শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
ঐ দ্যাখো ধুলোরাঙা পথ
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে চলে গেছে
অরণ্যের দিকে। ঐখানে সরল মাছের মতো সে অপেক্ষায় আছে ।
গলায় গুঞ্জার মালা, খোঁপায় শালফুল।
ওখানেই ফিরে যাবো, হাতে নেব বাঁশি। আর পরবের দিন এলে বাজাব মাদল
তালে তালে ঘুরে ঘুরে নেচে যাবে
শ্যামাঙ্গিণী মেয়ে।
২
গ্রাম ছাড়িয়ে কোন সুদূরে চলেছ পথ?
কোন নিরুদ্দেশে
আমাকে নিয়ে যেতে চাও?
ঘরে থাকা এখন অসম্ভব।
তোমার রাঙাধুলো লাগুক পায়ে
আর মন হোক উদাসী। ব্যাকুল হয়ে সেই চিরকালের আমিকে যদি খুঁজি
হাতে তুলে দিও তোমার একতারা।
৩
আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ,
মাঠে কাশফুল,
শিউলি ফুলের গন্ধভেজা বাতাস
আর দিঘি ভরা পদ্ম।
শরৎ এসেছে আঙিনায়,
পুরো একটিবছর পর
আমাদের মেয়ে এসেছে
তোরা শঙ্খ বাজা, উলুধ্বনি কর।
বৈরাগীর ঘরে সে ছিল কেমন করে!
মনে কি তার পড়তনা-এই ঘর!
৪
বড়ো প্রিয় এই মাঠ,ঘাট, নদী।
কখনো চাই না ছেড়ে যেতে।
তবু যদি কোন এক কুয়াশার ভিতর
চলে যেতে হয়,
বকের শ্বেত শুভ্র ডানায় ভর করে
উড়ে বেড়াবে আমারই ইচ্ছা।
শালিকের চোখ দিয়ে,
দোয়েলের চোখ দিয়ে দেখব
বাংলা মায়ের অপরূপ রূপ।
কৃষকের অন্তর হয়ে
জেগে উঠবে আমারই হৃদয়।
আর তখন
সোনার বরণ হলে ধান
ভাঙাচোরা মুখে আলোফোটে।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..