দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
(এক)
পাখি উড়তে উড়তে পালক উধাও
হরিণের মৃগণাভি চুরি করে বাঘ
শহর খুন হয় নিয়ত প্রতিদিন
আমরা নিজঘরে পি-পু-ফি-শু খেলি।
(দুই)
পুরোনো গান আর বেজে ওঠেনা
‘চান্নিপাসর রাইত’ আর নেই
কারা যেন অন্ধকার ঢেলে দেয় পথে পথে
ছড়ানো ছিটানো থাকে লাল লাল পালক
আমার পাখিশহরে শিকারি ঢুকে পড়ে।
(তিন)
অন্ধের মতো কারা যেন হেঁটে যায়
আমি চিনতে পারিনা
শবগন্ধ নাকে এসে লাগলে বুঝি
আমি আসলে নো ম্যানস্ ল্যান্ডে দাঁড়ানো
নিঃসঙ্গ এক মৃত মানুষ।
(চার)
আমি দেখি সমস্ত শরীরের কঙ্কাল
দেখি, ধুলোজমা ঝুলপড়া গোটানো সব হাত
কী অদ্ভুত অন্ধ সেজেছে সব চোখ!
চারিদিকে শান্তিসুরে শহর সেজে ওঠে।
(পাঁচ)
কী আশ্চর্যভাবে একেকটি নদী
উধাও হতে থাকে
আর আমাদের নিজস্ব কথারা হারিয়ে যায়
আমরা কেউ পথ চিনে ঘরে ফিরতে পারিনা
দেখি, নতুন গল্পের মতো
শহর বদলে গেছে।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..