দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
যতই ঝুলন খেল তুমি, আমি ঝুলছি না …
ঝুলবারান্দায়…
যতই ফুটুক নন্দন কানন …
আকাশলীনায়
ঝুলছে … ঝুলুক … ঝুলন পূর্ণিমা …
ঝো-লা-ঝু-লি
ঝুলন ঝুলন খেলায় … মেলায় … ঝুলন্ত উদ্যানে …
পাবে না ভুবন…
কৃষ্ণরাধা
খেলছে … খেলুক … ঝুলন যাত্রায় …
ঝো-লা-ঝু-লি …
ঝুলন ঝুলন খেলা …
শেষে
কালিঝুলিমাখা সংসারে
ঝুলাবে আমাকে … তা … হবে না …
য-ত-ই
ঝুলন খেল, ঝুলন্ত পার্লামেণ্টে … আমি ঝুলছি না …
লজ্জাবতী লতা।
ব্যালকনীর গ্রীলটাকে পেঁচিয়ে রেখেছে ফুলেল সৌন্দর্য্যে! …
একটুও লজ্জা পাচ্ছে না! …
কেবলই
আলতো ছোঁয়ায় বাঁধ, ছুঁলেই নুইয়ে পড়ে, থ-র-থ-র! …
লজ্জাবতী লতা
দুলছে বাতাসে,
কাঁ-পা-কাঁ-পা শরীরের সুষমায়
ভাঙে আড়মোড়া,
সবুজ শরীরে মাখে ভোরের রোদ্দুর …
এ-ক-টু-ও
লজ্জা পাচ্ছে না! …
কেবলই
আলতো ছোঁয়ায় বাঁধ, ছুঁলেই নুইয়ে পড়ে, থ-র-থ-র! …
ভাবখানা এমন—
যেন
সন্মুখে পড়েছে, আহা রে মরণ!
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..