আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
আমরা কিছুই দেখিনি মালিক
আমরা মোটেও বলিনি
আমরা শুনতে ভুলে গেছি স্যার
অ্যায়সি গজব কাহানি
আমাদের মোটে ল্যাজ নেই বাবু
আমাদের শিং এ জোর কম
বকুনি দিলেই বুকনি বন্ধ
এই ধারাতেই চলতাম
কিন্তু কি বলে পিঠের দেয়াল
নাকি দেয়ালেই ঠেকা পিঠ
উল্টে হঠাৎ প্রশ্ন করছি
নিন, বেয়াদপি সামলান
চামচে দিয়ে যা যা গেলালেন
হাফ বেকড আর লাড্ডু
আমাদের বাবা কুত্তার পেট
বমন করতে মন চায়
দুয়েকটা পিস বাজারে ছড়ানো
মুখ গুঁজে আছে বেশিটাই
চেতাবনি নয় এমনিই বলা
হাওয়াটা একটু গড়বড়
আমাদের ও আছে বিভীষণ মামা
এবং দুষ্টু কাঁকড়া
দাঁড়া ভাঙবার শক্তি থাকলে
সে গুড়ে স্যান্ড হে মাকড়া
স্বস্তি
এভাবে লেখা থাক স্বপ্ন সম্ভব
এভাবে লেখা থাক রোদের গ্রহণ
এভাবে চুরি করে ভাবের ভাঙা ঘরে
প্রতিদিন নাকাল আর স্বস্তি অর্জন
কতজন লিখছে মঙ্গল মধুমাস
কত রথ দুর্দম বসন্ত সৈনিক
কতজন কর্ণের নিকট তুতো ভাই
চাকার বেইমানি নিত্য ইতিহাস
সকাল বন্দনা পরম তুষ্টিতে
রাত্রি ইস্তক চেনা বিপর্যয়
কোন সে বাধকতা বাধ্য করল
চেনাতে পুরনো বোকামি দস্তুর।
মাপছি
চুপ করে আছি
দেখছি চুপচাপ
কতটা নিচ্ছে কিভাবেই বা
মেপে নিচ্ছি জলছাপ পড়ে কিনা
ভুল স্বীকারের সময়টুকু দেওয়া যাক
অ্যাডামেন্ট হলে বোঝা দরকার সেটাও
শুনতে চাচ্ছি দেয়ালের কথোপকথন
বুঝতে চাইছি ভাত ফোটে কিনা আদৌ
চুপ হয়ে আছি
ঘাপটি মেরে আছি
মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে দেখে আসছি
কতটা কি হোল না হোল
কতটা স্বস্তিতে এখনো আপনি আছেন
মাপছি ইঞ্চি ইঞ্চি
আমি চাই, আরো কারো চোখ ফুটুক
আরো কেউ হা হা করে হেসে বলুক, ‘পাগল’।
ছিলাম তো, ছিলাম অপেক্ষায় এক তারাবর্ষ। কৃষ্ণগহ্বর গপ করে গিলে নেওয়া সেই তারার ভেতর এক চির ভিখিরির সংসার যার বাড়ানো হাতে তোমাদের ছিঁটেফোটা লেগে আছে না না স্পর্শে নয় রক্তে মাংসে নয় গন্ধে বাসনায়
যাকে ভিন্ন মতে পথে দেখতে দেখতে খসে গেছে সময় কানে কানে বলে গেছে শূন্যতা সে কারোর কেউ ছিল না কারোর ঘরদালানে পাতা নেই আসন বসন আহার্য ব্যাবহার্য … হ্যাঁ কি যেন বলছিলাম তারা আর কালোগর্তের অসম্ভব সখ্যকথা, পরশমাত্র পুড়ে একাকার সে জন্মইচ্ছা, তার ছাই ভস্মকথা রইল এই বহুমাত্রিক হেরো গল্পে পৃষ্ঠা উল্টোলে কেউ জানবে সে এক মিথ্যে কল্পনা ছিল।
সলিড
উত্থান যা পতন তাই চেনা পথ উপর নীচ
কখন ফের শুরুতে পৌঁছে গেছি হাঁটা শিখছি
অনেক পা ‘পিছে মুড়’ বলেও হঠানো যায় না
নতুন মুখ কথার খোলামুখ নেই দেখা চেনা
অচেনা বাজারে খেয়ালী সওদা ফেলে ছড়িয়ে
নতুন করে আলগা বানিয়ে নেওয়া ভাবমূর্তি
ঠুনকো দেয়াল স্বাভাবিক কেউ খোঁজে কেউ না
কলম খুলি বন্ধ করি বলি, মানে খোঁজ মানে
একপা দুপা হাঁটা সলিড দাঁড় করাই মাটিতে।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..