প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
আমার পুরোনো গল্পে এসে শয্যা পাতে রত্নাকর,
ঘুমিয়ে পড়ার আগে পাতা-ঝরা গাছটিকে বলে,
‘কাজুবাদামের প্রতি লোভ কেন এখনো গেল না,
আহত ঘোড়ায় আসে কেন সেই নগ্ন বায়ু-সেনা?’
জগতের কেন্দ্রে ক্রমে পাখিদেবতারা জড়ো হয়—
কাজুবাদামের গাছ জগতের প্রবেশ দুয়ারে
যারা ফেলে এসে কাঁদে, আর শাদা পাথরের দেশ
পার হবে বলে ঈগলের পায়ে বেঁধে দেয় চিঠি,
আজকে তাদের ধরে এনে মধুপুর গল্পে রাখো।
তোমাদের মাথা থেকে সব বুদ্ধি বেণী ছন্দ স্বপ্ন
একে একে খুলে রাখো রত্নদীপ শিয়রের কাছে।
ঘুমন্ত সমুদ্র থেকে উঠে এসে একটি কচ্ছপ
বলে, দেখো ফের শুরু হলো অলৌকিক পাতা-ঝরা,
আজও কিছু ভ্রান্ত থাকো বেনেবউ এখনো মুখরা—
যাও মেঘ, ভূ-মণ্ডল বনস্পতির নিকটে যাও,
তারে গিয়ে বলো, মরণের পরে থাকে শুধু গান।
শরীর মন্থনে আছে সুখ, তবু এক দুঃখী-জ্ঞানী
তরমুজ মদ আর নভোছক পাশাপাশি রেখে
সুখ খোঁজে তাতে। শোনো মেঘ, তুমি তো অমন নও,
পার হও বাঘিনীর আত্মরতি, লবণ-পাহাড়।
পৃথিবীতে পড়ে থাক চন্দন ঘষার গোল পিঁড়ি,
হেরম্ব বধূটি পড়ে থাক বাঙলা হরফের প্রায়।
মাধবী টিলায় বসে অনেক সাধের শ্যামজ্বর
শেষ হয়ে এলে দেখি বাদামি গম্ভীর চন্দ্রোদয়।
কী অনৈসর্গিক আলো, কী নির্জন দৃশ্য-ভায়োলিন
রচিত হয়েছে, মেঘ! হৃদয়ের মুগ্ধ অপচয়
আবার আরম্ভ হল, বসে রইল সাতটি তক্ষক
পাতার আড়ালে, আর, রাইক্ষেত দুমড়ে গেল ঝড়ে—
এখানে শাশ্বত মদ পাবে তুমি বিকেলের নদী
নিঃশব্দে পেরিয়ে এলে। বাক্য যত, বন্দি করে রাখি,
কেননা বাক্যই আততায়ী। অর্ধ-বাস্তবতা থেকে
পাঠাই যেসব বার্তা, ওগো মদোত্তীর্ণ পার্শ্বচর,
সেসব তোমার জন্যে। না-লিখে লেখার কাজটুকু
প্রকৃতি যেভাবে সারে, দেয়ালি পোকারা ঝাঁকে ঝাঁকে
যেভাবে মরতে আসে, সে-নিয়মে সে-অপেক্ষাতুর
দেশে চলে এসো বন্ধু। আমাদের শান্ত সরোবরে
এখনো ভৌতিক ছায়া পড়ে। অদ্ভুত মকর এসে
রাত-প্রিজমের মধ্যে বন্দি থেকে রাশি রাশি পাতা
ছিঁড়ে খাওয়ার খেলা দেখায় এখানে। আমি জানি
সেসব অচেনা পাতা ছিল অমিতাভ পুরুষের
লুণ্ঠিত গোপন খাতা। বিকেলের নদীর এপাড়ে
বিস্মৃতির মতো বড় ঘড়ি যেন উল্টো দিকে চলে—
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..