প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
শুমারে জানা গেছে, বায়ান্নটি ভাগ্যরেখা উড়ে যাচ্ছে দিগন্তের দিকে, এর মধ্যে একান্নটিরই উৎস গিলোটিন! মাত্র একটি এসেছে ময়ূরাক্ষীর পাড় থেকে…এমন ভাগ্যস্কেচ আঁকা হলো আয়ুর সরলরেখায়!
মরক্কোর চামড়ায় বাঁধা জুতো পরে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখি—পাথর ক্ষয়ে যাচ্ছে, ফের তাকাই নিজের জুতোর দিকে! আবার হাঁটতে থাকি, হঠাৎ সাপ দেখার লাহান চমকে ওঠি—কী আশ্চর্য! এ-যে পাথর নয়, নরমুণ্ডু, হুরের মস্তকে সাজানো ভাগ্যরেখা…!
দাদিমার ষাটোর্ধ্ব মুখের লাহান ভাগ্যস্কেচ হাতের তালুতে যেন বিচিত্র সাপ শুয়ে আছে নদীর নমুনায় কোমর বাঁকিয়ে, যার একান্নটির উৎস গিলোটিনে…!
ট্যাক্সি ছুটছে তনিমার ধর্মপথে, ভেতরে তার জোয়ারের আস্ফালন…জ্যামিতি আঁকতে দিলেই এঁকে দিতাম এক অনাবিল নৃত্য, তবু সে দ্বৈরথেই…
২
আলুটিলায় ওঠে দেখি—দূরে ফুটে আছে জ্যোতিষ্মান তিল, গুল্মলতার ফুল আমাকে টলিয়ে দিচ্ছে নিঝুম আয়োজনে, তবু সে দ্বৈরথেই…
৩
দূরের কোনো এক মহল্লায় সেদিন বেজেছিল কন্নালের সুর, শালগমের পথে তার পালক ছিল পড়ে, জানি না সে কোন তাড়নায় নিল অবশেষে ইনহেলার…দেখি, নিভন্ত জোয়ারের দূরে একটি একটি করে গাফেল টুপছে…
গ্রীনিচ সময়রেখা থেকে কত দূরে, কোন অক্ষাংশে দাঁড়িয়ে আছ—আমার তা জানা নেই! তবে এটুকু টের পাই, আমার নিঃশ্বাস পৌঁছায় ঠিকই তোমার ঝুলবান্দায়…
আসলে দৃশ্যমান তো চোখেরই সমান, চোখের বাইরেই বিচোখের দিগন্তবিতান…
মণির পরিধি নেমে জিরো পয়েন্টে এলেও ঘ্রাণ শুঁকেই কিংবা পায়ের আওয়াজ থেকেই সংকেত পায় অন্ধ বুড়ির বিচোখ—স্বামী তার আসছে খুশবুর বাগান নিয়ে…
আসলে দৃশ্যমান তো চোখেরই সমান, চোখের বাইরেই বিচোখের দিগন্তবিতান…
টালি পামের ন্যায় যে নারী প্রসব দিয়েই নিরাকার, তার মুখটিও বিচোখের দাওয়ায় রোজ জ্যোৎস্না ছড়ায়!
বাতাবির ঝলকানি-ই পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় চেরাপুঞ্জির আশ্চর্যে, এক সমুদ্র মেহেদিরঙের ডানায়! যে রাঁড় পান্থছলে রোজ এসে দাঁড়ায় অন্তর্বাসের দাগে, দেখে, জ¦লে আছে শতাব্দীর নিকষ ক্ষত দূরের টিলায়!
তার কোনো নিজস্ব ঘর থাকে না—এ দুঃখবোধ কে বুঝবে রাঁড়ের চেয়ে বেশি? কত আকন্দের ক্ষীর ঢেলেছে হাসপাতালে, হয়েছে ফাঁকা রাঁড়ের পথ যেখানে ছলঘ্রাণে ভেসে আছে হলুদ চোখ…
এক পৃথুল বসন্তের লালি দিনে উদালে দেখি—সে যেন এক লম্বা একমি, হেলে আছে আমারই কাঁধের ওপর, কান ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেন বলছে—চলো বেরিয়ে পড়ি, টকটকে লাল শিমুলের বনে, ওখানে ভেষজপাতার আরোগ্যবিতান আমায় ডাকছে…
ডাকছে—ধুলার পেটে সামান্য ডালিয়ার লাল, ছড়ায় যেখানে নিপুণ ময়নার স্বর…আজও বসন্ত খুঁজি যেখানে নিম ঝুলে আছে ফাগুনের কোরকে…
প্রেমিকার পাতলা ঠোঁটের লাহান ইশারায় আর কেন ডাকছ না সুরভির পাড়ে বাসা আমার পৃথুল বসন্ত?
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..