিক্রিবাটাও
এ অর্জন দীর্ঘ সংগ্রামের মত কষ্টকর যদিও
দিনের শেষে সব মানুষই তাসের ঘর
মাসোহারা শেষে ফুরনো শব্দ।গলিখুঁজি জীবন…
ভরসা ও চোখ দুটোই পাষাণ পাষাণ!
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..