লোরা ও রবিন

রওশন হক
ছোটগল্প
Bengali
লোরা ও রবিন

দিনে শেষে লোরার হাতের এই মালিশ আমি খুব উপভোগ করি। আমার সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়। রাতে ভালো একটা ঘুমের শেষে দারুণ একটা নতুন সকাল আমাকে নিয়ে যায় নতুন দিনের কর্মব্যস্ততায়। সপ্তাহে দুদিন আমি ওর হাতের ম্যাসাজ নিতে আর ওর সঙ্গে আড্ডা দিতে লোরার চেম্বারে আসি।

আজও এসেছি বডি ম্যাসাজ নিতে। লোরাকে কেমন যেন গম্ভীর দেখাল আজ।

কিন্তু ও তো প্রফেশনাল। আজ ওর হাতে কী হলো? ঠিকমতো তাল পাচ্ছি না, চাপের তাল মিলছে না যেন। কোথাও ভারি তো কোথাও হাল্কা। প্রেশার একই রকম না হলে আরাম হয় না। কেমন যেন অস¦স্তি লাগছে। নতুন জায়গা হলে চাপ ঠিক আছে কি না জানতে চাইতো। ও জানে আমি কতটা প্রেশার পছন্দ করি। মেসেজ বেডে উপুড় হয়ে শুয়ে আমি এসব কথা যখন ভাবছি তখনই ভারী গলায় লোরা বলল,

-ফেস মি!

মানে উপুড় অবস্থা থেকে সোজা হলাম। লোরা আর আমি মুখোমুখি। আমি বেডে শোয়া, লোরা আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে। এক ফোঁটা চোখের পানি আমার কপালে এসে পড়ল। নিজেকে একটু অপরাধী মনে হলো যেন।

আজকে আমি কোন রকম হাই-হ্যালো না করেই মেসেজ নিতে সোজা বেডে শুয়ে পড়েছিলাম। যতই বন্ধু হোক ও তো আমার চিকিৎসা করে! ওর বৃদ্ধ মা অনেক বছর ধরে হাসপালে। লোরার মা এলজাইমারসের রোগী। তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। তাই নিয়ে লোরার সব অশান্তি। প্রতি সপ্তাহে মাকে দেখতে চলে যায়। মা না বুঝলেও মন খুলে দুষ্টুমি করে আসে।

-তোমার মায়ের কি বেশি শরীর খারাপ? কেমন আছে তোমার মা!

-শি ইজ ফাইন।

কাঁদতে কাঁদতেই ম্যাসাজও করতে লাগল লোরা।

তাহলে কাঁদছ কেন ? আগে বলো, না হয় আমার কোন ম্যাসাজ লাগবে না।

এবার কিছুটা শান্ত স্বরে বলল, মা আগের মতই আছে। ছেলে দুটা মানুষ হলো না। আক্ষেপের সুরে কথা বলল।

বুঝলাম এবার তার ছেলেদের জন্য মন খারাপ।

এবার সে তার নিজের মত করে বডি ম্যাসাজ করতে লাগল। পুরানো তাল ফিরে এসেছে। আমার ভালো লাগা জমে উঠল।

আবারও কিছু সময় পর লোরা আমাকে কিছুটা অবাক করা প্রশ্ন করতে লাগল। একটার পর একটা প্রশ্ন করতেই থাকল। আমি কিছুটা বিরক্ত বোধ করলাম। সে জানতে চাইল,

-আচ্ছা, তোমরা কেমন করে বাচ্চাদের বড় কর? ওদের কী শেখাও যে ওরা তোমাদের কথামতো চলে? কোন বয়স থেকে শেখাতে শুরু কর?

আমার উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে, কিছু সময় থেমে আবার বলতে শুরু করে,

-আমি বাঙালির বৃদ্ধ একজন রোগীও পাই নি যে একা আমার চেম্বারে আসে, পরিবারের কেউ না কেউ সঙ্গে থাকেই, এমনকি নাতিপুতিরাও তাদের গ্র্যান্ট পেরেন্টসদের সঙ্গে নিয়ে আসে।

আমি চুপ থেকে ম্যাসাজের আরাম উপোভোগ করতে থাকি। ও আবারো বলতে শুরু করে,

-তোমাদের কমিউনিটির মহিলারা তেমন একটা বাইরে কাজ করে না। কেমন করে তোমাদের পরিবারের একজন সদস্য রোজগারে করে আর পরিবারের বাকি সদস্যরা তার ওপর বসে খায়! কীভাবে তোমরা সংসার ম্যানেজ কর?

আজ লোরা আমাদের সমাজ সংসার নিয়ে কেন এত কথা বলছেÑআমি বুঝবার চেষ্টা করি।

আমাকে মেসেজ করতে করতে ও একই রকম কথা বলে চলে। একই সঙ্গে অনেক প্রশ্ন তার। সব প্রশ্নের উত্তর আমারও জানা নেই। দু-এক কথায় যতটা সম্ভব জবাব দেবার চেষ্টা করি। বডি ম্যাসাজ যুতসই লাগে না। তাই তাকে বলি আজকের মত শেষ করতে।

আমাদের সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে লোরার আগ্রহ দেখে ভালো লাগে। আমি ধীরে ধীরে লোরাকে আমাদের দেশের নানান বিষয় নিয়ে ধারণা দিই। আমি ওকে ক্রিকেট খেলা শেখাই। আমাদের দেশের ইতিহাস নিয়ে গল্প বলি। বলি আমাদের ভাষার ইতিহাস। এর সবকিছুই সে মন দিয়ে শোনে। মাঝে মাঝে গুগুল চেক করে দেখে আমি ভুল বলছি কি না। তবে ক্রিকেট খেলা নিয়ে তার সঙ্গে আমার বিরোধ লেগে যায়। এখানেও তার প্রশ্ন কেমন করে এতগুলো মানুষ সারা দিন ধরে কেমন করে ঘরে ও স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখে সময় নষ্ট করি। তবে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মোস্তাফিজকে এখন লোরা ভালোই চেনে।

লোরাকে বলি অনেক জটিল প্রশ্ন করেছ তুমি। অল্প সময়ে উত্তর দিতে পারব না। তবে জানাবার চেষ্টা করব। বলে তার চেম্বার থেকে বিদায় নেই। বোঝার চেষ্টা করি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে ওর কেন এত আগ্রহ।

লোরা মারিয়া ফিজিওথেরাপিস্ট এবং পেইন ম্যানেজমেন্টের ডাক্তার। বেশ বড় চেম্বার, নানান দামি আধুনিক সব মেশিনে দিয়ে সাজানো। চার বছর আগে হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা নিতে এসে ওর সঙ্গে আমার পরিচয়। তারপর থেকে লোরা আমরা বন্ধু।

লোরার বয়স ৫২, দেখতে বেশ সুন্দরী, বয়স বোঝা যায় না। তার জন্ম এখানেই। তার দাদা ছিলেন ইতালির। ওর দুই ছেলে। দুই দুজন দুই স্বামীর থেকে নেওয়া। কোনো বিয়েই তার বেশি দিন টেকেনি, সেজন্য ও নিজেকেই দোষে। তার বেশিদিন কোন পুরুষ মানুষকে ভালো লাগে না। এই প্রথম একজন নারীকে দেখলাম যে কিনা ডিভোর্সের জন্য নিজেকেই দায়ী করছে। ওর কোনো ছেলেবন্ধুও নেই। ছেলেদের ও কম পছন্দ করে।

লোরা আমাকে খুব পছন্দ করে। সময় পেলেই আমরা ফোনে কথা বলি। ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে আমার ঘরের মানুষজন হাসি-ঠাট্টা করে। আমার বরের ধারণা লোরা লেসবিয়ান বলে আমাকে এত ভালবাসে। আর সে কারণেই নাকি তাকে দিয়ে আমি বডি মেসেজ করাই। আমি ওসব কথা গায়ে মাখি না। লোরা ভীষণ আলাপী। মানুষের সঙ্গে মিশে যায় খুব সহজেই। তার প্রচুর রোগী। নানা দেশের নানা বয়সী রোগী তার। মানুষের প্রতি অতি আগ্রহের কারণেই আমি ওকে ভীষণ পছন্দ করি।

আমিও নানা রকম মানুষের মধ্যে থেকে মানুষের ভেতরের মানুষটাকে খুঁজে বেড়াতে পছন্দ করি। এক একটা মানুষ যেন এক একটা গল্প; না গল্প তো নয়, আলাদা আলাদা উপন্যাস!

ওর কাছ থেকে বডি ম্যাসাজ নিতে ফি দিতে হয় না আমার। সঙ্গে হালকা ব্যায়াম করি আর চলে নানান রকম গল্পসল্প। তার রোগীদের গল্প, তার দাদার বাড়ি ইতালির গল্প। ওর কাছে শুনেছি তার দাদি ছিল অপরূপ সুন্দরী বার ড্যান্সার।

ছুটির দিনে আমরা বারে যাই, জমিয়ে মদ খাই। তবে মদের জন্য আমি নেশাগ্রস্ত নই, মদ আমার কাছে নিছক আড্ডার উপকরণ। ছুটির দিনে দুজনের সময় মিলে গেলে কখনো কখনো আমরা ঘুরতে বের হই। লোরা হেলাফিনো মার্গারিটা খাওয়ায়। সেক্স-ইন-এ-বিচ নামের কোন পানীয় থাকতে পারে আমার জানা ছিল না। নানা নামের ড্রিংসের স্বাদ তার জানা। বিল বেশি হলে ভাগ করে দিই। মাঝে মাঝে ও বেশি খেয়ে ফেললে উবার দিয়ে বাসায় পাঠাই। হয়তো ওর সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য ওর চেম্বার আমার কাছে কোন বিল চার্জ করে না।

কথা আছে, আমরা বাঙালিরা নাকি ফ্রিতে পেলে আলকাতরাও খাই, আর এ তো মজাদার পানীয়। ওর এ পানীয়তে ফ্যান্টাসি। ওর নিজের জীবনের প্রতি এক ধরনের উদাসীনতা কাজ করে। তবে রোগী ও চেম্বার তার পছন্দের জায়গা।

একদিন ওকে লেবানিজ বিখ্যাত খাবার খাবসা খাওয়তে নিয়ে গেলাম। সেখানে বসে ওকে সেদিনের কান্নার কারণ জানতে চাইলে ও জানাল, রবিন নামের ২৩ বছর বয়সী এক বাঙালি ছেলে অ্যাকসিডেন্ট করে থেরাপি নিতে তার চেম্বারে এসেছিল। রবিন ওকে অনুরোধ করেছে লোরা যেন তার বাবা-মা কে সব সত্য না বলে। সে যেন বলে তার খারাপ কিছু হয়নি। তার বাবা-মাকে যেন কিছু না জানায়। সঙ্গে এমন কিছু থেরাপি আর ওষুধ দেয় যাতে ও তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে কাজে ফিরতে পারে। কারণ তার বাবা-মাকে দেখার আর কেউ নেই। ছেলেটার বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। তাই কাজ করতে পারে না। বাসায় থাকে আর পেপার পড়ে। ছেলেটা দ্রুত ভালো না হলে তার বাবা-মা বাসা ভাড়া দিতে পারবে না এবং তার বাবা মা না খেয়ে থাকবে।

সব শুনে রবিনের প্রতি তার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা থেকেই সেদিন লোরা পুরো দিন কেঁদেছে। লোরার কান্নার কারণ জানতে পেরে আমারাও মনটা খারাপ হয়ে যায়। ও এতটা নরম মনের! রবিনকে নিয়ে ওর নরম মনের পরিচয় পেয়ে আমি আরো বেশি কাতর হয়ে পড়েছি লোরা মারিয়ার জন্য।

লোরার বাবা নেই, মায়ের বয়স ৮২। নার্সিংহোম তার বর্তমান ঠিকানা। লোরার দুই ছেলে, একটার বয়স ২৯, অন্যটার ২৪। দুজনই ভালো ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে। তারা নিজের পয়সায় চলে। দুই ছেলেই তার সঙ্গে থাকে। এদেশে ছেলেমেয়ে বড় হলে পরিবারের সঙ্গে থাকে না; কিন্তু এই ছেলেদুটো উল্টো স্বভাবের। বাসায় থাকে অথচ মাকে কোনো টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে না। ছুটির দিন ছাড়া তেমন একটা দেখা-সাক্ষাৎও হয় না। লোরা চায় তার ছেলেরা বাসায় থাকার বাবদ ওকে বাসা ভাড়া দিক বা আর না হয় আলাদা থাকুক। এ নিয়ে তার প্রতি মাসেই ছেলেদের সঙ্গে কিছুটা ঝগড়া হয়। এ দেশে ছেলেমেয়ে বড় হলে আলাদা নিজের মতো থাকে।  দূরে থাকতে চায় পরিবার থেকে। অকেশনে দেখা করতে আসে। এখানে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। বাবা-মাও খুশি হয় এতেই।

রবিন ছেলেটার বাবা-মায়ের প্রতি মায়া, চিন্তা আর টেনশন দেখে তার নিজের ছেলেদের কথা মনে করেই লোরা আফসোস করে আর মন খারাপ করে। ওর মতে এ বয়সী একটা ছেলের কত টান পরিবারের প্রতি। আমাকে বলে তোমরা অনেক ভাগ্যবান। আমরা নাথিং গুড পেরেন্টিং করি। ও নাকি আমার মেয়েদের সঙ্গেও কথা বলেছে। তারাও তাকে বলেছে বড় হয়ে জব করবে আর বাবা-মাকে কাজ করতে দেবে না। তারাই বাবা-মাকে দেখে রাখবে।

আমি লোরাকে বুঝাই পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধের কথা আমার ধর্মেই বলা আছে। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত কথাটা আমরা জন্মের পর থেকেই শিখি। তাই অনেকটা ধর্মভীতিও আমাদের মনে কাজ করে। বড় হয়ে সন্তান বাবা-মায়ের সেবা করবে, এটাই আমাদের নিয়ম। মা-বাবা শুধু নয়, পরিবারে বড়দের দেখাশোনার কথা আমাদের সমাজের অন্যতম শিক্ষা, সামাজিক দায়বদ্ধতার শিক্ষার জন্য স্কুলে যেতে হয় না। সমাজই শেখায়। যুগে যুগে এটাই হয়ে আসছে। মা-বাবার মাধ্যমেই আমাদের কাছে গডের ব্লেসিং আসে।

শুধু পরিবার নয় প্রতিবেশীর প্রতিও আমাদের দায়িত্ব আছে। তেমনি আমাদের বাবা-মাও অনেক পরিশ্রম করে আমাদের বড় করেন। অনেকে ক্ষেত্রে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য মা-বাবা সর্বস্বান্ত হন। নিজেদের কথা না ভেবে সন্তান মানুষ করার জন্য আমাদের দেশের পিতা-মাতা তাদের সহায় সম্বল বিক্রি করে পড়াশোনা করায়। বিয়ের পর সন্তান লালন পালনই আমাদের সমাজে পিতামাতার প্রধান কাজ যা তোমাদের সঙ্গে মেলে না। আমরা সন্তান বড় হলে তাদের পছন্দমতো সংসার গড়ে দিতে সাহায্য করি। তারপরও দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। নাতিপুতি দেখাশোনার কাজও আমাদের বাবা-মারাই করেন।

তোমাদের সন্তান পেটে আসার পর থেকে সন্তানের বয়স ১৮ হওয়া পর্যন্ত সরকার বাচ্চাদের ভরণপোষণের খরচ দেয়। তোমাদের স্কুলে পড়তে কোন বেতন লাগে না। কলেজে টাকা দিতে হয় বলে তোমাদের নামি দামি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিরভাগ অন্য দেশের স্টুডেন্টে ভরা। তোমরা সন্তানের বয়স ১৮ হলেই বাসা থেকে বের করে দাও। আমরা বেকার সন্তানকেও বুকে আগলে রাখি। যতটুকু আমার মাথায় আছে তা দিয়ে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি। আমাদের পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ তোমাদের থেকে সমৃদ্ধ। সামাজিক দিক দিয়ে আমরা অনেক উন্নত।

আমি ওকে বলি না যে আমাদের দেশেও এখন বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। অনেক কিছু লুকিয়ে বা এড়িয়ে গল্প করি। এখন আমরাও বৃদ্ধাশ্রমে পিতা-মাতার খরচ আধুনিক মানি ট্রান্সফার এর মাধ্যমে দিয়ে থাকি। দেখা না করে বিকাশের মাধ্যমে আমারই পরিচিত জন বৃদ্ধাশ্রমে টাকা পাঠায়। মা-বাবাকে একনজর দেখতে না যাওয়ার হাওয়া এখন আমাদের দেশেও চালু হয়ে গেছে। আমাদের দেশেও ছেলে বৃদ্ধ মাকে স্টেশনে ফেলে যায়। চিকিৎসার দেবার কথা বলে হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে দিয়ে যায়। মা যেমন সন্তানের সবচেয়ে বড় আশ্রয়, তেমনি বৃদ্ধ বয়সে সন্তানও মায়ের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে অনেক মায়েরই সৌভাগ্য হয় না সন্তানকে আঁকড়ে থাকার। এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধাশ্রমই হয়ে ওঠে অনেক মায়ের ঠিকানা। আধুনিক নগরায়ণের কারণে আমাদের যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে যাচ্ছে। একক পরিবারে মা-বাবা আর সন্তানের প্রাধান্যই বেশি দেখা যায়। যদিও কোনো পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠরা থাকেন, তবে তাঁদের দেখা যায় কোনোরকম আশ্রিত মনোভাব নিয়েই থাকতে হয়। অথচ আগে পরিবারের মুরুব্বিরাই প্রধান হর্তাকর্তা ছিলেন। লোরাকে এর কিছুই জানতে দিই না, চেপে যাই। ওঁকে বিশ্বাস করাই আমাদের পারিবারিক ভ্যালুজ তোমাদের চেয়ে অনেক ওপরে। বোঝাই রবিন তো আমাদের সমাজেরই খাঁটি প্রতিচ্ছবি!

সম্পাদনা: রাখি রশিদ

রওশন হক। লেখক ও সাংবাদিক। রওশন হকের জন্ম জন্ম হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে। লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রামে। ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম থেকে এমবিএ করেছেন ব্যবসায়ী স্বামীর উৎসাহ ও সহযোগিতায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক করেছেন নাসিরাবাদ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে।...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ