প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
লেখাপড়া করে যে
গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে
এই শ্লোকে সমর্পিত আমরা
বছরের পর বছর গাড়ি ঘোড়া বশ করতে প্রাণপাত
মানুষ হওয়ার চেয়ে গাড়ি হবো
ঘোড়া হবো
আমাদের মা বাবারা জানেন
এই মন্ত্রে উৎকোচ বশীভূত হবেন
এবং উপরয়ালাও
ওখানেইতো বসে আছে গাড়ি
দাঁড়িয়ে আছে ঘোড়া
কোনো হাঁকডাক ছাড়াই আকাশ থেকে ঝরে পড়বে বৃষ্টিবৈভব
দেবতারা বেড়াতে আসবেন
মহাভারত থেকে
ইলিয়াড় অডিসি
রামায়ণ থেকে
বর দেবেন – দুধভাতের বদলে বারবিকিউ -শ্যাম্পেন
বস্ত্রহরণের আনন্দে নাচবে দ্রৌপদীরা
আমরা লেখাপড়া করবো
গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে দেখা করতে যাবো -দুর্যোধন জগৎশেঠ রায়বল্লভ
মীরজাফর ঘসেটি বেগমের সাথে
আর মানুষ হবার সব পথ হারিয়ে
অনবরত গাড়ি ঘোড়া দালান কোঠার
জঙ্গলে ঢুকে পড়বো
স্মৃতির অশ্বারোহী ফিরে আসি কাতর শৈশবে
যখন সবকিছু মূল্যবান ছিলো
চিনেবাদাম চকোলেট আইসক্রিম
মেলায় কেনা সবুজ টিয়ে আজো
কাঁধে এসে বসে
ঠোঁটদুটো সেরকমই লাল
গরম জিলাপি জিভ টেনে
লম্বা করে রাখে
পাঁপড় হাসতে হাসতে ভেঙে পড়ে
হাতের তালুতে
পয়সা জমিয়ে কেনা দুরবিন
তাকায় আত্মহারা দিগ্বিদিক
আর আরব্য জিনদের জাদুবলে কি
আশ্চর্য সবকিছু বড় হয়ে যায়
মানুষ- প্রকৃতি
স্মৃতির মহাদেশে সবই বর্তমান
এখনো চাঁদ ঘুমোতে যায়
আমার পকেটে
সূর্য দেরি করে পশ্চিমে ওঠে
আজো পত্রিকার শিরোনামে সাঁতার কাটে বঁড়শিতে গাঁথা সংবাদ
ছাপা হয় নতুন নক্ষত্রে জেসোলিনের
বেতার দুরবিন
কিন্তু আমি খুঁজছি কৈশোরে কেনা
সেই অমোঘ দুরবিন
আবার সবকিছু দেখবো বড় বড়
মানুষ ও প্রকৃতি
কোনোদিন কেউ হেরে যায় আর
কোনোদিন কেউ জেতে,
একদিন আমি হেরে যাই খুব
শুয়ে থাকি বুক পেতে।
কোনোদিন কেউ কুম্ভকর্ণ
কোনোদিন কেউ জেগে,
একদিন আমি বিনিদ্র থাকি
অতৃপ্ত উদ্বেগে।
কোনোদিন কেউ মরে যায় আর
কোনোদিন বেঁচে ওঠে,
একদিন আমি বেঁচে থাকি আর
মরে যাই সংকটে।
কোনোদিন কেউ নিরুদ্দিষ্ট
একদিন ফিরে আসে,
কোনোদিন আমি সন্তর্পণে
মুখ ঢাকি সন্ত্রাসে।
কোনোদিন কেউ ভেঙে ফেলে ঘর
এলোমেলো পায়ে ফিরি,
একদিন আমি অনুশোচনায়
অনন্ত হারিকিরি।
কোনোদিন কেউ ডিডেলাস হয়
কেউ পিতা ইকারুস,
একদিন আমি কিং সোলোমন
একদিন ইউনুস।
আমি তাকে চিনি তার তারুণ্যের রৌদ্রদিন দেখেছি অনেক অক্ষরের বীজ থেকে শস্যদানা মননভূমিতে পুত্রের প্রতি মাধ্যাকর্ষণ কী অসীম স্ত্রীকে দিয়েছিলো আঙুলের আশ্চর্য চিরুনি তাকে চিনি আবেগের অগ্নিগিরি নির্ভয় উল্কা শলাকা সাপের সঙ্গমে গাঁথা কণ্ঠ গল্পে ঠাসা অন্ধকার মুখভর্তি রাজধানী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিজ্ঞাপন জীবনের নিজস্ব নদী আছে বালি ও শামুক প্রতিটি ঢেউয়ের বাঁকে ভাঙনের স্বর তাকে চিনি প্রথা ছেঁড়া আগুনের পাখি প্রবাল দুঃখ থেকে জেগে ওঠা দারুচিনি দ্বীপ সর্বনাশ চোখে নিয়ে বসে থাকা দগ্ধ একিলিস
তুমি জেগে থাকতে বললে বর্গির বিরুদ্ধে
আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম
যেতে বললে মঙ্গলে
আমরা কাঁথার অমঙ্গলে উড়ে বেড়াতে লাগলাম
দেখিয়ে দিলে রণাঙ্গন
পরিয়ে দিলে হিমালয়ের মুকুট
সব ছুঁড়ে ফেলে আমরা নন্দলাল হলাম
চিনিয়ে দিলে অমৃত
আমরা পাতাল সেঁচে নিয়ে বিষ নিয়ে এলাম
তুমি এনে দিলে স্বাধীনতা
আমরা প্রেমে পড়লাম পরাধীনতার
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..