বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
দেহের আড়াল হতে মুক্তার খোঁজে
যে ডুবুরীর মত ডুব দিতে চেয়েছিল
মনের গহীন জলে,
তুমি অবহেলা ভরে
তাকেই বিদায় দিলে
নানান কথার ছলে।
ঠিকই করেছ তুমি এ কথা জেনে
এক বুক ঘোলা জলে
ঝিনুক নেই কো যেথা
সেথা মুক্তা কোথা?
তার চেয়ে ডুবুরীকে কোনো ছলে
বিদায় জানানো অনেক ভালো —
সে কথা সে না বুঝুক তুমি বুঝেছিলে।
মনের ভিতর হতে রত্নের আশে
সে ঘুরুক যেখানে খুশী এই পৃথিবীতে
তাতে তোমার কী যায় আসে?
[ মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০০৫, ৪ শ্রাবণ ১৪১২, আহমদনগর, ঢাকা। ]
যদিও হয়েছে অনেক বেলা
পথের প্রান্ত আর যায় না দেখা,
সীমানার ওপারে যে আকাশ থাকে
তাও এখন মেঘ-অন্তরালে।
গাছের পাতায়, ঘাসের ডগায়
সন্ধ্যা নামে ধীর ছায়া ফেলে,
তবু কি মিলেছে দেখা তার
যে আছে আড়ালে?
অনেক ক্লান্তির পর ঘুম নেমে আসে
বাতাসের হাহাকার ঘুরে চারপাশে।
কে আছে কোথায় বলো এমন সময়
যার কথার সুরে
মধু ঝরে যাবে যেন বুকের ভিতরে
অথবা স্বপন জাগানিয়া কোনো নদীচর
এক ঝাঁক বালিহাঁস বুকে নিয়ে দূরে
অথবা অদূরে হবে সুখের আলয়?
[ মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০০৫, ৪ শ্রাবণ ১৪১২, আহমদনগর, ঢাকা। ]
[ অংশুমালীর নোট: শামসুজ্জোহা মানিক কবিতা দু’টি বেশ কয়েকবছর আগে লিখেছিলেন। কবিতার শেষে লেখক কর্তৃক উল্লিখিত তারিখ ও রচনাস্থলের নামোল্লেখ রয়েছে। কবিতা দু’খানি ইতোপূর্বে কোনো মাধ্যমেই প্রকাশিত হয় নি। অংশুমালীতেই প্রথম প্রকাশের জন্য তিনি কবিতা দু’খানি পাঠিয়েছেন। ]
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..