প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এমন দিনে যা যা থাকার কথা সব আছে।
বৃষ্টি আছে, কফি-মগের ধোঁয়া আছে, জানলার ধারে
কোলে আগলে রাখা জয় গোস্বামীর উপন্যাস আছে।
ঝরে যাওয়া পাতারা ভিজে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে মাটির বুকে –
এমন দিনে প্রেম আছে। ঠান্ডা হাওয়ায় পথে রাস্তায় প্রেম আছে।
এমন দিনে আছে প্রাক্তনের চলে যাওয়া…
প্রিয় বান্ধবীর অকালে মুছে যাওয়া সিঁদুর
আর আমার চুপচাপ চেয়ে থাকা;
এমন দিনে তোমার-আমার কাছে আসার কথা আছে…
যেটা সম্ভব নয় জেনেই, এমন দিনে আমি জানলা দরজা বন্ধ করে
স্যাতস্যাতে বিছানার ওপর একটা ফোনকলের আশায় পড়ে আছি।
চোখ দুটো বড় কথা নয়, ঠোঁটে জাদু রাখে কত কেউ
কত কেউ ঝড়ে চুল খুলে পুরুষের বুকে তোলে ঢেউ।
ব্লাউজেরা কত ব্যাকলেস, খোলা পিঠে আঁকিবুকি কাটে
কত কেউ গাড়ি থেকে নেমে চুপচাপ উঠে যায় ফ্ল্যাটে।
চুপচাপ থাকা মানে- ভালো। বকবক মানে দজ্জালই
বিয়ের বয়স এসে গেলে আত্মীয় উঁকি মারে খালি।
আমি ভাই জিন্সের খাঁজে লাইটার সাথে নিয়ে চলি
কেউ বাজে জ্ঞান দিতে এলে চুপচাপ কেটে যেতে বলি…
ভিড় বাসে, ঠেলেঠুলে উঠি। ফাঁকা ট্রেনে রোজ ফিরি বাড়ী
রোজকার জীবনের ফাঁকে বাঁচাটাও হয় দরকারি।
তাই হাঁটি ফাঁকা পথ দিয়ে, কানে প্রিয় গানগুলো বাজে
মনে মেঘ জমে আসে যদি সুখটান আঙুলের মাঝে।
আমিও তো তবু এক নারী, হলঘর হাহাকার করে
টিসার্টের লেখা পড়ে কেউ, কতকত ক্লিভেজিও চোখ –
বুকের উপর এসে তারা, কেবলই পায়চারি করে…
কতদিন আলো ফোটেনি, তারায় ঢাকা এক ঘরে।
আজকাল তেমন কোনো কাজ নেই
কবিতা লেখাকে আমি কাজ বলে ধরিনি কখনো
আজকাল চুপচাপ শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে না;
মা সিরিয়াল দেখে
আমি তাতে মাঝেমধ্যেই চারদেওয়ালের অশান্তি শুনে ফেলি
ওনারা তাতে কেউই অস্বস্তি পাননা –
কারণ সিরিয়ালের ঝগড়ায় যত আড়িপাতা যায়
তত টি.আর.পি বাড়ে।
আমাদের ঝগড়া হয়নি
আমরা টি.আর.পির কথা ভাবিওনি কোনোদিন…
আমরা যা ভেবেছিলাম তা আজ ঘাসফড়িং এর
স্বপ্ন হয়ে মিশে আছে রাতের মাঠে
তা আজ জানলার একটুকরো শহরের
আকাশে সাদা ভেসে থাকা সরলরেখা মাত্র
ইচ্ছা করে বাইরে বেড়োতে
ডাক্তার, অসুখ সবকটাকে ফাঁকি দিয়ে এক
ছুটে হারিয়ে যেতে তোমার কাছে
আমি যাবই…
একটি বার তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলবো –
‘কষ্ট পেয়েছো বলে দুঃখ করো না। কারণ
কষ্টই এক নারীকে প্রেমিকা করে তোলে’।
প্রিয় দুঃখ, তোমার পায়ের নিচে মাটি
প্রিয় দুঃখ, তোমার রাতের টেলিফোন
ঘরের কোণে সিঁদুরদানি গড়ায় –
প্রিয় দুঃখ, তুমি সিঁদুরঘাঁটা মন।
প্রিয় দুঃখ, তোমার অনেক অহঙ্কার
প্রিয় দুঃখ, তুমি বৃষ্টিপাতের দলে
চোখের দিব্বি শিশির মাখা পাতায়
প্রিয় দুঃখ, মিথ্যে বলেছো অনর্গলে।
প্রিয় দুঃখ, তোমার ভিড়ের হাসি মুখ
প্রিয় দুঃখ, তোমার শহর কোলকাতায়
প্রিয় দুঃখ, তোমার পাশ্চাত্য অসুখ
চোখের জল ঠোঁটের মোহনায়।
প্রিয় দুঃখ তোমার কেঁপে ওঠা ওই স্বর
‘ভালোবাসো’? সোঁদা প্রশ্ন ছিল
প্রতিটা চুমুর পর।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..