আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অলৌকিক রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আবার
হাঁটতে শুরু করলাম আমরা
স্বরবর্ণের মতন সন্ধে নামে আমাদের
শহরে
অসুখ ভুলে যাই
ভালোবাসি পটেটো চিপস
ডাইরিতে বৃষ্টি লিখছেন তুলারাশির
জাতক
নিচু হয়ে আসা একটা রাস্তা
বিরল হতে থাকা একটা রাস্তা
ইতিহাসবই থেকে নেমে আসা
গেরিলাযুদ্ধ
দিদির পানের বাটা
ভোতা হয়ে যাওয়া বল্লম
পশমের কম্বল দিয়েই কাটিয়ে দেব দীর্ঘ
শীতকাল
শূণ্য মাঠের ভেতর ম্যাজিক
ম্যাজিকের ভেতর মায়া
ফড়িঙ চতুর বলেই আত্মজীবনী জুড়ে
থাকে
তোমার দিকে শালবন
বাতাস জড়ানো সাঁকো
ট্রিগারহীন বন্দুক হাতে সমবেত
গেরিলারা
‘এই শীতের ভেতর কি বৃত্তান্ত রেখে গেলে
তুমি’
সেই ডাইনির বিলে ডুবে মরা নুরী পাগলী
গাছে গাছে ঝুলিয়ে রাখা আমাদের
পরমায়ু
এখানে বিস্তারিত হবার মত কোন পরিসর
নেই
বকনা বাছুরের সাথে জমে ওঠে সখ্যতা
আর নখে হলুদ নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে
ডাকপিওন
জল খাবার পর গ্লাস নামিয়ে রাখছেন
টেবিলে
এই প্লাবন ভুলতে বসা জনপদ
রোদের বিস্তার থেকে কেমন গুচ্ছ
শালিখ
ক্যানভাসে পরিসর খুঁজছেন আপনি
পটভূমি পালটে গেলেও
চুপি চুপি বেড়াতে আসে সেই
বুড়ো শেয়াল
সরলরেখার মতো আমাদের সব
দিনকাল
শান্ত সরোবর।
আশটে গন্ধের ফাঁকে গুঁজে দেওয়া
বাক্যবন্ধ
ইঁদুরের গর্ত থেকে কাহিনি বের করে আনি
উঠোনে ছড়িয়ে থাকা স্মৃতি
কথারা ভিড় জমাচ্ছে গাছের
ছায়ায়
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..