আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
আমার একজন প্রেমিকা চাই।
না না, মন থেকে করতে হবে না
প্রেমের ভান করলেই চলবে
মাইনে তিরিশ হাজার।
দেখতে-শুনতে ভাল হলে
আরও একটু বাড়ানো যেতেই পারে।
আমার একজন প্রেমিকা চাই
বিবাহিত হলেও ক্ষতি নেই
তেপ্পান্নটা পুরুষসঙ্গী থাকলেও আপত্তি নেই
তাদের সঙ্গে দিঘা, মায়াপুর, গড়চুমুক যেতেই পারেন
যান, কিন্তু প্লিজ আমি যেন জানতে না পারি।
আমার একজন প্রেমিকা চাই
মাইনে ছাড়াও প্রসাধনী…
শাড়িটাড়ি, সালোয়ার কামিজ, প্লাজো, সুন্দর সুন্দর চটি
সপ্তাহে একদিন স্পা, মাসাজ, ডাক্তারি চেক-আপ
একদিন অন্তর আপেল, বেদানা, মুসাম্বি
কাজু, কিসমিস, আচার, কেক
সপ্তাহে দু’দিন রাজকীয় শপিং মল
এ ছাড়াও যেতে যেতে কোথাও চোখ আটকে গেলে
কিনে দেবো সেটাও…
আমার একজন প্রেমিকা চাই
না না, মন থেকে করতে হবে না
প্রেমের ভান করলেই চলবে
মাইনে তিরিশ হাজার।
কেউ আছেন? কেউ আছেন? কেউ আছেন?
প্লিজ, কল মি 9836851799
মানুষের একটা লেজ হোক
দুটো শিং
এক~একটা থাবা হোক সাত মন।
বাচ্চাটাকে কাপড়ে জড়িয়ে কারা যেন ফেলে গিয়েছিল রাস্তার ধারে
যতক্ষণ না লোকজন এসে তাকে তুলে নিল
একটা কাকও যাতে ঠোকরাতে না পারে
আগলে রেখেছিল কয়েকটা সারমেয়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটা দল গভীর জঙ্গলে ঢুকে একেবারে তাজ্জব
পরে সারা পৃথিবী জেনেছিল
সেই গোরিলা~মা আর তার কাছে বেড়ে ওঠা মানব শিশুটির কথা!
তাড়া খেতে খেতে পাহাড়ের এক গুহায় এসে লুকিয়েছিলেন
তাসখন্দের রাজা সিন্দাবাদ
পিছনে তলোয়ার উঁচিয়ে হাজার হাজার সৈন্য
এই বুঝি কোপ পড়ল!
ঠিক তখনই গুহার মুখ ঢেকে যেতে লাগল এক জংলি মাকড়সার জালে।
সামান্য একটা মাকড়সা
কেমন করে তাঁকে সে দিন বাঁচিয়ে দিয়েছিল
সে কথা তিনি লিখে রেখে গেছেন তাঁর আত্মজীবনীতে।
জংলি মাকড়সাও বিপদ থেকে অদ্ভুত ভাবে রক্ষা করে একটা জীবন
বনের গোরিলাও কত মমতা দিয়ে বড় করে তোলে একটা মানবশিশু
রাস্তার কুকুরও কী সুন্দর আগলে রাখে একটা সদ্যজাতকে
আর মানুষ?
মানুষের একটা লেজ হোক
দুটো শিং
থাবা হোক ইয়া বড় বড়।
আপনার প্রচণ্ড জ্বর হোক
একশো দুই তিন
কিংবা কোনও প্রিয়জন মুখ ফিরিয়ে নিক
আপনার কাছ থেকে
নয়তো এমন কিছু ঘটুক
এমন কিছু়… এমন কিছু… এমন কিছু…
আপনি তো যেতে বলবেন না
যেতে চাইলে বলবেন—
লোকে কী ভাববে!
এ কী বলবে!
ও কী বলবে!
সে কী বলবে!
কোথাও দেখা করতে চাইলেও বলবেন,
কী করে যাই!
আপনার তুমুল জ্বর হোক
একশো তিন চার
কথা বলার মতো অবস্থা না থাকুক আপনার
কিংবা… কিংবা… কিংবা…
তা হলে আর আপনার অনুমতির দরকার হবে না
খুঁজে খুঁজে সোজা চলে যাব আপনার বাড়িতে
জ্বর দেখার ছলে কপালে হাত দিয়ে
গলায় হাত দিয়ে
মাথায় বিলি কাটতে কাটতে
অনায়াসে ছুঁতে পারব আপনাকে
আপনার বীভত্স্য জ্বর হোক
জ্বর হোক একশো চার পাঁচ ছয়
কিংবা… কিংবা… কিংবা…
নিকষ কালো অন্ধকার।
— তার পর কী?
অন্ধকার।
— তার পর?
তার পরেও অন্ধকার।
— তার পরে?
তার পরে আরও অন্ধকার।
— আরে বাবা, তার পরে কী?
তার পরেও তো অন্ধকার, ঘুটঘুুটে অন্ধকার।
— সেই অন্ধকারের পরে কী?
সেটা আর জানা যায়নি।
জানার জন্য যারা গিয়েছিল
তারা আর ফিরে আসেনি।
নয়নাদি,
আপনি এখন কোথায়?
টপ ফ্লোরে। বসের ঘরে।
ছুটি হয়ে গেছে তো…
যাবেন না?
না কি ওখান থেকে
ঝাঁপটাপ দেওয়ার মতলবে আছেন?
আমি ঝাঁপ দেওয়ার লোক নই।
বস নিজেই ঝাঁপ দেন
আমার উপরে।
ছিঃ। এই ভাবে কত দিন চলবে?
যত দিন না প্রেগন্যান্ট হই
তার পর…
বস আর ঝাঁপাবে না
তখন হয়তো আমিই ঝাঁপ দেব
এই টপ ফ্লোর থেকে।
এখন আর মানুষ মরে না।
মরলে বি জে পি-র লোক মরে
তৃণমূলের লোক মরে
সি পি এমের লোক মরে
এখন আর মানুষ মরে না।
এ রাজ্যে মানুষ থাকলে তো মরবে!
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..