দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
দু-তিনটে ঢিল উঠানে এসে পড়তেই টমি চিৎকার করে জানান দিচ্ছে যে বিচ্ছুগুলো আজও দুষ্টুমি শুরু করেছে। প্রতিবছর এইসময় দুপুরবেলা একটু শান্তিতে বিশ্রাম নেয়ার উপায় নেই, ঢিলাঢিলি চলতেই থাকে। সে ছোটরা তো এসব করবেই, মায়ের মুখেও দেশের বাড়ির গল্প শুনেছে অনেক, আম, লিচু, জামের সময় পাড়াগাঁয়ে কি হতো! কিন্তু এমন আধুনিক শহরেও যে একটা- দুটা গাছ বাড়িতে থাকলেও এই অত্যাচার চলতে পারে তা অপ্রত্যাশিত। রিমি প্রায়দিনই দুপুরে বিশ্রাম করেনা, এদের জন্য। আম পারবি পার! কিন্তু একটা ঢিল কারো মাথায় লাগলে তো বিপদ। শুধু কি ঢিল! ইঁটের টুকরো, কংক্রিটের টুকরো কিছুই তো বাদ যায়না। অনেক বকে, বুঝিয়ে ভয় দেখিয়েও কাজ হয়নি। এখন গোনাগুনতি দশ-বারোটা আম হয়তো হবে গাছে।
ঠিক দুপুর তিনটার দিকে ধুপধাপ শব্দ হতেই টমির চিৎকার শুরু, রিমি খুব ধীরে দরজাটা খুলে অতি সাবধানে কাঠেরসিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে আসে। ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্কের সাথে গোলাপজামের গাছের ডালপালা এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যে তিনজন লুকিয়ে থাকতে পারে। রিমি বাইরে পরিস্কার দেখা যায় এমন জায়গায় বসে। যা ভেবেছিল তাই, প্রাচীরের দুইদিকে দুজন উঠে গুলতি তাক করে লক্ষ্যভেদ করতে তৎপর। দুই শিকারীর বয়স দশ থেকে এগারো, লক্ষ্য এক জায়গায়, দুটো আম একসাথে ঝুলছে, লাল টকটকে সিঁদুরে আম। প্রাচীরের ওপাশে পটকাদের বাড়ির সামনে খালি জমি, বাচ্চারা খেলাধুলা করে, কিনার দিয়ে ছোট ছোট কচু গাছ, ঢেঁকি শাক, দন্ডকলস হয়ে আছে, অনেকেই তুলে নিয়ে যায় পরিস্কার জায়গা দেখে। একটা বছর বারো-তেরোর মেয়ে বাজারের ব্যাগ রেখে কচুপাতা ও ঢেঁকিশাক তুলে রাখছে।
হঠাৎ রিমি দেখে আম-শিকারীদের লক্ষ্যভেদ সম্পূর্ণ হয়েছে, আমদুটো যথাস্থানে নেই আর দুই শিকারী লাফ দিয়ে প্রাচীর থেকে মাঠে। এবার শুরু হলো অনুসন্ধান পর্ব। সারামাঠ তারা ছুটে ছুটে আমদুটো খুঁজে চলেছে, এ বলছে আমার টিপে ও বলছে আমার টিপে। কিন্তু আমের দেখা নেই, দুজনে দুজনের জামাপ্যান্টের পকেট সার্চ করছে। মেয়েটির শাকপাতা তোলা শেষই প্রায়, সে ব্যাগটা উঠিয়ে কিছু না বোঝার ভান করে সেখান থেকে হাঁটা দিল। ইতিমধ্যে আম খুঁজে না পেয়ে দুই শিকারী মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। মেয়েটি যেতে যেতে পেছন ফিরে মুচকি হাসে, না চাইতেই পাওয়া আনন্দ ব্যাগে নিয়ে বাড়ির পথ ধরলো। তিনমুর্তির ম্যাটিনি শো দেখে রিমি ছাদ থেকে নেমে বিছানায় কাগজ পেন নিয়ে ছবি লিখতে শুরু করলো।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..