শহর, শীতশেষে

সায়ন্তনী নাগ
কবিতা
Bengali
শহর, শীতশেষে

শীতকালও শেষ হয় দ্রুত পায়ে, যেমন জীবন
দক্ষিণের ব্যালকনি, ইতিউতি চোরা সুখটান
বাসি বিছানায় লেগে অবশিষ্ট তোর আঘ্রাণ
কবেই তো চলে গেছে, তবু এই বিষাদ যাপন!

আচমকা খুঁজে পাওয়া ফেলে যাওয়া অসমাপ্ত ছবি
হঠাৎ দু’কলি গেয়ে ভুলে যাওয়া বাকিটুকু গান
অসময়ে ভেজা চোখ, কি যে বেয়াদব অভিমান
যদিও স্পষ্ট জানি, তোর কাছে মূল্যহীন সবই।

মাঘেরা তবুও হাঁটে কুয়াশায়, বসন্ত আসে
এখন জ্বালিয়ে মারে রোদটুকু, নিঝুম দুপুর
ন্যাড়া গাছ হাহাকারে ছুঁতে চায় সেই অন্তঃপুর
ছেলেমানুষের মতো তোর ছায়াটুকু ভালোবেসে…

 

দুই.

আজকাল বাতাস ছুঁলেও তড়িতাহত হই
স্নানঘরে মোলায়েম উষ্ণ জলে ফোঁটা ফোঁটা বিদ্যুৎ
আর পায়ের নিচের পশম গালচে
কেমন জীবন্ত তারের মতো!

শিউরে উঠি
ঝাঁকুনি লাগে যত্নসঞ্চিত বিষয়সম্পত্তিতে

এত মৃদু বিভবপ্রভেদে
উচ্চমাত্রার কোনো বিপদসংকেত নেই, হবেও না জানি
এটুকু শক্তিতে সব ধূসরকণায় আলোই জ্বলে না।

তাও আমি আজকাল
শ্বাস টানলেই
গোপন দহনের গন্ধ পাই!

সায়ন্তনী নাগ। কবি, লেখক ও প্রকৌশলী। জন্ম ১৯৭২, কোলকাতা। পেশায় ভারতীয় রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। লিটল ম্যাগাজিন ও বাণিজ্যিক পত্রিকা দুইয়েই লেখালেখি। সাত বছর নতুনশতক মনকলম পত্রিকার সম্পাদনা, এখনো ওই পত্রিকার সাথেই যুক্ত। প্রকাশিত বই- 'চেনা গন্ধ চেনা অবিশ্বাস' (কাব্যগ্রন্থ), 'কাকে দেব শুদ্ধকল্যাণ'...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..