দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
রূপা মেয়েটিকে নিয়ে আমাদের লেডিজ হোস্টেলে প্রচুর গুজগাজ ফিসফাস, আড়ালে অনেককে নিয়েই অনেক কথা হয়, কিন্তু ওকে নিয়ে কথার বিষয়টি একেবারেই আলাদা। আমার কয়েক বছরের সিনিয়র রূপা। কালো সেই মেয়েটির গায়ের ত্বক একদম চকচকে। ওর চেহারায় একটা দেবী দেবী ভাব আছে। আমি অবাক হয়ে দেখি ওর বড় বড় পাতার উজ্জ্বল চোখ। সবচেয়ে প্রাণবন্ত হচ্ছে ওর হাসি। কিছু মানুষ থাকে, যাদের এক পলক দেখেই খুব আপন মনে হয়, রূপা মেয়েটিও সেরকম। আড়ঙের হাল ফ্যাশনের ড্রেস ওর গায়ে থাকে। হাতে একটা হার্ট ঝোলানো সোনার ব্রেসলেট। ও হেঁটে গেলে দুর্দান্ত একটা পারফিউমের গন্ধ পাওয়া যায়, আমি মুগ্ধ হয়ে সেই গন্ধ শুঁকি। ওর প্রতি আমার প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হতে থাকে। আমার চোখের মুগ্ধতা ওর চোখেও পড়ে। মুগ্ধতা এড়ানোর ক্ষমতা প্রকৃতি মানুষকে দেয়নি।
এই লেখাটির অডিও শুনুন এখানে:
অন্যের মুখে শোনা কথা নিয়ে কালচার করার স্বভাব আমার কোনো কালেই ছিল না। রূপার সাথে ক্রমশ আমার সখ্য গড়ে ওঠে। একদিন সন্ধ্যার পর ও আমাকে বলে,
– এই একটা জিনিশ আছে, খাবি?
– কী?
– স্কচ।
– তাই নাকি?
আমি লাফিয়ে উঠি। ও হাতব্যাগের জিপার খুলে এক ঝলক দেখায়, রেড লেবেলের ঝাঁ-চকচকে অর্ধ সমাপ্ত বোতলে লাইট রিফ্লেক্ট করে। রূপার ত্বক তার চেয়েও উজ্জ্বল লাগে। আমার মনে হয়, আগের যুগ হলে ওকে নির্ঘাত পূজা করা হতো। সেইদিন সন্ধ্যার পর রূপা আর আমি ছাদে উঠে যাই। সাথে পানি, রেড লেবেল, বাংলা ফাইভের প্যাক, ম্যাচ, গ্লাস আর ঝাল চানাচুর।
রূপা ওর বাড়ির গল্প করে, আমি সিগারেট টানতে টানতে শুনি। সচ্ছল এবং উচ্চশিক্ষিত পরিবারের মেয়ে ও। আমার মাথায় শুধু ঘুরতে থাকে, ওকে নিয়ে শোনা কথাগুলো কি তবে মিথ্যা? কিন্তু এতোগুলো মানুষ মিলে এরকম মিথ্যা কেন বলবে? এক পর্যায়ে আমি জিজ্ঞেস করেই বসি,
– আচ্ছা, প্লিজ কিছু মনে কোরো না। আমি তোমার নামে কিছু কথা শুনেছি। কথাগুলো সত্যি কী-না সেটা আমি তোমার মুখ থেকেই শুনতে চাই।
– কী শুনেছিস? আমি বিভিন্নজনের সাথে টাকার বিনিময়ে শুই, সেটা?
– হুম।
আমার ভীষণ অস্বস্তি লাগতে থাকে। এই বিষয়টাই জানি কীরকম! আমাদের তো শৈশব থেকেই শেখানো হয়, এরকম মেয়েরা খারাপ। এরা পতিতা, বেশ্যা, নটী, ছেনাল, প্রসটিটিউট। অথচ যে সব পুরুষ ওদের কাছে যায়, সামাজিকভাবে তাদের পতিত বলা হয় না। নট কথাটা আজো সম্মানার্থেই ব্যবহৃত হয়!
রূপা বলতে থাকে,
– হ্যাঁ, যা শুনেছিস, সেটা সত্যি। আমার বাসা থেকে আমাকে যে টাকা দেওয়া হয়, তাতে আমার মোটামুটি ভাবে চলে। কিন্তু আমার নিজের জন্য সবচেয়ে সুন্দর আর দামী জিনিশ পছন্দ। কী, আমাকে খুব সুপারফিশিয়াল মনে হচ্ছে?
আমি উত্তর দেই না, ওর হাতের সিগারেটের আগুনের দিকে তাকিয়ে থাকি। আসলেই আমার ওকে সুপারফিশিয়াল মনে হচ্ছিল। গ্লাসে চুমুক দিয়ে রূপা আবার বলে,
– দ্যাখ, আমি জানি এগুলো খুব গ্রহণযোগ্য কোনো বিষয় নয়। কিন্তু ভেবে দ্যাখ, ছোট একটা শহরে আমি বেড়ে উঠছি, গায়ের রঙ কালো বলে আমাকে কী পরিমাণ কথা শুনতে হয়েছে জানিস? কেউ বিয়ে করবে না, বাবামায়ের গলার কাঁটা হয়েই থাকতে হবে। একটা শিশুর মনোজগতে এসব কীরকম প্রভাব ফেলে, তুই জানিস? যেন বিয়েটাই জীবনের একমাত্র মোক্ষ!
– কেন জানব না? আমি নিজেও তো এগুলো শুনেছি…
আমি প্রতিবাদ করে উঠি। আমাকে থামিয়ে দিয়ে রূপা আবার বলে,
– তোর প্রেমিক কি তোর গায়ের রঙের জন্য ছেড়ে গেছে? কই, বিছানায় যেতে তো ওর গায়ে লাগেনি! পুরুষ যদি এরকম সুপারফিশিয়াল হতে পারে, আমি হলে ক্ষতি কী? প্রেমের নামে বিনা পয়সায় শোয়ার চেয়ে, আমি এটাই প্রেফার করি। কোনো আশা নেই, তাই হতাশও হতে হয় না।
দূরের স্ট্রিট লাইটের আলোতে আমি দেখি, রূপার চোখ ছলছল করছে। আমি ওর কাঁধে একটা হাত রাখি। কিছু কষ্টের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই, ভাষা হয় না। আমার চোখ জ্বলছে! আমি খুব বিরক্তি নিয়ে ভাবতে থাকি, আমাদের ভাষা এতো সীমাবদ্ধ কেন?
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..