নাগরিকত্ব
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
অলৌকিক রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে আবার
হাঁটতে শুরু করলাম আমরা
স্বরবর্ণের মতন সন্ধে নামে আমাদের
শহরে
অসুখ ভুলে যাই
ভালোবাসি পটেটো চিপস
ডাইরিতে বৃষ্টি লিখছেন তুলারাশির
জাতক
নিচু হয়ে আসা একটা রাস্তা
বিরল হতে থাকা একটা রাস্তা
ইতিহাসবই থেকে নেমে আসা
গেরিলাযুদ্ধ
দিদির পানের বাটা
ভোতা হয়ে যাওয়া বল্লম
পশমের কম্বল দিয়েই কাটিয়ে দেব দীর্ঘ
শীতকাল
শূণ্য মাঠের ভেতর ম্যাজিক
ম্যাজিকের ভেতর মায়া
ফড়িঙ চতুর বলেই আত্মজীবনী জুড়ে
থাকে
তোমার দিকে শালবন
বাতাস জড়ানো সাঁকো
ট্রিগারহীন বন্দুক হাতে সমবেত
গেরিলারা
‘এই শীতের ভেতর কি বৃত্তান্ত রেখে গেলে
তুমি’
সেই ডাইনির বিলে ডুবে মরা নুরী পাগলী
গাছে গাছে ঝুলিয়ে রাখা আমাদের
পরমায়ু
এখানে বিস্তারিত হবার মত কোন পরিসর
নেই
বকনা বাছুরের সাথে জমে ওঠে সখ্যতা
আর নখে হলুদ নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে
ডাকপিওন
জল খাবার পর গ্লাস নামিয়ে রাখছেন
টেবিলে
এই প্লাবন ভুলতে বসা জনপদ
রোদের বিস্তার থেকে কেমন গুচ্ছ
শালিখ
ক্যানভাসে পরিসর খুঁজছেন আপনি
পটভূমি পালটে গেলেও
চুপি চুপি বেড়াতে আসে সেই
বুড়ো শেয়াল
সরলরেখার মতো আমাদের সব
দিনকাল
শান্ত সরোবর।
আশটে গন্ধের ফাঁকে গুঁজে দেওয়া
বাক্যবন্ধ
ইঁদুরের গর্ত থেকে কাহিনি বের করে আনি
উঠোনে ছড়িয়ে থাকা স্মৃতি
কথারা ভিড় জমাচ্ছে গাছের
ছায়ায়
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..
তোমায় নিয়ে বাঁচি একদিন আমাদের পৃথিবীটাকে সূর্যসমেত গিলে খাবে একটা কালো বিন্দু সেদিন কি পুরো…..