দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
এই ক্ষুদ্রবুদ্ধি প্রাণ আর এত বল্মীক-নির্মাণ,
বলো, কাহাতক! সব পাখিচক্র পুষ্পঘুমচক্র
অনশ্বর মনে হয়, একটু পরে, হাওয়ায় শয়ান!
তোমার স্বপ্নেরা উড়ে যায় বজ্রদগ্ধ আতাগাছে,
মাঝরাতে, আতাগন্ধ ছড়ায় যখন, চারিদিকে
যৌনপ্রবন্ধেরা জাগে, শব্দ যাকে ফকির করেছে,
ফিরেছে সে চুপি চুপি অবিরাম পেখম হারিয়ে
অন্ধ শিক্ষিকার ক্লাসে, ধূধূ-করা মাঠের নির্জনে।
তাবু তীর্থ নাভি ঘাস এইখানে একাকার যেন,
শিক্ষিকার তাবু তীর্থ নাভি ঘাস এবার তোমার!
ব্যাখ্যাতীত সব দৃশ্য ভেসে যেতে থাকবে তারপর
ভেবে নিও, এই বালিঘরে, কী কী রাখা যাবে আজ
লাল পরচুলা ছাড়া। তখন অস্তিজিজ্ঞাসা শুধু,
বিপুল লাঞ্ছিত পুষ্প খসে পড়ে শিক্ষিকার কোলে।
মৃত্যু আসে সম্রাজ্ঞীর বেশে, স্মিত হেসে ইশারায়
তার হাতে-ধরা একবাক্স চকোলেট নিতে বলে।
একবাক্স চকোলেট পেয়ে গেলে কতদিন আমি
কারুবাসনার মতো অপরাহ্ণে আগলে রেখেছি।
অপরাহ্ণে পার হই বালুঘড়ি, শিউলির স্তূপ,
ত্রস্ত পায়ে রাক্ষস-বাগান পার হয়ে ফিরে আসি
বুনো ঘোড়াদের গূঢ় রাত্রিতামাশার ঝর্ণাকেন্দ্রে—
সেই রাতে কখন-যে মাথা বিক্রি করে চলে গেছি
ছদ্মযৌনতার কাছে, তারপর সেই কাটা মাথা
কোলে করে হেঁটে যেতে যেতে তেজোমূর্তি হল কেউ।
যেখানে রজন ঝরে, ঝরে পড়ে শুধুই রজন।
গোপন বাজারে আমি একবাক্স চকোলেট নিয়ে
কাম-ঘুঘু সন্ন্যাসীর মতো ঘুরে বেড়াতাম কবে!
আমার মাথায় আজ ঝরে পড়ে শুধুই রজন…
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..