মনিনিকার একদিন প্রতিদিন
সকাল সকাল ওঠা মনিনিকার বরাবরের অভ্যেস। সকালে এক বড় কাপে অর্গ্যানিক গ্রিন টি নিয়ে সোফায়…..
– আপনার ইনফরমেশন টোটালি রং। সে করোনাতে মারা যায় নাই। মারা যাবার আগের দিন সে রাত ৯টা পর্যন্ত সে কাজ করেছে। সে ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। যারা যারা এসব ভুল ইনফরমেশন তাদের বিরুদ্ধে আমি লিগাল একশন নিতে পারি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন টেক্সট দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। টেক্সট করেছে আমার ছেলের সঙ্গে এলিমেন্টারি স্কুলে পড়তো এক মেয়ের মা। মেয়েটার নাম রূপন্তী। খুব সুন্দর দেখতে। আমার ছেলে যে স্কুলে আগে গান শিখতো, রূপন্তী এখনো সেখানে নাচ শেখে।
– আপনি কি বলছেন, বুঝতে পারছি না! আমি রূপন্তীর মায়ের টেক্সটের উত্তর দেই।
উনি তখন একটা স্ত্রিণ শট পাঠায়। মাস খানেক বা তারও আগে নিউইয়র্ক শহরে করোনা মহামারী যখন শুরু হল তখন একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেসবুকে- ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক্যান্ডি স্টোরের মালিক কৃষ্ণ বণিকের মৃত্যু।’
– আপনি আমার ওপর অযথাই রাগ করছেন, আমি তো নিউজটা করিনি। শুধু শেয়ার করেছি।
নিউজ করা আর শেয়ার করা যে এক জিনিষ না সেটা আমি রূপন্তীর মাকে বোঝানোর চেষ্টা করি।
– আমি বলিনি আপনি নিউজটা করেছেন। কিন্তু শেয়ার করার আগে আপনার নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল। আপনার মতো এডুকেটেড মানুষের কাছে এটা আশা করিনি।
আমার টেক্সট এর উত্তরে তিনি জানান। এবার আমার মেজাজ খারাপ হয়।
– নিউজটা ভুল আর আপনার দেওয়া তথ্য যে ঠিক তার প্রমাণ কি?
আমার শেষ কথাটা তার শরীরে যেন আগুন ধরিয়ে দিল। এরপর সে অনেক কিছু লিখে গেল এক নাগাড়ে। তারপর আমাকে সরাসরি ব্লক।
ভদ্রমহিলার কথাগুলি সারাদিন আমার মনের মধ্যে কেমন যেন কাঁটা হয়ে বিধে রইল। রুপন্তীর মাকে ছেলের স্কুলে যতটুকু চিনেছি, এমন ব্যবহার করার কথা তো তার নয়। মনে কেমন খটকা লাগে।
সন্ধ্যায় ফ্রি হয়ে ভদ্রমহিলার ফেসবুকে যাই। তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকি ওনার পারিবারিক ছবি।
তারপর বিভিন্ন অনলাইনে শেয়ার করা কৃষ্ণ বণিকের খবর খুটিয়ে পড়ি। ওনার বাসা জ্যাকসন হাইটসে! এক ছেলে ও এক মেয়ে। অনেক কিছু মিলে যাচ্ছে। ক্যান্ডি স্টোর ছিল উডসাইডে।
ক্যান্ডি স্টোরের নাম – ‘রূপন্তী’।
সকাল সকাল ওঠা মনিনিকার বরাবরের অভ্যেস। সকালে এক বড় কাপে অর্গ্যানিক গ্রিন টি নিয়ে সোফায়…..
পরম প্রাপ্তি বাসস্টপেজেই অতনুর বাড়ি। রাত বাড়লে বাসস্টপেজ একটা আমোদের জায়গা হয়ে যায়। অন্ধকারে শুয়ে…..
জনৈক রবি মোবাইল অপারেটর গ্রাহক রবি কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিচ্ছে। পনেরো মিনিট পর অপরপ্রান্ত থেকে…..
ওই এক পাগলা আছিল। ঘুরে বেড়ায় খায় দায় তারপর কোথায় উড়ে যায়।পাগলার গল্প শুনে রঞ্জনের…..