প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এভাবেও মৃত্যু রেখেছে হরবোলা। প্রপঞ্চ ঢেউ —
দোলায় না আমাদের জোনাকি বাগান তবুও
বাতাসের সুফি মিলে যায় মাটির পাখির ডানায় —
ডানায় পুনর্জন্ম : কথা দিয়া বন্ধু ফিরে না আসিলা
ক্রমে টুকরো টুকরো এই বিপুল বিষুদবার,
এইটুকু ফাঁকে মিলিয়ে নাও ক্ষত্রিয় প্রেম ঘোড়ায় রাজায়
শাদাচোখ ≠ যুদ্ধ ≈পোয়েট্রি = ০ এ
কুয়াশায় আগ্রহ হারায় একদিন, বেহুলাবেলায় মাছরঙা বৌ —
সিলেটী সবুজে হেসে টলে পড়ে সদরে আর
এইসব ফর্সায় খুব ক্রীম মেখে শীতকালে—
লেপের ভিতরেই প্রজাপতি খানিকটা নার্সারী আঁকে।
[পাঠকগণ একবেলা ঝরোকার ঝংকার বিন্যাস ভুলে যান
আর এই কবিতাকে মৃত ঘোষণা করে কবিকে—
পোয়াতি করে তুলুন তুমুল উচ্ছাসের সংবেগে…]
পায়রার পায়ের মতো লাল ডালিম ফেটে
বেরিয়ে আসে পাখি। জানালার কাঁপন,
তোমার মুখ ওড়া রঙের ভিতর গড়িয়ে যায়
যেন আপেল গড়ানো ভোরে একটা ট্রাম —
পাখির ডানা নিয়ে উড়ে যাচ্ছে বৌ-বাজার।
তখনও বাড়ির সদর ঘুমে। তবুও নিমফুলের
কামিন হাওয়া সকাল অব্দি ইন্দ্রজালে আমাকে
ভিজিয়ে রাখে ফেনায়। কতদূর আনোখা—
কোলাহল হাতের মুঠি খুলে —রেল কলোনির
মেয়েটির মুখে লেপ্টে দ্যায় পাখি আঁকার
রসায়ন, জানো? —
মথের শরীরে শীতঘুম।
ভাবি কোন কালে সমুদ্রমন্দির থেকে কাঁথামুড়ি দেয়া স্বপ্ন —
বনের কোরক ফোটার মতো নিষিদ্ধ হয়ে গেছে
কীর্ণ দরজায় লুব্ধক জ্বলে,
ম্লান হওয়া আপন নারীমুখ কথা জানতে চায় —
কীটের উদ্ভবে মরে গেছে কি বসন্ত?
পাখি কেবল পুবদেশ ছেড়ে
রক্তনখরে উড়ে যায়
আর তার ভাঙা ডানা,ত্রস্ত চোখ জুড়ে কারও ভালোবাসা উন্মাদের মতো তরঙ্গ তোলে
এতদূর — এতদূর — এতদূর — শুধু কুয়াশা
ফিরবো বললেই তো ফেরা যায় না —
দৌড়ে যাই।
কুয়াশা পেয়ে যায় সাইকেল —
আলোকের আবাহন ক্রিং ক্রিং
জলের দিকে ধানসিঁড়ি
নৃত্যকৌশল খুলে রাখছে কাচ। কোনক্রমে —
কমলালেবু, কাঠের বাড়ি, হিলহিলে সাপের চলা পথ
তাতে অধুনা শীতকাল।
আয়নার ভিতরে পাখি,
পালক ভিজিয়ে
বসে থাকা চুপচাপ।
খড়ের বালিকা তিনবেলা পরমান্ন খায় আর —
প্রজাপতি প্রসব করে মায়াতাপ।
স্থির, অচঞ্চল
তুমি কর্জ হয়ে যাও
চোখের ভিতরে একা —
একদা উথলে ওঠে দুশো নটিক্যাল দূরের সন্ধে।
কুয়াশার খরগোশ; তার হাসিতে গজিয়ে উঠেছে—
অসংখ্য অসতী অন্ধকার।
আর মৃত সিংহের কেশর উড়ানো ঘুমে—
হঠাৎ আমার প্রিয়তমা হয়ে গেল কাঠের চিরুনি!
যার প্রতি দাঁতের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা কবেকার
পোড়া মাংস + ফ্রয়েডের হলুদ চোখ শাহাবাগ নয়
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের দিকে হেঁটে গেলে —
আমি বইমেলার গেটে একা দাঁড়িয়ে থাকি…
যে ধুলায় বালিকাবেলার নাম পেরিয়ে যায়
অস্তরঙ।
ওইদিকে মাটির মতো কি যে মায়া দেখায়—
শাদাবাছুরের গ্রীবায় ঘুঙুর
গ্রীষ্ম অব্দি ভেজা রঙধনু।
কোথাও খড়ের গাদায় পালক লুকিয়ে একটা মাটির পাখি একা
দিগন্ত উগরে দিচ্ছে শিস
ওই শিসে—
খুঁজে নিয়েছি কুমারপাড়া।
গতজন্মের সেইসব লালহাঁসের স্তনে ফুটে থাকা জোনাকির ভাষায়
কত ভোরের বাউল!
মাটির দেয়াল ঘেঁষে গজানো রোদ ফুলে তোমার ঠাকুরমা দু’ফোটা একদা উস্কে দিয়েছিল
কবেকার গানধর্মী বায়ু।
যোগাযোগ খুলে সেসব সন্ধের দানা
পল- অনুপলে শেখায় সন্ধি, ওড়া
তিতলির ডানায় —
নিঃশ্বাসটুকু নিশিভর্তি চাঁদ,
অমা’র ত্বকে ফুটে ওঠা হাটখোলা
অন্য কোন রজঃহাওয়ায় উপুড় হয়।
বরফের পাপড়ি চুয়ে নেমে আসে মেঘ, রাঙা কুয়াশা —
এই হেমন্তে তোমাকে চিনেছি আলকুশি ফর্সায়
দোলায় এই যে কাঁপন,
মথের শরীরে গভীরতর শীতের ঘুম, অসত্য বিষ্ময়টুকু পরস্পর মুখোমুখি —
কতদূর শস্যের সমাপ্তি।
লীন হওয়া শীতে — রবার উপত্যকা জুড়ে
শিশিরের শিফন ওড়া বাতাস কাঁপায় সান্তারার ত্বক,
হলুদ মাখানো ব্রণের ম্যাজিকে
তুমি হও সুজাতা।
ওই সুষমার ঘ্রাণটুকু থেকে
খৈ রঙা পশমের তুলারু ছোটে লুপ্ত গুহার দিকে —
যেখানে অনন্ত বুদ্ধের মতো টেরাকোটা জোসনার চাষ মিশে আছে
আর আমাদের সমস্ত ভালোবাসাবাসি
আকাশের সঙ্গে মৃত্তিকার, জলের সঙ্গে হাওয়ার…
কয়েকজন ভেজা ফড়িঙ কাঁচাবাজারের দিক থেকে হেঁটে যাচ্চে বাড়ির পথে ; হাতে উচ্ছে, আলু, কচু… বিকেলের বৃষ্টি কলার উঁচু করাতে পৌর লাইটগুলো জ্বলে উঠেছে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই। তবুও যেন আলোর রশ্মি ঠিক কারো চিবুকে চুমু চাটতে পারছে না। আলো স্ট্রীটের বিপরীতে অন্ধকার গিলে ফেলা গলি থেকে দু’জন কমলালেবুকে নিয়ে একজন শামুক কাঁদা ও গর্ত বাঁচিয়ে খুব ধীরে প্যাডেল দিয়ে চলে গেল ডানদিকে যেদিকে বড় একটি সাইনবোর্ড ঝুলছে তাতে সুন্দরী বাঘিনী… ওপাশের দালানের রঙিন জানালা বন্ধ ছিল এতক্ষণ বোধহয় বৃষ্টির ছাট ঢুকছিল বলে বন্ধ ছিল। এখন ঠান্ডা হাওয়া খুব জোড়ে হেসে ওঠায় জানালা হাট করে খুলে গেছে আর একজন হাঁসিনী একটি পুংকেশর অনবরত চুষে যাচ্ছে অল্প আলোয়…
ওইদিকে বাবা প্যাচপেচে কাদা হয়ে বসে আছে। মা ও জোনাকিপোকা বাবাকে ঘিরে গাই’ছে শরত দুঃখ। হারাণ কাকার চায়ের ঠেকের ঝাপে পোস্টার সেটেছে কেউ — নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি : “আত্মাকে সহজ উপায়ে বের করে দিন ” এই অভিনব পদ্ধতির ওপর একজন অনভিজ্ঞ প্রশিক্ষক চাই। বেতন আলোচনা সাপেক্ষ । যোগাযোগ: ডিস্টেন্স অফ লাই নিবাস ২৪×৭ শেষ বিদ্যালয় গলি, কাপড়খোলা… আমি খুব করে প্রস্তুতি নিচ্ছি চাকরিটি যদি পাই… বাবাকে রোদে শুকাতে দিব…
বোঁটাগুলো ভারী, দুধের ফুল ফুটে উঠেছে। অতিদূরে শরতে কুয়াশায় আমি ঢুকেপড়ি,যেভাবে সচরাচর কেউ ঢোকে না।
পাশাপাশি —আমি ও ত্রিভুজ। আমি জন্মসূত্রে কাফের,ত্রিভুজের জন্ম তীক্ষ্ণ। আমার শরীর ঘনঅরণ্য। আর ওর পাতাকপির মতো সবুজ।যেন তার প্রতিটি শিরা-উপশিরায় অনেক আর্য পুরুষভ্রূণ সমাধিস্থ।
আমাদের দু’জনেরই পছন্দ—আকাশ এ্যন্ড আঁধার। আমারা সমুদ্র ডট কমে অর্ডার করলাম এক পৃষ্ঠা চন্দ্রকিরণ। তারপর চন্দ্রকিরণ খেতে খেতে হাঁটতে লাগলাম আর দেখলাম ত্রিভুজের বোতামগুলো খুলে যাচ্ছে ধীরে- ধীরে।আমরা—
এখন যেখানে তার শীর্ষে পাহাড় ডানে নৈঃশব্দ্যের রঙিন গন্ধ, বামে খানিকটা শাদা বরফ আর পেছনে সরল সংলাপ—
তুমি এসো, একবার যদি বোঁটা কামড়ে ধরতে পারো তবে তোমায় ফুলের ভেতর দিয়ে আলোকবর্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে সাদাবাড়ির সিংহদরজায় পৌঁছে দেবো।
আমিও ওড়া পরাগের মতো কাছে গেলাম… এরপর তিনবার ত্রিভুজ ভিজে উঠলো —
আধেক তরল। রক্ত খেয়ে যাও চোখের দূরত্ব।পোষাকের থার্মোমিটার— তাপ উঠছে চাকায়। ফোলা ফুলের গতর বেয়ে নেমে যাও আলোর বিসর্জন।
তুমি : একাকিত্ব
টাকা : খুচরো করে নিলেই মুক্তি।
১০. যেখানে কোম শিরোনাম নেই : ১
সন্ধেরা ভেঙে টুকরো টুকরো হলে —
কেউ কেউ জোনাকির জ্যামিতিতে ত্রিভুজ ছড়িয়ে দেয়
আলো : তথাগত
নির্জনতা : প্রাণমণ্ডল
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..