দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
নাকোলাহলের রাত, রাত পথতোলা অকিঞ্চিৎকর মেয়েদের ব্যবহারজনিত, রাত বাসখোর এক রডের ডগায় মেয়েদের মেয়ে বলে গেঁথে দেওয়া
পরে রাতকলি গাইতে হবে না?
আরো পরে,যে হাসতে হাসতে যাবে আর কাঁদতে কাঁদতে ফিরবে না তার বাবার নাম স্বপন স্বপন বাসের দিকে তাকিয়ে থাকে
পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে,পুলিশ ছুটে যায়, তেরি মা কি..
বাবা স্বপন আর কী করবে
কী করবে পৌরুষ নিয়ে..
সব পার্টি অফিস সব খবরের কাগজ সব টি.ভি চ্যানেল, সব বাজার, সব সরকার
নমিত
কীভাবে করেছিলো…রড…মোমবাতি…বোতল…আপনি মা, বলুন
মা, নমিত
পুলিশ থাপ্পড় মারে, সরকার রেগে যায়, কবি কবিতা পড়ে
রক্ত বন্ধ হবে
সেলাই পড়বে, আর দাগ থাকবে, ছোট্ট ভয়ঙ্কর একটা দাগ
নমিত না অর্ধনমিত একটা দেশ, শুধু পুরুষ বেঁচে থাকে, মেয়েরা বেঁচে যায়..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..